সোমবার ● ২৯ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » পার্বত্য চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসে ঢাকায় মানববন্ধন
পার্বত্য চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসে ঢাকায় মানববন্ধন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য অধিকার ফোরাম ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি আহম্মেদ রেদোয়ান প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন পিসিজেএসএস সংগঠিত গণহত্যার বিচারের দাবীতে আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য পার্বত্য অধিকার ফোরাম ঢাকা মহানগন শাখা পাহাড়ে সশস্ত্র সশন্ত্রীদের অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, হত্যা, গুম ,ধর্ষণ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনের প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিক হোসেন খান।
বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তি ফিরাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে চুক্তি করা হয়েছিলো চুক্তি অনুসারে পাহাড়ে আর কোন অবৈধ অস্ত্র থাকার কথা নয়। কিন্তু পাহাড়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রাম খবরের শিরোনাম হচ্ছে। সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় এই সকল সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হত্যা,চাঁদাবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তি ফিরাতে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী,হত্যা , গুম ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই রাষ্ট্রিয় পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবী জানান।
এসময় পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন বলেন ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল সংগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম গণহত্যার বর্বরতা কোন অংশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে কম নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন “শান্তিবাহিনী” অসংখ্য বর্বরোচিত, নারকীয় ও পৈশাচিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। কিন্তু কোন এক অলৌকিক কারণে বাঙালিদের উপর সন্ত্রাসীদের চালানো এসব নির্যাতনের চিত্র গণমাধ্যমে প্রচার তেমন স্থান পায়নি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নির্যাতনকারী উপজাতিরা নিজেদের নৃশংসতার স্বরূপকে ঢেকে তিলকে তাল বানিয়ে দেশে-বিদেশে নিজেদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যে পার্বত্য চট্টগ্রামে তারা অত্যাচারিত।
কতিপয় উপজাতি সাইবার এক্টিভিস্ট এবং তথাকথিত সুশীল সমাজ অর্থের বিনিময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের উপর সন্তু লারমার শান্তিবাহিনী দ্বারা সংঘটিত এসব গণহত্যার সম্পর্কে বিদেশী ও দেশের মানুষকে ভুল বোঝানো হয়। এতে করে সর্বমহলে ধারণা জন্মেছে যে, পার্বত্যাঞ্চলের আসলে উপজাতিরাই নির্যাতনের শিকার।
কাগজে-কলমে শান্তিবাহিনী না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম্য কমেনি, বরং তাদের হাতে বাঙালিরা যেমন হত্যার শিকার হচ্ছে, তেমনি নিহত হচ্ছে উপজাতি জনগোষ্ঠীগুলোর মানুষজনও। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির অন্বেষায় সরকার শান্তিচুক্তি করলেও সন্তু লারমার শান্তিবাহিনীর বিকল্প পিসিজেএসএস(সন্তু), পিসিজেএসএস(সংস্কার), ইউপিডিএফ(প্রসীত) ও ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক) নামক চারটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠিত হয়েছে। এই চার সংগঠন এখন পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করে রেখেছে। তারা পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। কখন কার উপর তারা যমদূতের মতো আবির্ভূত হয় তা নিয়ে শঙ্কিত থাকে পাহাড়ের মানুষ।
ঢাকা মহানগর সভাপতি আহম্মেদ রেদোয়ানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যরিষ্টার মেজর সারোয়ার , জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের মাষ্টার্সের ছাত্র ও সাংবাদিক এম এ মুহিত, গবেষক আসাদুজ্জামান আসাদ, বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা খালেদ আহম্মেদ ফেরদৌস, তিতুমীর কলেজ ছাত্রী ফারহানা নুসরাত , ওয়াল্ড ইউনিভার্সির ছাত্রী ফারিয়া জাহান নিশি ও সাব্বির রহমান প্রমূখ ।