সোমবার ● ২৯ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে জেলা পরিষদের লাখ লাখ টাকার গাছ লোপাট
বাগেরহাটে জেলা পরিষদের লাখ লাখ টাকার গাছ লোপাট
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের শরণখোলায় জেলা পরিষদের সরকারী পুকুর খনন কালে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে উপজেলার ৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের ১২ টি পুকুর পূনঃ খননের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের তদারকিতে উক্ত খনন কাজ শুরু হয়।উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততার অভিযােগ।
ওই দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করে খুলনা ও গোপালগঞ্জের ৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুকুরের চতুর পার্শ্বে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে নেয়। সরকারী সম্পদ এভাবে হরিলুট হওয়ায় সচেতন মহলে এ নিয়ে অনেকটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিয়মানুযায়ী পুকুরের চার দিকের গাছ গুলো জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়া কেউ কাটতে পরবে না। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কালে কোন গাছ কাটার প্রয়োজন হলে তা কেটে জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দেয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র সম্পুর্ন উল্টো।
উপজেলার কোথাও কেটে ফেলা গাছ গুলো সংরক্ষনে নেই। উপজেলার বগী এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন পঞ্চায়েত বলেন, আমি উপজেলার অফিস ও ঠিকাদারকে বলে ২/৩ টি গাছ কেটে নিয়েছি। এ ব্যাপারে একই এলাকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের রহস্য জনক ভূমিকার কারনে গাছ গুলো লোপাট হয়েছে। এতে বহু টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। শুনেছি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী আবু হানিফ কর্মকর্তাদের নামে ঘুষ নিয়ে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য বিভাগের কিছু লোভী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারনে অনিয়ম অনেকটা নিয়মে পরিনত হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্ম কান্ডের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। এবং সরকারের মুল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সচ্ছতা ও জবাব দিহীতা নিশ্চিত না হলে আধুনিক সোনার বাংলা গড়তে বেগ পেতে হবে।
তবে, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কর্তনের খবর শুনেছি। আমরা কাউকে কোন অনুমতি দেইনি। এছাড়া ওই গাছ গুলোর মালিক জেলা পরিষদ। আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। এছাড়া তার দপ্তরের কেউ কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নেই।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু জানান, নিয়ম অনুসারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পুকুর খনন শেষে পরিষদকে বুঝিয়ে দেবে কিন্তুু গাছ লুটের বিষয়টি তাকে কেউ অবহিত করেননি। তবে লুট কারীদের তালিকা করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মোংলা বন্দরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার
বাগেরহাট : আইএস ( ইসলামিক স্টেট) জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কায় মোংলা সমুদ্র বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজ সোমবার ২৯ এপ্রিল দুপুর থেকে এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তার মাধ্যমে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
মোংলা বন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের প্রেস বার্তায় আরও বলা হয়, বন্দর এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ডিউটিও বাড়ানো হয়েছে হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দরে দর্শনার্থীদের জেটি পরিদর্শন সীমিত করা হয়েছে বলেও প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
মোংলা বন্দর ভবন
এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ( সিএসও) কমান্ডার আব্দুল আলীম বন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশে আইএস হামলার আশংকার খবরে তারা বন্দরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছেন। তিনি বলেন, ‘অন্যদিনের চেয়ে এবারের নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করা হয়েছে। এছাড়া বন্দর জেটির প্রধান প্রবেশ মুখে নৌ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট সদস্যদের স্ট্রাইকিং হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।