বুধবার ● ১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে বিএনপি নেতার বিরোদ্ধে থানায় জিডি করলেন ইউএনও
বান্দরবানে বিএনপি নেতার বিরোদ্ধে থানায় জিডি করলেন ইউএনও
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বান্দরবান সদর থানায় এই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইউএনও।
বান্দরবান সদর থানার কর্মকর্তা এস আই দুর্জয় বলেন, ওবায়দুল হক ও আলী আহম্মদ নামে দুইজন কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে তাদের দখলীয় জায়গায় পাহাড় কেটে জমির রুপ পরিবর্তন করায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসক ইউএনওকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তের পর গত ২৩ এপ্রিল কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অপরাধে অইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। থানায় দেয়া জিডি থেকে জানাযায়, গত (৩০ এপ্রিল) মঙ্গলবার কাজি মুহিতুল হোসেন যত্ন তার কার্যালয়ে এসে খোঁজ-খবর নেন ও মোবাইল ফোনে একাধিকবার হুমকি দেন। পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশ আদালতে পাঠানো প্রতিবেদন ধামাচাপা দেয়ার জন্য কাজি যত্ন নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয় ইউএনও’র মোবাইল ফোনে। জিডিতে আরো উল্লেখ করেন বান্দরবান সদর ইউএনও বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কাজি মুহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা ওবায়দুল হক বলেন, শহরের কাছে বালাঘাটা এলাকায় বিগ্রেডের সামনে ২০১৫ সালে ১৫৯ দাগে আলী আহম্মদের কাছ থেকে ২ কানি জায়গা কিনেন তিনি। পরবর্তীতে কাজি যত্ন ১৬৪নং দাগ দেখিয়ে ওই জায়গার ২২ শতাংশ দাবি করে সেখানে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়। পাহাড় কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করে। গত ৫ ফেব্রয়ারি ওই জায়গার বিরোধ মীমাংসায় ইউএনও সেখানে গেলে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। পরে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান কাজি যত্ন।
কাজি মহিতুল হোসেন যত্ন ইউএনওকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পাহাড় কাটার সাথে আমি কোনোভাবে সম্পৃক্ত নই এবং আমাকে জরিমানাও করা হয়নি। তাছাড়া যে জায়গা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি আমার। শুধুমাত্র বিষয়টি জানানোর জন্য ইউএনওকে ফোন দিয়েছিলাম। এটিতো হুমকি হতে পারে না।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সদর ইউএনও সাহেবের থানায় জিডির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।