বৃহস্পতিবার ● ২ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী মুর্তী উদ্ধার
নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী মুর্তী উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী মুর্তী উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (১লা মে) ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী মুর্তী উদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া এলাকার বাবু জোয়ারদারের আম বাগান সংলগ্ন নবগঙ্গা নদী থেকে স্বপ্নে পাওয়া কালী মুর্তী উদ্ধার করেছে এক বৃদ্ধা, তার নাম কল্যানী বিশ্বাস (৭০)। কল্যানী বিশ্বাস ও এলাকাবাসী সুত্রে যানা যায়, চাকলা পাড়ার মৃত. ধীরেন গোপাল বিশ্বাসের স্ত্রী কল্যানী বিশ্বাস গত ১০/১২ দিন ধরে গভীর রাতে স্বপ্নে দেখেন ঐ কালী মুর্তী তাকে বলছেন “আমি নবগঙ্গা নদীর সিড়িতলা ঘাটে আছি, আমাকে তুলে নিয়ে যাও” গভীর রাতে স্বপ্নে একথা শোনার পর কল্যনী বিশ্বাস ভয়ে কারো কাছে কিছু বলেনা। এক পর্যায়ে বুধবার সকালে কল্যানী বিশ্বাস তার নাতি ছেলে সোহাগ (২২)কে নিয়ে চাকলাপাড়ার নবগঙ্গা নদীর সিড়ি ঘাট এলাকায় তার মেজে মেয়ে অলকা, বৌমা মমতা ও তার ছেলে হিরোনকে নিয়ে কালী মুর্তীটি খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে কল্যানী বিশ্বাস তার স্বপ্নে দেখা কালী মুর্তীটি পেয়ে যায়। পরে তার বড় ছেলে চাকরাপাড়ার মিলনের বাসায় কালী মুর্তীটি রাখা হয়েছে। এ সময় চাকালা পাড়ার শত শত উৎসুক জনগন এই মহা মুল্যবান পাথরের মুর্তীটি দেখতে মিলনের বাড়িতে ভিড় জমায়। এ ব্যপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, আমি লোকমুখে ঘটনাটা শুনেছি, একটু পরে চাকলাপাড়ায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যাবস্থা নেব। এ ঘটনায় এরাকাবাসীদের মধ্যে মোবাইল ব্যাবসায়ী মিন্টু কুমার বিশ্বাস বলেন, এটি মহা মুল্যবান পাথরের কালী মুর্তী হতে পারে। উল্লেখ্য, কল্যানী বিশ্বাস শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার কেয়ার হাসপাতালে আয়ার চাকরি করেন।
কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কুমড়া বাড়ীয়া ইউনিয়নের ডেফল বাড়ীয়ায় কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পুত্রবধু প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর শ্লীলতাহানী,র্স্বনালঙ্ককার ও নগদ টাকা লুটপাট করলেন ইউপি মেম্বাররা। ডেফল বাড়ী ঙ্ক্রামের কলিম উদ্দিন মেম্বার, ধোপাবিলা গ্রামের আমজাদ মেম্বার ও জামাল হোসেন মেম্বার এবং তাদের দোসরদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা পুত্রবধু প্রবাসীর স্ত্রীর উপর। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের গৃহবধু লাকি খাতুনকে প্রকাশ্যে বেদম মারপিট, শ্লীলতাহানী, লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের তিন মেম্বার সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিনে ডেফল বাড়ীয়া গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, গৃহবধু লাকি খাতুন এর স্বামী রবিউল ইসলাম প্রায় বার বছর ধরে দুবাই থাকেন, বাড়ীতে স্ত্রী এবং দুই পুত্র সন্তান থাকে। ডেফল বাড়ীয়া গ্রামের চৌরাস্তার মোড়ে স্ত্রী লাকী খাতুন এর “কসমেটিক কর্ণার” নামে একটি ষ্টেশনারী দোকান করে ব্যাবসা বাণিজ্য করেন। তার দুই পুত্র সন্তান শহরের পাগলা কানাইস্থ এ জে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে লেখাপড়া করেন। লাকী খাতুন নিজে সুন্দরী এবং স্বামী বিদেশে থাকার কারণে ইউপি মেম্বার কলিম উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, জামাল হোসেন এর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার উপর। মেম্বাররা তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং উত্ত্যাক্ত করে ও বাকিতে মালামাল না দিলে, খুন জখমের ভয়ভিতি হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ শে এপ্রিল দুপুর বার টার সময় তিন মেম্বার ও তাদের দোসর সুজাত, রাসেল, সেকেন্দার সহ মোট ছয়জন র্পুব আক্রশে গৃহবধু লাকী খাতুনকে দোকানের ভিতর থেকে চুলের মুঠো ধরে টেনে হেছড়ে বের করে দোকানের সামনে রাস্তার উপরে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে, সে সময় তার পুত্র জাকির হোসেন মাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আমজাদ মেম্বার তার পরনের কাপড় চোপড় টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। জামাল নামক সন্ত্রাসী মেম্বার তার গলা থেকে বার আনা ওজনের একটি সোনর চেন ছিড়ে নেয়। সুজাত নামের আর এক সন্ত্রাসী দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ২৫ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এসব ঘটনা লাকী খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার করেছেন। এ বিষয়ে এস,আই পলাশ জানান, তিনি একটি এজাহারের কপি হাতে পেয়েছেন। আজ (১লা মে বুধবার) বিকেলে ঘটনাস্থলে যাবেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খাঁন বলেন নিয়োমিত মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন অভিযান চলছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করবো আশা করছি। তিন জন মেম্বারই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি : পুলিশ বলছে দস্যুতা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামুন্দা গ্রামে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বড়বামুন্দা গ্রামের বাবলুর রহমান বাবুল জানান, সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে বেকুনির দরজা ভেঙ্গে ডাকাতরা তার ঘরে প্রবেশ করে। ৫/৬ জন ডাকাত একত্রে ঘরে ঢুকে আমাদের সকলকে ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে বেঁধে ফেলে। বাইরে থেকেও এ সময় কয়েক ডাকাত সদস্যের কথাবার্তা বলতে শোনেন তিনি। এরপর একে একে শোকেজ, আলমারীর তালা ভেঙ্গে নগদ সত্তর হাজার টাকা, স্বর্ণলোংকার, চারটি মোবাইলসহ সর্বমোট প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির মালিক বাবুল আরো বলেন, সকালে বিষয়টি নিয়ে পিতা মোহাম্মদ জাকারিয়া থানায় অফিযোগ করতে গেলে পুলিশ নিজের মত করে ৪জন দুষ্কৃতিকারী তাদের ঘরে প্রবেশ করেছে মর্মে আবেদন পত্র লিখে সহি করে নেন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ কাজী কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এটা ডাকাতি বলেনা, এটা দস্যুতা। এ ব্যাপারে ৪জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তবে আমরা আসামি সনাক্ত করতে পেরেছি। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ৬ থেকে ৭ মাস আগে পাশের বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হলেও পুলিশ নিয়েছিল চুরির মামলা। কিন্তু আজ পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার তো দুরে থাক। এ ঘটনার একটি আসামীও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
র্যাব-৬’র সফল অভিযানে প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার মকসেদপুর উপজেলার বাহারা গ্রামের আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের ছেলে আসাদ মাতুব্বর, একই উপজেলার লোহাইড় গ্রামের হাশেদ শেখের ছেলে বাবুল শেখ ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম আলগী গ্রামের কুটি মেয়ার ছেলে সিরাজ। বুধবার দুপুরে র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম জানান, এই তিন প্রতারক সদস্য ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মোঃ সাহেব আলী ও তার পিতা রবজ আলী মোল্লাকে বলে যে, আমাদের কাছে পনেরো লাখ সৌদি রিয়াল আছে। আপনারা যদি তিন লাখ টাকা দেন তাহলে আমরা সমুদয় টাকা দিয়ে দেব। এই টাকা তারা এক হিন্দুর বাড়ি থেকে পেয়েছে বলেও জানায়। চক্রটি একই কথা বলে মাসখানেক আগে মোঃ আলী বকুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেখে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। র্যাব জানায় শিকারপুর গ্রামের সাহেব আলী ঘটনাটি র্যাব-৬ ঝিনাইদহকে জানালে তারা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে তিন সদস্যকে আটক করে। এ সময় র্যাব গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে ৭টি রিয়াল, ২টি লুঙ্গি, ১টি গামছা, ৩টি মোবাইল সেট, ৫টি সীম কার্ড ও নগদ ১,১১০/- টাকা উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় আসামীদের সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উল্লেখ্য, প্রতারক বাবুল গ্রামে গঞ্জে ইমিটেশন গহনা ফেরি করে বিক্রির সময় গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়।