মঙ্গলবার ● ৭ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি
রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতেই গাইবান্ধার সাত উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য একধাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কাঁচা বাজারে প্রতিটি দ্রব্যের দাম ১০ হতে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে। যার কারণে সাধারণ ক্রেতাগণ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। যে হারে দাম বেড়ে যাচ্ছে তাতে করে নিম্ন আয়ের পরিবারদের পক্ষে কাঁচা বাজারের দ্রব্য ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ হতে এখন পর্যন্ত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা করা হয়নি।
সরেজমিনে উপজেলা গুলোর বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে ফিরে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রতিটি হাট বাজারে আলু ২০-৩০ টাকা, পটল ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেড়স ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, শষা ৫৫-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, কুমড়া ৪০-৮০ টাকা, বরবটি ৫৫-৬০ টাকা, পিঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা, মরিচ ৫০-৬০ টাকা, রসুন ৮০-১২০ টাকা, আদা ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস ৫০০-৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৭০০ টাকা, কক মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা, ব্রয়লার ১৫০-১৭০ টাকা, কাপ জাতীয় মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন বাজারের কাঁচা মাল ব্যবসায়ী ইউনুস আলী জানান, এখন বর্ষাকাল যার কারণে প্রতিটি তরিতরকারির দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা আরদ থেকে মাল নিয়ে এসে বিক্রি করি। এখানে আমাদের করার কিছুই নাই। আমরা মাত্র ২-৩ টাকা লাভ নিয়ে প্রতি কেজি মাল বিক্রি করে থাকি। মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার রায় জানান, এখন তো নদী-নালা, খাল বিলের মাছ পাওয়া যায় না। চাষ করা মাছ ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই মাছের দাম বেড়ে গেছে। তা ছাড়া রমজান মাস উপলক্ষে মাছের দাম একটু বেড়ে গেছে। হকার্স মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া জানান, গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। রিক্সা চালক আকবর আলী জানান, যে ভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে তাতে করে আমাদর পক্ষে ভালভাবে রোজা করা সম্ভব হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী জানান, পবিত্র মাহে রমজান মাসে যেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি না পায় সে ব্যাপারে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে নিহত-৩ : নিখোঁজ-৬
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে এক নৌকা ডুবিতে মঙ্গলবার সকালে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো- ধুতিচোরা গ্রামের ইনছার আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫), দক্ষিণ গিদারি মৃত আইজল মুন্সির স্ত্রী ফিরোজা বেওয়া (৪০) ও সাজু মিয়ার মেয়ে শান্তনা খাতুন (১০)। এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজ দুইজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- দক্ষিণ গিদারির মিনহাজ মিয়ার মেয়ে মেরেনা আকতার (১৩) ও ধুতিচোরা গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে আঙ্গুর মিয়া (৪০)।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নে নয়া গ্রাম থেকে সকালে ৫০ জন কৃষি শ্রমিক নারী ও পুরু ভুট্টার জমিতে কাজ করার জন্য নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হচ্ছিল। নদীর অপর পাড়ে ধুতিচোরা গ্রামে যাওয়ার পথে মাঝ নদীতে পৌছলে হঠাৎ করে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় ৯ জন নৌকা যাত্রী পানিতে ডুবে যায়। এরমধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বাকি যাত্রীরা সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হয়।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন জানান, ৩০ জনের মত যাত্রী বহনে সক্ষম একটি নৌকা অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার ফলে নৌকায় পানি উঠে নৌকাটি ডুবে যায়। এব্যাপারে নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য রংপুর থেকে ডুবুরিদল শীঘ্রই ঘটনাস্থলে এসে পৌছবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অকৃতকার্য হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
গাইবান্ধা :: এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় পার্বতী রাণী (১৫) নামে এক কিশোরি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (০৬ মে) দুপুরে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পার্বতী রানী স্থানীয় কাশিয়াবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৬ মে) সকালে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ফেল করেছে বলে জানতে পায় পার্বতী। পরে দুপুরে গলায় রশির ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরের তীরের (ধর্না) সঙ্গে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মতিউর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।