বুধবার ● ৮ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ করায় অনিমা রানী’র পরিবারকে দেশ ত্যাগের হুমকি
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ করায় অনিমা রানী’র পরিবারকে দেশ ত্যাগের হুমকি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহবধু অনিমা রানী প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করায় দেশ ত্যাগের হুমকি দেয়া হয়েছে।
গতকাল ৭ মে মঙ্গলবার বাউফল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে একটি অভিযোগে করেন। এতে উল্লেখ করা হয় বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের অনিমা রানীর সংখ্যালঘু পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ইউপির সদস্য লিপি বেগমের স্বামী কবির হোসেনের কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। অনিমা রানী এ পর্যন্ত সুদে-আসলে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ওই মহিলা মেম্বারের স্বামী তার কাছে আরও টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ শতাংশ জমি লিখে নেন। এতেও তিনি শান্ত হননি। এরপর দুইটি ভুঁয়া দলিল করে তাকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদের তৎপরতা শুরু করেন। এব্যাপারে তিনি চলতি বছর ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি (০৩.৩১.০০০০.০৭১,২৭. ০০১ .১৮ (অংশ-১)-০৭ (৩)স্মারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভুমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে নির্দেশ দেন। ওই মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। যাহার স্বারক নম্বর- ৩১.১০.০০ ০০.০৪১.০৪১. ০১৬. ১৯-৪৭। এরপর পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্মারক নম্বর-৩১.১০.৭৮০০.০০৯.০৬. ০০৩.১৬-২৭৬ এর মাধ্যমে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলে বিষয়টি তদন্তাধিন অবস্থায় রয়েছে। ফলে অনিমা রানী এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করায় মহিলা মেম্বার লিপি বেগম ও তার স্বামী কবির হোসেন ওই সংখ্যালঘু পরিবারটিকে দেশ ত্যাগের জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং পুকুরের মাছ ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে অনিমা রানী গত ১৪ মার্চ বাউফল থানায় একটি জিডি করলে মহিলা মেম্বার ও তার স্বামী তার ওপর ভিষন ক্ষুদ্ধ হন। অনিমা রানী বর্তমানে তাদের হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।