শনিবার ● ১১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরে লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহে মানুষের নাভিশ্বাস
চাটমোহরে লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহে মানুষের নাভিশ্বাস
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহরসহ আশে-পাশের উপজেলায় তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমের মানুষ ও পশু পাখি নাভিশ্বাসে উঠেছে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিংয়ে পড়াশনার বিরম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধার পর পড়ার টেবিলে বসলে বিদ্যুৎ থাকে না। টানা লোডশেডিংয়ে পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।
প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠা-নামা করায় এবং কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ ত্রিমুখী সংকটে পড়েছে।
জানা গেছে, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ চাটমোহর (আওতাধীন) চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, ইশ্বরদী (আংশিক) ও পাবনা সদরসহ (আংশিক) ৬টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। ২৪ ঘন্টায় দিনরাত দিয়ে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকছে। সন্ধার পর থেকে টানা রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
রাত ১২ টার পরেও ভোর পর্যন্ত লোডশেডিং করানো হচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরো বিপর্যয়ের মধ্যে। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছে না। তাছাড়া কৃষি, কলকারখানাসহ প্রতিটি সেক্টরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কলকারখানায় উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
প্রচন্ড গরমের কারণে প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রকমের রোগবালাই। অনেকে বিরূপ আবহাওয়া সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্রোটকে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। দুপুর হলেই এখন এ অঞ্চলের মানুষ একটু শীতল হাওয়ার জন্য ছটফট করছেন। অনেকেই রাস্তার পাশে বড় বড় গাছের নিচে দাঁড়িয়ে শরীরকে শীতল করার চেষ্টা করছেন।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিÑ ১ জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মাশফিকুল হাসান বলেন, চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ কম, তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করানো হচ্ছে।