শনিবার ● ১১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » কোটচাঁদপুরে ডাকাতি’র মালামাল উদ্ধার, আটক-২
কোটচাঁদপুরে ডাকাতি’র মালামাল উদ্ধার, আটক-২
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: অবশেষে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামুন্দা রেলগেট সংলগ্ন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আসামি সনাক্তসহ ২জন গ্রেপ্তার এবং খোয়া যাওয়া কিছু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করছে পুলিশ। বৃহস্পতবিার কোটচাঁদপুর বড়বামুন্দ গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে গ্রেপ্তারকৃৃত কবির হোসেন শান্ত (২১) আদালতে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। এর আগে ৪ মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেইনবাসষ্ট্যান্ড খান আবাসিক হোটেল থেকে শৈলকুপা উপজেলার চরমালিথিয়া গ্রামের মৃত মান্নানের ছেলে সবুজ শেখকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত অফিসার (ওসি তদন্ত) ইমরান আলম। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির সময় খোয়া যাওয়া স্বর্ণলংকারের মধ্যে ১টি চেন, ২ জোড়া কানের দুল। গত ২৮ এপ্রিল ওসি তদন্ত হসিাবে কোটচাঁদপুর থানায় যোগদান করেন ইমরান আলম। তিনি যোগদান করেই প্রথম মামলার তদন্তভার নিয়ে তড়িৎ গতিতে ডাকাতির আসামী সনাক্ত করে, আসামি গ্রেপ্তারসহ মালামাল উদ্ধার করে। মামলার বাদি বাবলুর রহমান সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিগত দিনে কোটচাঁদপুরে একাধিক ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনার লুটকৃত মালামাল উদ্ধার তো দুরে থাক প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যে কারণে আমি এই মামলা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। তবে পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) ইমরান আলম তিনি দ্রুত আসামী সনাক্ত করে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করাসহ স্বর্ণালংকার কিছুটা উদ্ধার করায় পুলিশের প্রতি আবার আস্থা ফিরে এসেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমরান আলম জানান, গত ৩০ মে এই থানায় দস্যুতার মামলা হয়। মামলায় ৪জন অজ্ঞাত আসামি ছিল। মামলা গ্রহণের পরপরই ঘটনার সাথে জড়িত ৪জনকে আমি সনাক্ত করে ফেলি। শুরু করি অভিযান। এরই মধ্যে গত ২ মে দিনগত গভীর রাতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে এ মামলার প্রধান আসামি উপজেলার রেলস্টশেন এলাকার আত্তাপ মন্ডলের ছেলে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ডাবলু নিহত হয়। বাকি ৩ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেপ্তারসহ লুটকৃত কিছুু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ শহর জুড়েই প্রতিটি ফলের দোকানে অতি পচা ও নিন্ম মানের খেজুর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহর জুড়েই প্রতিটি ফলের দোকানে অতি নিন্ম মানের খেজুর বিক্রি করছে। যা রোজাদার ব্যাক্তিরা কিনে নিয়ে ইফতারি করছে। বিশেষ করে ফল ব্যবসায়িরা নিমান মানের বা পচা খেজুর অল্প টাকায় কিনে চড়া দামে বিক্রি করছে। চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে ও শহরের হামদহ, আরাপপুর,পায়রা চত্তর, মডার্ন মোড়, বাস টামর্নিাল, চাকলাপাড়া, হাটের রাস্তা, ‘ট’ বাজারের মধ্যে এসব নি¤œ মানের খেজুরবিক্রি করছে ফল ব্যবসায়িরা। প্রশাসন সব কিছু জানার পর ও বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না আর রোজাদার ব্যাক্তিরা খেজুর দিয়ে ইফতার করছে। পচা ও নি¤œ মানের খেজুর গুলি চটের উপর ঢেলে সরিষার তেল মিশিয়ে বিক্রি করছে। প্রতিদিন অসাধু ব্যবসায়িরা খেজুরে সরিষার তেল ও পলিথিনের তিরে সরিষার তেল লাগিয়ে খেজুর ভর্তি করে বিক্রি করছে। যা দেখলে মনে হবে উন্নত মানের খেজুর। সরিষার তেলে চকচক করে, কোন ভাবেই বুঝা যায় না পচা বা নি¤œ মানের খেজুর। সাধারন ক্রেতারা দাম কম বলে তারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে, ইফতারি করার জন্য। ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে ও শহরের হামদহ, আরাপপুর,পায়রা চত্তর, মডার্ন মোড়, বাস টামর্নিাল, চাকলাপাড়া, হাটের রাস্তা, ‘ট’ বাজারের বাজারে প্রতিটি ফলের দোকানে রয়েছে নি¤œ ও পচা খেজুর আর রোজাদার ব্যাক্তিরা ও অবাধে কিনছে। ঝিনাইদহ শহর জুড়ে বেশ কয়েক জন ফলের এজেন্ট রয়েছে,তাদের শ্রতিটি গোডাউনে তল্লাশি করলে নি¤œমানের খেজুর উদ্ধার করা সম্ভব। গোডাউনে শত শত বস্তা খেজুর রয়েছে গত বছরের। ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে সবচেয়ে বেশি ফল বিক্রি হয় প্রতিদিন। কিন্তু প্রতিটি দোকানের পিছনে পচা ও নি¤œ মানের খেজুর রেখে সরিষার তেল মাখাচ্ছেন, আবার কেউ পলিথিনে সরিষার তেল মাখাচ্ছে এভাবে খেজুর ভর্তি করে মুখ এটে দোকানে বিক্রি করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় বন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে আরেক বন্ধুর মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলতলা বাজারে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় আক্কাচ আলী (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত. গুনাই বিশ্বাসের ছেলে। অন্যদিকে, আক্কাচ আলীর মৃত্যুর খবর শুনে তার এক বন্ধু ও প্রতিবেশি ভাই বেড়বাড়ি গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে শওকত আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার লাশ শুক্রবার সকালে মায়াধরপুর গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। শওকত আলী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আক্কাচ আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যন্ত পৌছেও দিয়েছিলেন। রাত ১১টার দিকে আক্কাচ আলীর মৃত্যুর খবর শুনে তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শওকত আলী। মায়াধরপুর গ্রামের মাঠে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত শুরু হলে সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে তার ভাতিজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা শাহেদ আহম্মেদ জানান। প্রত্যক্ষদর্শী শাহারুল বারী জানান, বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজ পড়তে আক্কাচ আলী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মারা যান আক্কাচ আলী। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আক্কাচ আলীর সাথেই ছিলেন তার বন্ধু ও প্রতিবেশি ভাই শওকত আলী। ঢাকায় পাঠিয়ে ফরিদপুর থেকে শওকত আলী ফিরে আসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলতলা বাজারে। ১১টার দিকে শওকত আলী খবর পান তার বন্ধু আক্কাচ আলী ঢাকায় যাওয়ার পথে মারা গেছেন। এ খবর শুনে তিনি রাত সাড়ে ১১টার দিকে নির্জন মাঠের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। একই সঙ্গে দুই বন্ধুর মৃত্যুতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি ও রাজাপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার বাদ আসর তাদের নামাজে জানাযা শেষে যার যার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।