শনিবার ● ১১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » নওগাঁ » নওগাঁয় লোডশেডিং ও গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
নওগাঁয় লোডশেডিং ও গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁঁয় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ গ্রাহকেরা। দিন-রাতে ৮ থেকে ১০ বারও লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। রোজা এবং প্রচন্ড গরমে ত্রাহি অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্টি নওগাঁবাসী। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। লোডশেডিংয়ে অতিষ্টরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বলেছেন কোন লোডশেডিং নাই। হঠাৎ করে বাড়তি চাপের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে লোডশেডিংয়ে কারণে অফিস-আদালতেও স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। দিনে কমপক্ষে দিনে ১৫/২০ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এতে করে দিনে ৬/৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা। এভাবে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় কলকারখানায় মেশিন-যন্ত্রপাতিতে সুষ্ঠুভাবে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। প্রচন্ড গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি সমস্যায় পড়েছে।
গত ৬ মে থেকে রমজানের তারাবির পর থেকে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। বৈশাখের এই তপ্ত রোদ ও প্রচন্ড গরম। প্রায় ৩৫-৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াম তাপমাত্রা। কাটফাটা রোদে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমেছে। সূর্যের প্রখর তাপ সহ্য করতে না পেরে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। শহরের বাঙ্গাঁবাড়িয়া কলেজপাড়ার আব্দুল মান্নান ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘অনেকেই এখন সেহেরি রান্না করতেছে, আবার অনেক রোজাদার ব্যক্তিরা ঘুমাচ্ছে। মাঝ পথে বিদ্যুৎ চলে গেল। মেজাজটা কেমন লাগে। নওগাঁর বিদ্যুৎ কি খুব মহঙ্গা….???
মাস্টার পাড়া মহল্লার তপু হোসেন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, নওগাঁবাসী অতি শান্তিপ্রিয় তাই বিদ্যুৎ বিভাগের এটা সমবেদনা। শহরের খাস-নওগাঁ মন্ডলপাড়া মহল্লার মৌসুমি সুলতানা শান্ত বলেন, দিনে ২০/২৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এই প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এটার সুষ্ঠু সুরহা হওয়া দরকার। সদর উপজেলার বাচারী গ্রাম সোনার পাড়া আব্দুল কুদ্দুস বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ দিনে ২/৩ বার আসা-যাওয়া করে এবং ৫-৭ মিনিটের মধ্যে চলে আসে। তবে তেমন কোন লোডশেডিং নাই বললেই চলে। বিশেষ করে নামাযের সময় কোন সমস্যা হচ্ছেনা। নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ জেনারেল ম্যানেজার এনামুল হক বলেন, গত বুধবার ছিল চাহিদা ৬৫ মেগাওয়ার্ট এবং বৃহস্পতিবার ছিল ৬১ মেগাওয়াট। কোন লোডশেডিং নাই। চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁ প্রকৌশলী মুনির হোসেন বলেন, রোজা-রমজানে বিশেষ করে বিকেল ও সেহেরীতে একই সময় রান্না করা হচ্ছে। এতে করে ট্রান্সফর্মারে লোড পড়ছে। ফলে শহরের উকিলপাড়া, ডিগ্রীর মোড় ও কাঁঠাল তলীতে ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেছে। এছাড়া কয়েক জায়গায় তার পড়ে গেছে। আমাদের চেষ্টার কোন ক্রটি নাই। আমরা সর্বোচ্চ ভাল সেবা দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ ও চাহিদার কোন সমস্যা নাই।