মঙ্গলবার ● ১৪ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » ধান কাটা শ্রমিকের চরম সংকট : উৎপাদিত ধান বিক্রি করেও খরচ উঠছে না
ধান কাটা শ্রমিকের চরম সংকট : উৎপাদিত ধান বিক্রি করেও খরচ উঠছে না
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলায় বোরো ধান কাটা মাড়াইয়েল ভরা মৌসুম চলছে। কিন্তু ধান কাটা শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। কেননা একজন শ্রমিক ধান কাটতে সাড়ে ৪শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা মজুরী নিয়ে থাকে। আবার চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের দ্বারা এক বিঘা জমির ধান কাটতে শ্রমিক খরচ লাগছে ৪ হাজার টাকা। ফলে এ জেলার বোরো চাষিরা বিপাকে পড়েছে। জমিতে উৎপাদিত ধান বিক্রি করেও খরচ উঠছে না।
জানা গেছে, বৃষ্টি ও প্রখর রোদ থাকায় এবার জমির ধান একসাথে দ্রুত পেকে গেছে। ফলে একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা দরে। অথচ একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি হচ্ছে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। শ্রমিকের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। গত কয়েকদিনের ঝড়ো হাওয়া ও ফনির কারণে মাঠের বেশির ভাগ ধান নুইয়ে পড়ায় শ্রমিক লাগছে তুলনামূলক বেশী। মাঠে মাঠে স্বপ্নের সোনালী পাকা ধান থাকলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে বোরো ২৮ জাতের চিকন ধান চাষ করতে শ্রমিকের মজুরী, জমি চাষ, তেল, সেচ, সার, কীটনাশকসহ মোট খরচ পড়ছে সাড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ওই ধান চাষ করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে ২০ মণ থেকে ২৪ মণ। কিন্তু বাজারে বোরো ২৮ জাতের ধানের মূল্য এখন সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। মৌসুম সময়ে উৎপাদন ব্যয় মিটিয়ে দরিদ্র কৃষকের পক্ষে ধান মজুদ করে রাখা কোনক্রমেই সম্ভব হয় না। ফলে তারা এই বাজার দরেই বাধ্য হয়ে ধান বিক্রি করছে। এতে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে সাড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। যা দিয়ে সে উৎপাদন ব্যয় মেটাতে বাধ্য হচ্ছে। উদ্বৃত্ত থাকছে না কৃষকের ঘরে কোন ধান। অনেক পরিশ্রম করে ধান উৎপাদন করা সত্ত্বেও কৃষকের ঘর থেকে যাচ্ছে না চিরায়ত অভাব।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : সুন্দরগঞ্জে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
গাইবান্ধা :: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪মে) পর্যন্ত ৫ সম্ভাব্য প্রার্থী নিজে এবং তার মনোনীত প্রতিনিধি দ্বারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। যারা মনোনযনপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, চেযারম্যান পদে এরশাদ আলী (স্বতন্ত্র), আহসান হাবীব খোকন (জাপা)। পুরুষ ভাইস চেযারম্যান পদে সফিউল আলম (আ’লীগ)। মহিলা ভাইস চেযারম্যান পদে হোসনে আরা বেগম (জাপা) ও উম্মে সালমা (আ’লীগ)।
ঘোষিত তফশীল মোতাবেক ২১ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান, ২৩ মে মনোনয়নপত্র বাচাই, ৩০ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও ১৮ জুন ভোট গ্রহণ। উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ভোট সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৪১ ও মহিলা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১১টি।