বুধবার ● ১৫ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রংপুরে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ জাল নোট প্রস্তুতকারী গ্রেফতার
রংপুরে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ জাল নোট প্রস্তুতকারী গ্রেফতার
রংপুর প্রতিনিধি :: ভারতীয় ও বাংলাদেশী জাল নোট প্রস্তুুতকারী আলী হোসেন নামে এক সাবেক সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আরপিএমপি পুলিশ। আজ বুধবার সকালে নগরীর পীরজাবাদ এলাকার জুগিটারী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করে পুলিশ।
আজ বিকেলে কোতয়ালি থানায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, রমজান ও ঈদের কেনাকাটাকে ঘিরে জাল নোট সরবরাহকারী প্রতারক চক্রের সদস্যরা উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় উঠে হয়েছে। এই চক্রের সক্রিয় সদস্য ও জজাল নোট প্রস্তুতকারী আলী হোসেন জড়িত। সে দীর্ঘদিন ধরে জার নোটের মদমাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার তার রংপুরের জুগিটারীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় আলী হোসেনের শয়ন কক্ষে থাকা পুরোনো একটি লোহার ট্যাংক থেকে ১৬ লাখ দশ হাজার টাকার ভারতীয় ও বাংলাদেশী জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ৫শ’ ও ১ হাজার টাকার বাংলাদেশী জাল নোট সাড়ে ১১ লাখ ও ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা রয়েছে।
আরপিএমপি কমিশনার বলেন, গ্রেফতার আলী হোসেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার টাপুরচর গ্রামের মৃত আবেদ আলী ছেলে। সে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাবার পর জাল নোট তৈরির মাধ্যমে প্রতারণার ব্যবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে প্রিয় হাসপাতাল রংপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
রংপুর প্রতিনিধি :: পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হাসপাতালটি ১৯৪০ সালে মাটিনিটি, মাতৃমঙ্গল এবং শিশুমঙ্গল নামে পরিচালিত হত। পরে ১৯৯০ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। শুরু থেকেই এই হাসপাতালটি গর্ভবতী মায়েদের আস্থা অর্জন করেছে। অন্যদিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে প্রিয় হাসপাতাল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ফলে রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১১-২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ডেলিভারি হয়েছে ৬ হাজার ২১৬টি। এরমধ্যে সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে ২ হাজার ১০৫টি। নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৪ হাজার ১১১ টি। গর্ভকালীন সেবা নিয়েছেন ৪৯ হাজার ১৭৩ জন এবং প্রসব পরবর্তী সেবা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৯০১ জন নারী। শূন্য থেকে ১ বছরের শিশু চিকিৎসা নিয়েছে ১৩ হাজার ৯২২ জন এবং ১ থেকে ৫ বছরের শিশু চিকিৎসা নিয়েছে ১৯ হাজার ৬৮৫ জন। যৌন বাহিত রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৬৮৫ জন। প্রতিদিন শতাধিক রোগী বিভিন্ন প্রয়োজনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসেন।
নগরীর আশরতপুর গ্রামের মেহেদী সুজন বলেন, প্রথম সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে নিয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসি। কয়েকমাস আগে টাকা ছাড়াই এক আত্মীয়ের নরমাল ডেলিভারি এখানে হয়েছে। তাই ভরসা পেয়েই এখানে আসি। এখানে ল্যাবরেটরি সুবিধা নেই। তাই সব পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। এই সুবিধা থাকলে সেবার মান আরো বাড়বে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার বলেন, অনেক গরীব রোগী আছে, টাকা নেই। তাই তারা চিকিৎসা করাতে পারেন না। আমার কাছে এমন কেউ এলে রোগের ধরন শুনে কল্যাণ কেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেই।
রংপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মুহ্তারিমা বেগম রত্মা বলেন, সন্তান প্রসবে আমরা সব সময় নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করি। যে কোনো অপারেশন করাসহ ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিতে হয় এছাড়া প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আছেন তারাও রোগী দেখেন। তবে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় অনেক সুবিধা।
রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. এস. এম. সাইদুল ইসলাম বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রসব এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় কল্যাণ কেন্দ্রটি নিরলসভাবে কাজ করছে। ফলে রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোকবল বৃদ্ধির জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আমাদের অবকাঠামো সুবিধা আছে শুধু লোকবল এবং ল্যাবরেটরি সুবিধা থাকলে ১০ শয্যা থেকে ২০ শয্যায় উন্নীত করা সম্ভব।