বৃহস্পতিবার ● ১৬ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » কালীগঞ্জে প্রতারণা করার সময় ৩ ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার
কালীগঞ্জে প্রতারণা করার সময় ৩ ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: নিজেদের কখনো সাংবাদিক কখনো বা মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন প্রতারণা চালিয়ে আসছিল একটি প্রতারক চক্র। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল বাজারে বিভিন্ন বেকারীরতে চাঁদাবাজির করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। নিজেদেরকে কথিত বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির পরিচয় দিয়ে থাকেন এই তিন ভূয়া সাংবাদিক। স্থানীয় জনতা তাদের গণধোলায় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো-মাগুরা জেলার আবালপুর (ইটটুলা বাজারপাড়া) গ্রামের মৃত. নইমুদ্দিনের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৪৮), মাগুরা সদর থানার সাজিয়াড়া (মাঠপাড়া) গ্রামের মৃত. ইসমাঈল শেখের ছেলে ইমরান হোসেন (৩২) এবং মাগুরা জেলার সদর উপজেলার মালাঙ্গী (মাঝপাড়া) গ্রামের আরজ আলীর ছেলে মফিজুর রহমান (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দামী ক্যামেরা, বিভিন্ন পত্রিকার ভূয়া পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, চ্যানেল বাংলা টিভির বুম (মাইক্রোফোন), এন্ডোরয়েড মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির টাকা ও তাদের ব্যবহৃত সাদা রংয়ের ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৫২৭৫ প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। কালীগঞ্জ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে উপজেলার চাপরাইল বাজারে সাদা রংয়ের একটি দামী প্রাইভেট কারে দৈনিক খবর বাংলাদেশ ও প্রেস স্টিকার মেরে তারা চাপরাইল বাজারের বিভিন্ন বেকারিতে প্রবেশ করে তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী ও ক্রাইম রিপোর্টার দাবি করে ঐ বেকারির বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে কিনা তা জানতে চায়। পরে বেকারির কারখানার ভেতরে পরিদর্শন করে বের হয়ে বেকারির মালিকদের কাছে চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় তারা তার বেকারির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় বাজারের জনতার সন্দেহ হলে তারা ৩ জনকেই আটক করে গনধোলায়ের পর আমাদের হাতে তুলে দেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলমান আছে।
হত্যা নয় আত্মহত্যা করেছিল শৈলকুপার গৃহবধু সোনিয়া
ঝিনাইদহ :: হত্যা নয় আত্মহত্যা করেছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোয়ালখালি গ্রামের গৃহবধু সোনিয়া। সম্প্রতি তার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এতথ্য এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে সোনিয়ার মৃত্যু নিয়ে চলছে গ্রাম্য রাজনীতি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দুটি দল। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি মৃত্যুকে হাতিয়ার করে প্রতিপক্ষকে মামলার জাল আর বিপদে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে। ঘটেছে লুটপাটের মত ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রেমের সর্ম্পকের জেরে প্রায় ১ বছর আগে শৈলকুপা উপজেলার গোয়ালখালি গ্রামের ফিরোজ হোসেনের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয় একই গ্রামের বাদশা হোসেনের ছেলে সজিবের সাথে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা হচ্ছিল না সোনিয়ার। পাশাপাশি বাড়ি আর সোনিয়ার পরিবারের লোকজন গরীব হওয়ায় সোনিয়ার শ্বাশুড়ি মর্জিনা খাতুন মেনে নিতে পারছিলেন না বিষয়টি। তবে স্বামীর সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল সোনিয়ার। ভালবেসে বিয়ে করায় দু’জনের মাঝে সম্পর্ক ছিল খুব ভালো। দিনের পর দিন বাবার বাড়িতে যেতে না পারা, শ্বাশুড়ির খারাপ ব্যবহারের কারণে ২১ এপ্রিল ঘরের ফ্যানের সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সোনিয়া। এসময় সোনিয়ার স্বামী, শ্বশুড়, শাশুড়ী বাড়ির বাইরে ছিলেন। পরিবারের লোকজন বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস নেওয়ার বিষয়টি টের পাওয়ার পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখানে প্রায় ২ ঘন্টা পর মারা যায় সোনিয়া। আত্মহত্যা করার সময় সোনিয়া একটি নোট লিখে রেখে যায়। সেখানে তার মৃত্যুর জন্য শ্বাশুড়ীকে দ্বায়ী করে। স্বামীর কাছে যেতে না দেওয়া, রান্না ভালো হলেও রাগারাগি করার, স্বামীর সাথে গল্প করলে বকা-ঝকা করাসহ নানা বিষয় নিয়ে শ্বাশুড়ী তাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। এ ঘটনারপর থেকে শুরু হয় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর রাজনীতি। লাশ ময়নাতদন্তের পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের নামে মামলা না দেওয়ার অভিযোগ ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। স্বামী সজিবের বাড়ি ভাংচুর লুটপাট করে একটি পক্ষ। স্বামীর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও গ্রাম্য মাতব্বরের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে অপর পক্ষ লুটমামলা করেন আদালতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, সোনিয়া আত্মহত্যা করার দিন ফ্যান থেকে নামিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা হাটানো হয়েছিল। যদি তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হতো তাহলে প্রতিবেশীরা ফ্যান থেকে নামিয়ে জীবিত অবস্থায় কিভাবে পেল। তিনি আরও বলেন, শ্বাশুড়ি, শ্বশুড়, স্বামী খারাপ ব্যবহার করতো বলে সোনিয়া নোট লিখে গেছেন। এতে এটাই তো প্রমানিত হয় সোনিয়া আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সোনিয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে পুঁজি করে গ্রামের একটি পক্ষ অন্যপক্ষকে ফাঁসাতে ব্যস্ত। সজিবের বাড়ির মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে অপর পক্ষ। গ্রামের মাতব্বরকে ফাঁসাতে তার নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুনজর দেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, সোনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ওই সময় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। এতে সোনিয়া আত্মহত্যা করেছিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
কালীগঞ্জে ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ’ অফিসে মাদক ব্যবসা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দলীয় কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি মাদক কারবারীদের। আটক করা হয়েছে নারীসহ দুইজনকে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি মোড়ের এই অফিসটিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আটকেরা হলেন, উপজেলার ফয়লা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বজলুর রশীদ নান্নু (৫০) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে সোনিয়া আক্তার আকাশি (২১)। ঝিনাইদহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বজলুর রশীদ নান্নুর কাছ থেকে ৩০টি ইয়াবা ও ৫ বোতল ফেনসিডিল এবং সোনিয়ার কাছ থেকে ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় অফিসটিতে গিয়ে দেখা যায়, সাইন বোর্ডটিতে লেখা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রধান কার্যালয়, উপজেলা শাখা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ। সাইন বোর্ডে ঝুলানো আছে লজিটেক কোম্পানির একটি সিসি ক্যামেরা। যেটা দিয়ে সামনের রাস্তার পুরো অংশ দেখা যায়। সামনে দিয়ে কেউ অফিসে প্রবেশ করলে তিনি ঘরের মধ্যে থেকে দেখতে পারবেন। এই অফিসটির পিছনে নদী। বজলুর রশিদ নান্নু যখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন,তখন ঠিক একই অফিস থেকে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিল র্যাবের হাতে। দীর্ঘ কয়েক মাস জেল থেকে জামিনে ফিরে এসে আবার ঠিক দলীয় সাইনবোর্ড লাগানো অফিসে বসে মাদক ব্যবসা করছিল। অবশেষে বুধবার মাদকসহ ধরা খেল মাদক ব্যবসায়ি নান্নু।
শৈলকুপার পল্লীতে গৃহবধুর ছবির সাথে নগ্ন ছবি লাগানোর অভিযোগে মামলা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার পল্লীতে একগৃহ বধুর মুখের ছবির সাথে নগ্ন ছবিসংযুক্ত করে তা পোষ্টার আকারে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করার অপরাধে ১ব্যক্তির নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা যায়, জেলার শৈলকুপা উপজেলার চরধলহরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রবিউল ইসলামের কন্যা রাবেয়া আক্তারের সাথে একই গ্রামের মৃত. ইয়াকুব আলীর ছেলে ইনসান কবিরের সাথে ১১/৩/২০১৮ ইং তারিখে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর ইনসান কবির সিঙ্গাপুর চলে যায়। এব্যাপারে গৃহবধু রাবেয়া আক্তার জানান, স্বামী বিদেশ চলে যাবার পর শশুড় বাড়ির লোকেরা আমার উপর মারধর করাসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। সেই সাথে জীবন নাশের হুমকি দেয় এবং তার ছবি কম্পিউটারের মাধ্যমে নগ্ন আাকারে তা ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন জায়গাতে প্রচার করা হবে বলে তার ভাষুর পুত্র ইউনুছ আলী হুমকি দেয় ও স্বামীর বাড়ী থেকে মারধর করে আমাকে বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেয়। এদিকে গত ২৯ শে এপ্রিল তারিখে ইউনুচ আলী নামের এক ব্যক্তি অন্য দেহের সহিত রাবেয়ার মুখের ছবি সংযোজন করে রবিউলের বাড়ির ঘরে ,গাছে সহ বিভিন্ন স্থানে টানাতে দেখতে পায় বলে রাবেয়ার বাবা রবিউল ইসলাম জানান। তার জের ধরে রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় আবদুর রশিদের পুত্র উইনুছ আলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে পর্ণোগ্রাফির একটি মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আঃ রাজ্জাক জানান আসামি ধরার জন্য আমি জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আসামি ধরতে পারলে এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে
চিকিৎসার জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা কামনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন প্লাস প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থী নৌশিন তাবাসসুম মায়িষা জিবিএস রোগে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও ৮ম শ্রেণির জে এস সি পরীক্ষায় জি পি এ ৫ পেয়েছিল মায়িষা। তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা কামনা করেছেন। নৌশিন তাবাসসুম মায়িষার পিতা জান্নাতুল ফেরদৌস জনি বলেন, আমি দীর্ঘ দিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরীক্ষীত একজন কর্মী। দলের কাছে আমার নিজের জন্য কিছুই চাওয়ার নেই। কিন্তু আমার প্রাণ প্রিয় সন্তানের চিকিৎসার জন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্থিক সহযোগীতা কামনা করছি। আমি সন্তানের চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ১২ লাখ টাকারও বেশী খরচ করেছি। সহায় সম্বল বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসা করিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে আমার একার পক্ষে চিকিৎসা ব্যায়ভার বহন করা সম্বব হচ্ছে না। চিকিৎসক বলেছেন একটানা প্রায় ৩ বছর যাবৎ তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। এতে প্রচুর টাকা ব্যায় হবে। তাই আমার এই মেধাবী সন্তানকে বাচাতে প্রাধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করছি। এছাড়াও তিনি সন্তানের সুস্থতা কামনা করে দেশ বাসির কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেনকে হত্যার হুমকি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বিশ^াসকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তিনি জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের পক্ষের লোকজন পরাজিত হওয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার সকালে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রিংকু, তুহিন, চান্দা আলী, বল্টু, আলাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ঝন্টুসহ বেশ কয়েকজন লোকজন তাকে খুজে না পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে। তখন তারা আমাকে উদ্যেশ্য করে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনাটি এলাকার অনেকেই বিষয়টি অবগত আছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল ২ শিশু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলপৈতা গ্রামের শিশু পাচারকারীদের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল দুই শিশু। বুধবার সকালে মাঠে ছাগল চড়ানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। শিশুরা হলো, মঙ্গলপৈতা গ্রামের তাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৮) ও মনিরুল ইসলামের ছেলে রাজু হোসেন (৬)। এই দুই শিশু মঙ্গলপৈতা মাদ্রাসার ছাত্র। স্থানীয়রা জানায়, রমজান মাসে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় গ্রামের মাঠে ছাগল চড়াতে যায় এই দুই শিশু। এরপর বস্তা হাতে দুইজন ব্যক্তি তাদের দিকে এগিয়ে আসে। তাদেরকে বিস্কুট খাওয়ার কথা বলে। এসময় শিশুরা বিস্কুট খেতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর শিশু রাজু হোসেনকে বস্তায় ভরার পর হাত-পা বেঁধে মিলনকে বস্তায় ভরার চেষ্টা করে। এ সময় শিশু মিলন চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী জমিতে থাকা কৃষকরা এগিয়ে এলে শিশু পাচারকারী দুই ব্যক্তি তাদের ফেলে রেখে দৌড়ে পালায়। কালীগঞ্জ থানার সুবর্ণসারা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই সৈয়দ আলী জানান, এ ঘটনা শোনার সাথে সাথে ক্যাম্প থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মহেশপুরে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুল্লা গ্রামে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিহাদ হোসেন (১৯)কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জিহাদ কুল্লা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোটচাঁদপুর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দীন জানান, বুধবার সকালে শিশুটির মা বাড়ির উঠানে ধান শুকাচ্ছিলেন। তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। শিশুটি ঘরের ভিতর একা একা খেলছিল। এ সুযোগে প্রতিবেশি জিহাদ (১৮) ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে বখাটে শিশুটিকে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার ও ধর্ষক জিহাদকে অটক করে। ভুক্তভোগি শিশুকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।