মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ধানের মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে গাইবান্ধায় সংহতি সমাবেশ
ধানের মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে গাইবান্ধায় সংহতি সমাবেশ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: সকল ইউনিয়নে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন গাইবান্ধা জেলা সংসদের উদ্যোগে শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এক সংহতি সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়।
পংকোজ সরকারের সভাপতিত্বে সমাবশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, শিক্ষক তপন কুমার বর্মণ, ক্ষেতমজুর নেতা মশিউর রহমান মইশ্যাল, আপন কুমার বর্মন, রানু সরকার, ওয়ারেছ সরকার, রবিউলি ইসলাম রবি, জাকির হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, কৃষক তার ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে জমিতেই ধানে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, বস্তা ভর্তি ধান নিয়ে সড়ক অবরোধ করছে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিচ্ছে। কিন্তু কৃষকবান্ধব সরকারের তাতে টনক নড়ছে না। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে শিক্ষার্থী হিসেবে তারা চরম সংকটে পড়বেন। কারণ এদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী কৃষকের সন্তান। ছাত্রনেতারা বলেন, শিক্ষার আন্দোলন ছেড়ে কৃষকদের সাথে সংহতি জানাতে তারা এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ এটি তাদের শিক্ষার সাথে সংশ্ষ্টি। তারা অবিলন্বে সকল ইউনিয়নে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে সরাসরি কৃষকের নিকট ধান ক্রয় করার আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন, অবিলন্বে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা শুরু না হলে কৃষকদের সাথে নিয়ে দেশব্যাপী হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত-১ : আহত ১০
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক সংঘর্ষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আব্দুল হাই প্রধান হাইচ (৪৬) নামে একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের গাউছিয়া পাড়ার মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুল হাই প্রধান হাইচ ও একই পরিবারের মৃত আজি গাছুর ছেলে শাজাহানের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে প্রথমে বাকবিতন্ডা এবং পরে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল হাই প্রধানসহ উভয়পক্ষের ১১ জন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল হাই প্রধানকে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। আহতদের মধ্যে আনোয়ারা বেগম (৭০), চপেলা বেগম (২৯), আরিফ মিয়া (১৯) ও জবেনুর আক্তার (১৯) পলাশবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে নিহতের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম পলাশবাড়ি থানায় ৭ জন অজ্ঞাতনামাসহ ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পলাশবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।