বুধবার ● ২২ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বাঁধ সংস্কার নদী ভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিরোধে বরাদ্দের দাবি
গাইবান্ধায় বাঁধ সংস্কার নদী ভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিরোধে বরাদ্দের দাবি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বাঁধ সংস্কার নদী ভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিরোধে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে আজ বুধবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জলবায়ু পরিষদের সহযোগিতায় সদর উপজেলার ১৩টি ইউপি চেয়ারম্যান এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত ১৪৬ বছরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর ভাঙনে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর এই দীর্ঘ সময়ে নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছে এই চার উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, ঘাগোয়া, খোলাহাটি ও গিদারী ইউনিয়নের নদী ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশী।
নদী ভাঙনের কারণে মোল্লারচর, ঘাগোয়া, বাদিয়াখালী, খোলাহাটি, কামারজানি ও গিদারী ইউনিয়নে প্রতিবছর বন্যা হয়। ঘাঘট, মানস ও আলাই নদী ড্রেজিং না করার কারণে বর্ষা মৌসুমে এই নদীগুলো প্লাবিত হয়। এর ফলে প্রতিবছর গাইবান্ধা সদর উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। এছাড়া বসতবাড়ি, গবাদি পশু, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনো স্লুইসগেট না থাকার কারণে খোলাহাটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী বন্যা হয়। তদুপরি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন রোগে ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জলবায়ুর এ সমস্ত ক্ষতি মোকাবেলায় পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় স্লুইসগেট নির্মাণ, ভাঙন রোধে পাইলিং করা, নদী ড্রেজিং ও পাড় সংস্কার, বিল সমূহের পানি নিস্কাশনে খাল খনন, নদী ভাঙন রোধে গ্রোয়েন নির্মাণ ও নদী ভাঙনে বাস্তুচ্যুত মানুষের স্থানান্তর রোধের জন্য সরকারি খাসজমিতে গুচ্ছগ্রামে তৈরী করে আবাসন ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এ কারণেই গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অতিরিক্ত বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মোল্লাচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই, বোয়ালীর চেয়ারম্যান এএস মাজেদ উদ্দিন খান, কামারজানির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল সালাম জাকির, লক্ষ্মীপুরের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল, বল্লমঝাড়ের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ঝন্টু, গিদারীর চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ইদু, জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাড. জিএসএম আলমগীর, মো. আব্দুর রশিদ, সুজন প্রসাদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু পরিষদের নেতাকর্মী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মেম্বররা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: সুন্দরগঞ্জে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
গাইবান্ধা :: শেষ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনযনপত্র দাখিলের শেষদিন মঙ্গলবার (২১ মে) পর্যন্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন।
চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা হলেন- এস.এম সোলায়মান সরকার (স্বতন্ত্র), মো. আহসান হাবীব (জাপা), আশরাফুল আলম সরকার (আ’লীগ), মো. খয়বর হোসেন (স্বতন্ত্র), মো. শরিফুল ইসলাম (গণফ্রন্ট) ও গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ (স্বতন্ত্র)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হচ্ছেন- মো. সফিউল ইসলাম, আল শাহাদত জামান, মো. আব্দুর রাজ্জাক তরফদার, মো. শওকত আলী, সুরজিত কুমার সরকার, আসাদুজ্জামান মনি ও ফেরদৌস আমিন। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা হচ্ছেন- হোসনে আরা বেগম, উম্মে সালমা, আল্পনা রাণী গোস্বামী, ফেরদৌসি বেগম ও হাফিজা বেগম কাকলী।
ঘোষিত তফশীল মোতাবেক ২১ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান, ২৩ মে মনোনয়নপত্র বাছাই, ৩০ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও ১৮ জুন ভোট গ্রহণ। উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ভোট সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৪১ ও মহিলা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১১টি।