বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » মির্জাগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের উৎপাত
মির্জাগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের উৎপাত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের উৎপাতে দিশেহারা হয়ে পরছপ রোগী ও তাদের স্বজনরা। আবার হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা রোগীদের হাত থেকে ডাক্তারের দেয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে রাখেন ও দেখেন। তাঁর কোম্পানির ওষুধ ডাক্তার লিখেছেন কিনা।
জানা যায়, মির্জাগঞ্জের উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকে মহিলা দালাল নিয়োগ করেন এবং তারা হাসপাতাল থেকে রোগীদের কাজ থেকে পরিক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দালালরা ওইসব ক্লিনিকে নিয়ে যান। এতে রোগীরাদের সঠিক ভাবে পরিক্ষা-নীরিক্ষা না হওয়ায় রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চাল থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রতিদিনিই প্রতারনার শিকার হচ্ছেন এসব দালালদের হাতে। দালালদের আধিপত্যের কাছে দুর্বল হয়ে পড়ে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। বারবার তাদেরকে বলা সত্বেও থেমে নেই দালালের উৎপাত। আবার হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে ক্লিনিক মালিকদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠায় তারা ওইসব ক্লিনিকে রোগীদের পাঠিয়ে দেন এমন অভিযোগ রয়েছে রোগীদের । হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এসব দালালদের উৎপাত ঠেকাতে তাদের তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, আমি এখানে প্রথম আসার পরে দালালদের উৎপাত বন্ধ ছিলো। ক্লিনিক মালিকদের ডেকেও হাসপাতালে দালালরা উৎপাত যাতে না করে সে ব্যাপারে নিদের্শ দেয়া হয়েছিলো। এখন রোগীদের সাথে এরকম ব্যবহার করলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সকাল ১০ থেকে ১টার মধ্যে হাসপাতালে প্রবেশ নিষেদ এবং হাসপাতালের মূল ফটকে নোটিস দেয়া হয়েছে। তবে কোন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ওই সময়ে মধ্যে হাসপাতালে প্রবেশ করে ডাক্তারদের ভিজিট করার চেষ্টা করেন তাহলে ফারিয়ার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে আলাপ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।