বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে ফের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে আ’লীগ নেতা অপহরণ
বান্দরবানে ফের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে আ’লীগ নেতা অপহরণ
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি থোয়াইচ মং মারমা (৫০)কে অপহরণ করে নিয়ে গেছে পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।
গতকল বুধবার (২২ মে) রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার ২নম্বর কোহালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর উজিমুখ পাড়া থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এই অপহরণের ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রাত ১০ টায় বান্দরবান শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার নেতৃত্ব দেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা মারমা।
বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, আমাদের পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর থোয়াইচ মং মারমাকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বান্দরবান শহরের মুক্তমঞ্চে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, সদর উপজেলার রাজবিলাতে গত ১৫ দিন ধরে একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একের পর এক যে তান্ডব লীলা চালাচ্ছে আমরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ও আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছি। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি এই সন্ত্রাসীদের। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে না পারবে রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো। তিনি আরও বলেন, এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আমরা যেকোন কিছুর বিনিময়ে প্রতিহত করবো। যারা সন্ত্রাসীদের লালন পালন কর্তা তাদের উদ্দেশ্যে বলবো বিগত দিনে মংপু মার্মাকে হত্যা করা হয়েছে। গত ৪-৫ দিন আগে আমার কর্মিকে হত্যা করা হয়েছে সর্বশেষ আজকে অপহরণ করা হলো পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিকে এপরিস্থিতিতে আমরা বসে থাকতে পারি না। প্রয়োজনে আমরা নেতা-কর্মী-সমর্থক নিয়ে গ্রাামগঞ্জে প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অপহরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, অপহরণের ঘটনার আমরা খবর পেয়েছি। বান্দরবান সদর থানা পুলিশের একটি দল সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। অভিযানের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক আওয়ামী লীগ কর্মি ক্যচিং থোয়াই মারমাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে গত ৯ মে একই এলাকার ২ নম্বর রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির আরেক সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগেও গত ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছিল। এছাড়া একই ঘটনায় অপহরণ করা হয় পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামের অপর এক কর্মীকে, এখনো তার কোনো লাশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ বুধবার ২নম্বর কুহালং ইউনিয়নের উজির মূখ পাড়ায় বান্দরবান পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর কাউন্সিলর থোয়াইচ মং মারমা (৫০)কে অপহরণ করেন পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এলাকায় একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।