বৃহস্পতিবার ● ৩০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের বিক্ষোভ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য অধিকার ফোরামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বৃট্রিশ আমেরিকান টোবাকো কর্তৃক দীঘিনালা ৮ মাইলের ঘটনা উল্লেখ করে কথিত চাঁদাবাজীর অভিযোগে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বাদীকে চাপ প্রয়োগ করে মামলা করতে বাধ্য করা, কর্মসূচি চলাকালীন কেন্ত্রীয় সমন্বয়ক সাদ্দাম হোসেন সহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে নির্যাতনের হুমকি দেওয়ায় সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা বায়েছুল ইসলাম কে প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। আজ ৩০ মে বৃহস্প্রতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় শহরের চেঙ্গিস্কোয়ার হতে মিছিল টি শুরু হয়ে মূল মূল সড়ক প্রদক্ষিন করে শাপলা চত্তরে এসে ঘন্টাব্যাপী সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে পার্বত্য অধিকার ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব ও মাটিরাঙা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম বলেন- আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মাঈন উদ্দীন সহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো খাগড়াছড়ি শাখা যে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করেছেন তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিশেষ গোষ্ঠির ইন্ধনে দায়ের করা এই মামলায় পার্বত্য অধিকার ফেরামের নেতাকর্মীরা কোন ভাবে জড়িত নয়। কারন যে স্থানে ঘটনা বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেটি সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠন ইউপিডিএফের ঘাটি। ঐ স্থানে দিনের বেলায়ও সাধারন বাঙালি ও পার্বত্য অধিকার ফোরামের নেতাকর্মীদের জন্য নিরাপদ নয়। এই স্থান টিতে গত ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে চাঁদার জন্য মাঈন উদ্দীন কে লক্ষ্য করে তার কোম্পানীর গাড়ি তে গুলি করলে একজন চালক নিহত ও দুইজন আহত হয়। কিভাবে ঐখানে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীরা গভির রাতে গাড়ি থামিয়ে ত্রিপল ও রশি কেটে তামাক নামিয়ে আগুন দেওয়া সম্ভব?
তবুও কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়া বাদী কে মামলা করতে চাপ দেয় তদন্ত কর্মকর্তা বায়েছুল ইসলাম। ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্বেও কেন্দ্রীয় সদস্য খোরশেদ কে থানায় ডেকে নিয়ে ২৪ ঘন্টা আটক রাখে, তার কাছে সত্তর হাজার দাবী করে তদন্ত কর্মকর্তা বায়েছুল ইসলাম। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা দেখানো হয়। পরবর্তিতে রিমান্ড চাইবে ভয় দেখিয়ে তার থেকে ২৫ হাজার টাকা নেয় তদন্ত কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর পাহাড়ে অবৈধ তামাক উৎপাদনের জন্য পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস কে অস্ত্র কেনার জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে পরিবেশ ধ্বংশকারী এই তামাক উৎপাদন করে আসছেন। ঐ সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, হত্যা গুম অপহরণ বন্ধ , পাহাড়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বিতর্কিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সংশোধনী বাতিলের দাবী ও শান্তিবাহিনীর বোন বাসন্তী চাকমার অপসারনের দাবীতে নিয়মিত মাঠে আন্দোলন কর্মসূচি করছেন পার্বত্য অধিকার ফোরাম। ঐ সকল আন্দোলন কর্মসূচি হতে আমাদের দূরে সড়িয়ে রাখতে বিশেষ গোষ্টি ইন্ধন দিয়ে সুকৌশলে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সাহাবুদ্দীন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সাদ্দাম হোসেন,খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুুগ্ন আহবায়ক মোক্তাদির হোসেন,জেলা আহবায়ক সদস্য মনসুর আলম হীরা, নারী অধিকার ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা আহবায়ক সালমা আহম্মেদ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি আলামিন হোসেন, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরাম দিঘীনালা উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাপ হোসেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহম্মেদ, মাটিরাঙা উপজেলা শাখার সদস্য সৌরভ হোসেন, সদর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মনির ,মছা ও বাবুল অন্যান্য শাখার গুরুপ্তপূর্ন নেতাকর্মীগন।
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ হয়রানী বন্ধ করতে ১ লা জুন শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবী আদায় না হলে আগামী ২ রা জুন রবিবার হতে খাগড়াছড়ি জেলায় হরতাল পালন করা হবে।