বৃহস্পতিবার ● ৩০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » পলাশবাড়ীতে ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় বাবার লিখিত অভিযোগ
পলাশবাড়ীতে ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় বাবার লিখিত অভিযোগ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বৃদ্ধা বাবা-মার ওপর নির্যাতন, প্রতারণা করে জমি লিখে নেয়া ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে চার ছেলের বিরুদ্ধে। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে অসহায় বাবা বাদি হয়ে চার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে পলাশবাড়ী থানায় আবদুস সামাদ, মিজানুর রহমান, আজিজার রহমান ও লেবু মিয়াসহ চার ছেলেকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ করেন বৃদ্ধ বাবা আলহাজ জয়নাল আবেদিন। লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্যাতিত বৃদ্ধ বাবা-মার পাশে থাকাসহ তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হিজলগাড়ী গ্রামের। ওই গ্রামের মৃত্যু কিশমত উল্লাহ আকন্দের ছেলে আলহাজ জয়নাল আবেদিন। স্থানীয়রা জানায়, জয়নাল আবেদিনের চার ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে দুই ছেলে নিজ এলাকা ব্যবসা আর দুই ছেলে দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বাড়ির পাশেই ইট ভাটার ব্যবসা করতেন। জয়নাল আবেদিন তার চার মেযেকে বিযে দিয়েছেন অনেক আগেই। জয়নাল আবেদিনের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় পিয়ারা বেগম এক নারীকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়ারা বেগমের কোন সন্তান নেই। বর্তমানে চার ছেলে বিবাহ করে আলাদা সংসার করছেন।
জয়নাল আবেদিনের অভিযোগ, ২০০৭ সালে হজ্বে যাওয়ার সময পার্সপোর্ট আর ভিসার কথা বলে টিপ সহি নিয়ে কৌশলে সাড়ে ১৪ বিঘা জমি লিখে নেয় চার ছেলে। প্রতারণা করে জমি লিখে নেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা করেন তিনি। মামলার পর যোগসাজসি জাল দলিলের প্রমাণ মিললে আদালত তার পক্ষে ডিগ্রী জারি করেন এবং সৃজনকৃত প্রমাণ মিললে আদালত তার পক্ষে ডিগ্রী জারি করেন এবং সৃজনকৃত প্রমাণ মিললে আদালত তার পক্ষে ডিগ্রী জারি করেন এবং সৃজনকৃত দলিল বাতিলের ঘোষণাসহ বিবাদীদের নোটিশ দেয় আদালত।
তিনি বলেন, ‘আদালতের ডিগ্রীর পর থেকে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চার ছেলে। জমি লিখে নিতে স্বাক্ষরের চেষ্টা, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়াসহ তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন চার ভাই। এতেও রাজি না হওয়ায় গত ২৩ মে বিকেলে চার ভাই মিলে তার বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তার ছেলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়ারা বেগমকে মারধর করে’
সৎ মা পিয়ারা বেগমের অভিযোগ, সব জমাজমি ছেলেদের দখলে থাকায় কোন রকমে স্বামীকে নিয়ে দিন কাটছে তাদের। বর্তমানে মাথার গোঁজার ঠাঁই হিসেবে বসতবাড়ি-ভিটের শুধু জীর্ণ দুটি ঘর আছে। বর্তমানে স্বামীকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘জীবনের শেষ বয়সে এসেও ছেলেদের নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে প্রতিকার চেয়ে চার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া ছেলেদের প্রাণনাশের হুমকিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি’।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আইনী আশ্রয় নেয়া বৃদ্ধা বাবার লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বৃদ্ধ বাবা-মায়ের নিরাপত্তায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য তাদের খোঁজখবরসহ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শুধু আশ্বাসই নয়, নিরাপত্তাসহ শেষ সম্বল রক্ষা ও জীবনের বাকি সময়টুকু যেন নিজ বাড়িতেই থাকতে পারেন, এমনটাই দাবি, হতভাগা বাবা-মার।
গাইবান্ধায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে কলেজ ছাত্রী শান্তা
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ঈদের কেনাকাটা জন্য টাকা না পেয়ে বাবা-মা ও ভাইয়ের সাথে অভিমান করে বিষপান আতœহত্যা করেছে শান্তা আকতার নামে এক কলেজ ছাত্রী।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ফলগাছা কাচারি পাড়া গ্রামের শাহেরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শান্তা আকতার সবার অজান্তে কীটনাশক পান করলে গুরুতর অসুস্থ্য হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কতর্বরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করে। ঈদের কেনাকাটার জন্য শান্তা ভাই ও বাবা-মার নিকট টাকা চাইলে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলে। সেই অভিমানে সে বিষ পানে আতœহত্যা করে। শান্তা চলতি বছর ফলগাছা স্কুল হতে এসসি পাশ করেছে এবং কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এনিয়ে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।