শুক্রবার ● ৩১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কণ্যাদহ গ্রামে দু’দল গ্রামবাসির সংঘর্ষে আহত-১৫
কণ্যাদহ গ্রামে দু’দল গ্রামবাসির সংঘর্ষে আহত-১৫
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কণ্যাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আহতদের মধ্যে সাইদুল বিশ্বাস (৪০), কবির হোসেন (৪২), আফাঙ্গির বিশ্বাস (৩৫), রেজাউল বিশ্বাস (৫৫), লিটন মন্ডল (৩৬), শিপুল হোসেন (৩৫), বশির উদ্দিন (৪৬), মুকুল হোসেন (৩৫), তাজরুল ইসলাম (৩৯), ইন্তাজুল ইসলাম (৪৫), মফিজুল ইসলাম (৪০), দিদার হোসেন (৩৯)সহ ১৫ জন। এ ঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে। হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে কণ্যাদহ গ্রামের জাহিদ মন্ডল ও সাইফুল বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েক দিন আগে জাহিদ মন্ডলের সমর্থক মমিনকে মারধর করে সাইফুল বিশ্বাসের লোকজন। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন রামদা, লাঠিসোটা,সুড়কী ও দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে তিনি আরও জানান।
ঝিনাইদহে শহীদ জিয়ার ৩৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ শহরের কে আহম্মদ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম মশিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সাংঠনিক সম্পাদক এড এম এ মজিদ, বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, সাজেদুর রহমান পাপপু, আহসান হাবিব রণক ও আশরাফুল ইসলাম পিন্টু প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তাগন বলেন, শহীদ জিয়া বাংলাদেশে বহুদলীয় গনকন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। তার সততা ও সুশাসনে বাংলাদেশ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। আলোচনা সভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ মাহাথীর লিপইয়ার।
পদ্মাকর ইউনিয়নের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নতুন কর আরোপ ছাড়াই ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯’শ ৫০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নিজামুল গনি লিটু এ বাজেট ঘোষণা করেন। উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ইউপি সচিব সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আলম হোসেন, মিকাইল হোসেন, জাহিদ হোসেন, রিনা বেগম, পরিতোষ কুমার, হাসিয়ারা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে পয়সার পরিবর্তে চলছে চকলেট ব্যাবসা
ঝিনাইদহ :: এক টাকা, দুই টাকার ধাতব মুদ্রা এখন ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোয় অচল হয়ে পড়েছে। এমনকি ব্যাংক, বীমা, এনজিও, এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাই সবার কাছে এ মুদ্রা অচল বলে গণ্য হচ্ছে। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষুদে চা-পানের দোকানগুলোতে ধাতব মুদ্রা নিতে চায় না ব্যবসায়ীরা। যার ফলে এ নিয়ে ক্রেতা, বিক্রেতার মধ্যে প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে কথা কাটাকাটি। কোথাও দেখা গেছে, মারামারি হাতাহাতিতে রুপ নিয়েছে এই মূদ্রা গ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে। সরেজমিনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় বেশ কিছু মুদি দোকানে দেখা যায়, ধাতব মুদ্রার পরিবর্তে ব্যবসায়ীরা চালাকি করে চকোলেটকে মুদ্রা হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। ক্রেতা, বিক্রেতার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করে ২ অথবা ১ টাকা বিক্রেতার কাছে ক্রেতার যখন পাওনা থাকে তখন বিক্রেতা ক্রেতাকে ওই টাকা না দিয়ে ক্রেতাকে এক অথবা দুইটি চকোলেট ধরিয়ে দেয়। এতে ব্যবসায়ীদের বাড়তি লাভ দেখা যায়। উপজেলার ৯ নং ইউনিয়নের দামুকদিয়া গ্রামের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা মহিলা বুলবুলি বেগম বলেন, অতীতে আমরা মাটির তৈরি ব্যাংকে ১ টাকা, ও ২ টাকার মুদ্রা জমিয়ে রাখতাম। যখন অনেক টাকা জমা হতো তা দিয়ে ছেলে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্রাদি কিনতাম। এখন আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে সেই মাটির তৈরি ব্যাংকও কারো বাড়িতে সহজে মেলে না। যার জন্য পয়সা জমানোও যায় না। আর যদিওবা কেউ পয়সা জমিয়ে রাখে, সেই পয়সা নিয়ে পড়তে হয় বিপদে, কারণ ওই পয়সা দিয়ে কেউ পন্য ক্রয় করতে পারে না। বাজারঘাটে এই পয়সা কোন ব্যবসায়ী গ্রহণ করতে চায় না। চোখ মেললেই এখন দেখা যায় ফকফকে পরিষ্কার কাগজের বড় বড় নোট। এমন দিন আসবে নতুন প্রজন্ম ধাতব মুদ্রার নাম শুনবে কিন্তু চোখে দেখবে না। ছোট-বড় একাধিক দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন ,বড় ব্যাবসায়ীরা ধাতব মুদ্রা না নিলে আমরা এ মুদ্রা কিভাবে চালাবো? মধ্যম শ্রেণির ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, বড় নামি-দামী ব্যাবসায়ীদের কাছে ধাতব মুদ্রা অচল। ১ টাকা, ২ টাকায় কোন কিছুই পাওয়া যায় না এখন। তাছাড়া যে মানের মূদ্রাই হোক-না কেন সংখ্যায় বেশি হলে তা গুনতে ঝামেলা বলে, এ মুদ্রা তারা গ্রহণ করেন না বলে জানালেন একাধিক ছোট- বড় ব্যাবসায়ী ও দোকানদারেরা।