রবিবার ● ২ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » বগুড়া » গাবতলীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হচ্ছে ঈদ সামগ্রী
গাবতলীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হচ্ছে ঈদ সামগ্রী
বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়ার গাবতলী বালিয়াদিঘীর কলাকোপায় সিরাজুল হক তালুকদার মেমোরিয়াল ক্লাবের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হচ্ছে নগদ অর্থ, শাড়ী, লুঙ্গি ও ঈদ সামগ্রী। দুঃখী মানুষদের খোজখবর এবং অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছাও বিনিময় করতে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে ছুটে চলেছে জয়।
সাধারন দুঃস্থ ও অসহায়-গরীব মানুষদের মন জয় করতেই সমাজসেবক সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়ের ব্যতিক্রমি নানা উদ্যোগ অতিমধ্যেই এলাকায় বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। দিনরাঁত পরিশ্রম করে এসব ঈদ সামগ্রী বিতরনে নিরলসভাবে কাজ করতে দেখা গেছে ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয় ও তাঁর ক্লাব সদস্যদের কে। সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয় গাবতলী এলাকার সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু’র বড় পুত্র ও সাবেক এমপি মরহুম সিরাজুল হক তালুকদারের বড় নাতি। গরীব-দুঃখী মানুষের মন জয় করতে এবং ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আজও তাঁরা বালিয়াদিঘী, মহিষাবান ও নশিপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রায় পরিবার সদস্যদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এ সময় উপস্থিত থেকে ক্লাবের সকল কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করতে সহযোগিতা করে থাকেন ক্লাবের সহ সভাপতি মাহবুবুল হক টনি, সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিম, সদস্য শফিকুল, হাকিম, নুরুন্নবী, সেলিম, কাদের ও সোহেল’সহ সকল সদস্যবৃন্দ। এ বছরে ঈদ সামগ্রী বিতরনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান। এ বিষয়ে নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান জানান, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে জন্য নিবেদীত প্রান সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়। ইতিমধ্যে সাধারন মানুষের মাঝে ভালবাসার নিবির সর্ম্পক বা সেতু বন্ধন তৈরী করেছেন তিনি। ফলে ভাল কাজের জন্য এখন এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ও সাড়া পড়েছে। যে সব গরীব মানুষদের দেখার কেউ নেই সে সব গরীব পরিবারের প্রতি জয়ের নজর সবচেয়ে বেশী। ফলে আজ সে সব পরিবার জেন একটি বস্ত্র (কাপড় বা নগদ অর্থ) পেয়ে তাদের পরিবারে জেন ঈদ আনন্দ খুশির বাতাস বইছে। বৃদ্ধ ও ছোট শিশুদের মুখে জেন ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
এছাড়াও প্রতিদিন সিরাজল হক তালুকদার মেমোরিয়াল ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদরের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে নতুন কাপড় হাতে তুলে দিচ্ছেন সিরাজুল হক তালুকদার মেমোরিয়াল ক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান এবং বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন জুয়েল ও বগুড়া জেলা ছাত্রদলের নেতা আশিকুল কবির তালুকদার সরন, গাবতলী উপজেলা ছাত্রদলের ১যুগ্ম আহ্বায়ক মৌতাসীন বিল্লা মুন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের নেতা টিএম ফারকাদ সানজি বাঁধন ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন ইসলাম তুইন, শিবগঞ্জ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ বিপুল এবং উক্ত ক্লাবের সকল সদস্য বৃন্দ। ঈদকে সামনে রেখে ক্লাবের নানা ব্যতিক্রমি ধরনের উদ্যোগ ইতিমধ্যে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেক দুঃস্থ মানুষের এখন সাহায্য ও সহযোগিতা নিরাপদ স্থান এই সিরাজুল হক তালুকদার মেমোরিয়াল ক্লাব। এছাড়াও ক্লাবটি ইতিমধ্যে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা উপকরন বিতরন, বৃক্ষরোপন, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ রোধ, দুঃস্থদের মাঝে চাল ও অর্থ বিতরন এবং অসহায় রোগীদের সাহায্য করে আসছে। এমনকি ক্লাবটি এখনো শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতেও নানা কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন। পিছনে পড়া সমাজব্যবস্থা কে এগিয়ে নিতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। নিরক্ষরতা ও বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে কয়েকটি চমকপ্রদ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন জয়। বেকাররত্ব দুরীকরন, স্বাস্থ্য সেবা ও জনকল্যান মূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। স্ব-স্ব-গ্রামের গবীর ও অসহায় মানুষদের তালিকা করে তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে কাজ করা হচ্ছে। এভাবেই প্রতি বছরের মত এবছরেরও ঈদ উপলক্ষে ক্লাবের উদ্যোগে বিতরন করা হচ্ছে কাপড়’সহ লাচ্ছা সেমাই, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দুধ, পাউডার, লুডুলস, আতপ চাল ও মসলা সামগ্রী। আর এসব ঈদ সামগ্রী পেয়ে গরীব মানুষের ঘরে ঘরে জেন আনন্দের বন্যা বাইছে। জাতীয় দিবস কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি পালন করা হয় সমাজ সেবামূলক নানা কার্যক্রম। মানুষের নানা সমস্যা সমাধানে ক্লাবটি দিনরাঁত কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও ইউনিয়নের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে ক্লাবটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এভাবেই সাধারন মানুষের মন সহজেই জয় করে নিয়েছে সমাজসেবক সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়। তাই সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের মুখে কখনো জয় ভাই। আবার কখনো জয় কাকা ও ভাতিজা বলে বেশ জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে। ক্লাবের প্রতিষ্টা সভাপতি সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয় জানান, এ ঈদে জেন প্রতিটি পরিবার আনন্দ খুশিতে থাকতে পারে সেজন্য আমরা দিনরাত ঈদ সামগ্রী বিতরন করছি। ঈদ ছাড়াও সমাজ এবং জনকল্যাণমূলক নানা কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে আরো ব্যাপক ভাবে জনকল্যান ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।
শেষ মুহুতে জমে উঠেছে গাবতলী’র ঈদ বাজার
বগুড়া :: পবিত্র ঈদ উল ফিতর’কে সামনে রেখে বগুড়া শহর’সহ গাবতলী উপজেলায় কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। গ্রাম্যঞ্চলের হাট বাজারের বিপনীবিতান’সহ মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটায় ভীড় বাড়ছে। ঈদুল ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দোকানপাট গুলোতে বিক্রি বাড়ছে।
জানাযায়, বগুড়া জেলার সকল মার্কেট’সহ গাবতলী পৌরসভা এলাকায় ও ১১ইউনিয়নে মার্কেটগুলোতে হাজারো তরুন-তরুনী প্রতিদিন কেনাকাটা করছে। অনেকেই পরিবার পরিজনদের জন্য নতুন কাপড়, জুতা, গহনা, শিশু’দের পোষাক কিনছে। আবার কেউ কেউ ছুটছে শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে। নি¤œবৃত্ত মানুষ ছুটছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এই ঈদে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভীড় চোখে পড়ার মত। গতবছরের চেয়ে এবছরে পোষাক ও ঈদসামগ্রীর দাম বেড়েছে। টেইলার্স গুলোতে অর্ডার নেওয়া ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে। দর্জিপাড়ায় বাড়ছে কারিগরদের ব্যস্ততা। ফলে নতুন জামাকাপড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দর্জিরা। দিনরাঁত কাপড় সেলাই মেশিনে বসে কাজ করছেন তারা। তবে রেডিমেইট পোষাকের চাইতে অনেকের পছন্দ হাতে বানোনো কাজ বরা পোষাকের। এবছরে দর্জিদের কদর বেড়েছে। রংধনু কালেকশন ও ইউনিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স প্রোপাইটার মোঃ আব্দুল মালেক মালু জানান, এবারে ঈদে বেশ অর্ডার পেয়েছি। দম ফেলানোর সময় নাই। সবচেয়ে বেশী কাজ করতে হচ্ছে কারিগরদের। দিনরাঁত সমানতালে কাজ করছেন তারা। দোকানে নারী-পুরুষদের পাশাপাশি হুজুররা অর্ডার দিয়েছে। শিশু ক্রেতা সাবিদ বিন আব্দুল মালেক জানান, এ ঈদের নতুন কাপড় ও মেহেদী রং-বেলুন কিনেছি। ঈদপর একটি বাই সাইকেল কিনতে হবে। তরুন ক্রেতা অহেদুল ইসলাম খোকন জানান, নতুন রেডিমেইট পোষাক কিনেছি। দামটা একটু বেশী। তবুও এ ঈদে নতুন পোষাক চায়। কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মৌমিতা ও রক্সী জানান, এবার ঈদে লং ড্রেস কিনেছি। তবে কসমেটিক্সের পাশাপাশি মেহেদী রং কিনতে হবে। ক্রেতা অপু, অনিম, জাহিদ, জাহাঙ্গীর ও রেজা জানান, দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছি। ইউনিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স কাপড় কাটার মাষ্টার উজ্জল, সুমন, মাহফুজার জানান, এ ঈদে কাপড়ের অর্ডার সবচেয়ে বেশী পেয়েছি। কাপড় বিক্রি ভাল হচ্ছে। ঈদের সময় যতই এগিয়ে আসছে বিক্রি ততই বাড়ছে। ঈদে কিশোর কিশোরী’রা নতুন পোষাক বেশী কিনছে। তবে তরুন’দের পাঞ্জাবী, পায়জামা, র্শাট, টির্শাট, জিন্স প্যান্ট, ফতুয়া। আর তরুনীরা কিনছে থ্রি-পিছ, সালোয়ার কার্মিজ, ওড়না, শাড়ি, কসমেটিক্স, জুতা সেন্ডেল’সহ সকল প্রয়োজনীয় ঈদসামগ্রী। এছাড়াও পরিবারের প্রধান কর্তাগণ কিনছেন লাচ্ছা সেমাই, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দুধ, পাউডার, লুডুলস, আতপ চাল ও মসলা সামগ্রী।