শনিবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল:শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল:শিক্ষামন্ত্রী
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) থেকে :: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে৷ ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিলো৷ সবাই স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলেও কেবল মাত্র জামায়াত ও তার প্রভুরা এখনও স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি৷ যারা আমাদের জাতীয় পতাকাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে আগুনে পুড়িয়েছিলো সেই কুলাঙ্গারদের বিএনপি মন্ত্রী বানিয়েছিলো৷ এখন আর সেই দিন নাই৷ স্বাধীনতার চেতনায় আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি৷ তিনি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি উত্সব উপলক্ষ্যে শনিবার (৯ জানুয়ারী) বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে স্বাধীনতার ইতিহাস উল্টো পড়ানো হয়েছিলো৷ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দিয়েছিলো স্বাধীনতা বিরোধী চক্র৷ ৩০দশক আমরা এগুতে পারিনি৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে৷ বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়৷ বাংলাদেশকে আর কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা৷ এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়তে সরকার কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
বিদ্যালয়ের ৭০বছর পূর্তি উত্সব কমিটির আহবায়ক, লেখক ও কলামিস্ট অ্যাডভোকেট আনছার খাঁনের সভাপতিত্বে উত্সবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- অ্যাডভোকেট আবু জহির এম.পি, আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু এম.পি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এম.পি, সায়রা মহসিন এম.পি, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এম.পি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য ড. আতফুল হাই শিবলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়লের অতিরিক্ত সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বনমালী ভৌমিক, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মুশফিক আহমদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুত্ফুল হাই জামী, রাজনীতিবীদ শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম, নবিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উত্সব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আজিজুল হক শিবলী৷ স্কুল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিৰক নিজামুল ইসলাম৷ কোরআন তেলাওয়াত করেন নওশের খান শাহপরাণ ও গীতা পাঠ করেন ননী গোপাল৷
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- উত্সব উদযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও সিলেটের এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান সেলিম, সামছুল কিবরিয়া চৌধুরী, মুনায়েম খান, শাহ মনসুর আলী নোমান, আবু ইয়াহইয়া মুজাহিদ, সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক শিৰক শামসুল ইসলাম, শায়েসত্মা মিয়া জায়গীরদার প্রমুখ৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিৰামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন- হবিগঞ্জের শিক্ষার উন্নয়নে ইতোমধ্যে সরকার ৫০ কোটিরও বেশি টাকার কেবল ভবন নির্মাণে ব্যয় করেছে৷ ভবন নির্মাণ করলেই হবেনা, শিক্ষার্থীদেরকে ভালো ও আধুনিক শিক্ষায় দানের মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ এদেশ থেকে ৫০হাজার মেট্রিক টন চাল শ্রীলংকায় রপ্তানি করা হয়েছে৷ দশ হাজার মেট্রিক টন চাল নেপালে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়েছে৷ বিদু্যত্এ বিপ্লব ঘটেছে৷ একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷
দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয় একটি পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানকে কলেজ পর্যায়ে উনি্নত করার আশ্বাস দেন৷
অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুজাফফর হোসেন, নবীগঞ্জ কলেজের অধ্যৰ অধ্যাপক গোলাম হোসেন আজাদ, ইনাতগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জিন্নাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আনোয়ারম্নল হক, স্থানীয় চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া, সমাজসেবী শাহজাহান সিরাজ, রবিউল হাসান খান রাজু, আবুল কালাম ছোটনসহ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রী ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন৷
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আসলে তাকে সালাম জানায় স্কাউট সদস্যরা৷ পরে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়৷ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন ৷ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রী মেজর (অব) সুরঞ্জন দাশ এর আমন্ত্রনে উপজেলার বড় ভাকৈর(পশ্চিম) ইউনিয়নে কীর্তি নারায়ন কলেজে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন৷ পরে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় দিনব্যাপী পূনর্মিলন উত্সব৷