রবিবার ● ৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন সাঘাটার দুলালী বেগম
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন সাঘাটার দুলালী বেগম
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলায় দুলালী বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূ একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। চার সন্তানের মধ্যে দুটি ছেলে শিশু ও দুটি মেয়ে শিশু। বর্তমানে মা ও চার শিশু সবাই সুস্থ আছে। শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় শহরের কলেজ রোডের গাইবান্ধা ক্লিনিকে অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি। দুলালী বেগম ওই উপজেলার শিমুল তাইড় গ্রামের ভ্যানচালক শাহ আলমের স্ত্রী।
গাইবান্ধা ক্লিনিকের ডা. একরাম হোসেন জানান, আজ বিকেলে দুলালী বেগম পেটের ব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হয়। আলট্রাসনোগ্রাম করে আমাদের ধারনা ছিল তিনটি সন্তান হবে। পরে অস্ত্রপ্রচার করে চার সন্তান এক সঙ্গে জন্ম নেয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন সদ্য জন্ম নেয়া নবজাতককে দেখতে ভিড় জমায়। তিনি আরো জানান, একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম নেওয়া আমাদের ক্লিনিকে এটাই প্রথম।
গাইবান্ধা জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা জেলা আইন শৃংখলা কমিটি ও আইন শৃংখলা বিষয়ক অন্যান্য মাসিক সভা রবিবার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিটির উপদেষ্টা গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওহারী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেবুন নাহার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, জেলা চেম্বার অব কমার্স সভাপতি শাহজাদা আনোয়ারুল কাদির, জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি কাজী মকবুল হোসেন প্রমূখ।
জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা, যানজট নিরসন, অবৈধ লাইসেন্স বিহীন ইটের ভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ইটের ভাটা থেকে ইট ক্রয় করে পরিবহনকালে কাস্টমস্ কর্তৃক ট্যাক্স প্রদান না করায় যানবাহন আটক সম্পর্কে আলোচনাসহ আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে জেলার চোরাচালান প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটি, জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি, জেলা পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, নারী ও শিশু পাচার সংক্রান্ত মামলাসমূহের যথাযথভাবে মনিটরিং, নারী ও শিশু পাচার সংশ্লিষ্ট ভিকটিমদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন কমিটি, ঔষুধের অনিয়মক প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা অ্যাকশন কমিটি, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন ও প্রচারণা কমিটি, জেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, গাইবান্ধাকে এই ক্যাটাগরী জেলায় রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নতুন একটি উপজেলা গঠনে সমুন্বিত উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, মাদক নিয়ন্ত্রন, যানজট নিরসন এবং গাইবান্ধার সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জেলার উন্নয়নে একটি ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপন করেন। তিনি বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনে জিরো ট্রলারেন্স ভূমিকা নিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বালাসীঘাট-বাহাদুরাবাদ ঘাটের মধ্যে পুনঃরায় স্বলতম সময়ে ফেরী চলাচল শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন,
সভায় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য, ৭টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, র্যাব, বিজিবি, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, জেলাসহ সকল বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি শুমারি উপলক্ষে গাইবান্ধায় বর্ণ্যাঢ্য র্যালী
গাইবান্ধা :: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধিনে রবিবার গাইবান্ধায় কৃষি শুমারি উপলক্ষে আলোচনা ও বর্ণ্যাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রেজোয়ানা কবির, সিভিল সার্জন ডা. মো. এবিএম আবু হানিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওয়ারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবির, সাংবাদিক আবেদুর রহমান স্বপন, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পরিতোষ শর্মা, আমিরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, কৃষি হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। নানাবিধ প্রতিকুলতা সত্ত্বেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশে^র রোল মডেল তাই টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পার মাধ্যমে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।
উল্লেখ্য ৯ জুন থেকে আগামী ২০ শে জুন পর্যন্ত কৃষি (শস্য, সৎস্য ও প্রনিসম্পদ) শুমারির আওতায় পল্লী ও শহর এলাকায় কৃষি তথ্য সংগ্রহ করা হবে।