রবিবার ● ৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিয়ের আসর থেকে ভুয়া সেকেন্ড লেফটেন্যান্টকে গ্রেফতার করল বে-রসিক পুলিশ
বিয়ের আসর থেকে ভুয়া সেকেন্ড লেফটেন্যান্টকে গ্রেফতার করল বে-রসিক পুলিশ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রতনহাট গ্রামে বিয়ের আসর থেকে জীবন চৌধুরী টিটন নামের এক ভূয়া সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার ভোররাতে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত টিটন মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ধানহাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার অসিার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান খান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, টিটন নিজের নাম পাল্টে শ্রাবন বলে সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে রতনহাট গ্রামে একটি মেয়েকে বিয়ে করছিল।
এসময় পরিবারের লোকজনের তার আচরণে সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে সদর থানার এস আই শাখাওয়াত হোসেন তাকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় একটি ভূয়া পরিচয়পত্র। তার নামে মহেশপুর থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী জানান, টিটন বিভিন্ন সময় নিজেকে সেনা কর্মকর্তা, র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ৪ থেকে ৫ বিয়ে করেছে। তার বর্তমানে স্ত্রী ও একটি ছেলে আছে। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম এলাকায় জামাত নেতা হিসাবে পরিচিত।
শৈলকুপায় পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেলো চুরি মামলার আসামী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পুলিশের চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে মটরসাইকেল চুরি মামলার আসামী আকাশ পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার কুলচারা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার দুধসর ব্রীজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শৈলকুপা থানার এসআই এমদাদ জানান, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পলাতক আসামী আকাশকে স্থানীয় ভাটই বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শৈলকুপা থানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। তাকে নিয়ে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দুধসর ব্রীজপার হওয়ার সময় চলন্ত মটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরে সঙ্গে থাকা কনষ্টেবল মনিরকে নিয়ে ঘটনাস্থলের আশ পাশের দুধসর মাঠে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। এদিকে মামলার বাদী পক্ষ অভিযোগ করেছেন টাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দিয়েছে এসআই এমদাদ। মামলার বাদী শৈলকুপা উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের খলিল বিশ্বাসের ছেলে রোকনুজাজামান রোকন জানান, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মোবাইল করে এসআই এমদাদ ভাটই বাজারে আসে। এরপর আসামি ধরার জন্য তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। এক হাজার টাকার নোট এসআই এমদাদের হাতে তুলে দেয় রোকন। আসামি আকাশ বাজারেই ছিল। স্থানীয়দের সাহায্যে তাকে আটক করা হয়। আকাশকে এসআই এমদাদ তার নিজস্ব মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে এবং পিছনে একজন কনষ্টেবলকে নিয়ে শৈলকুপা থানার দিকে চলে যায়। মাত্র কয়েক মিনিট পরে বিকেল ৫টার দিকে রোকনকে এসআই এমদাদ মোবাইল ফোনে জানায় যে, আসামি মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন, ঘটনাটি দু:খজনক। শৈলকুপা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।