সোমবার ● ১০ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » শিশু খাদিজা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না পুলিশ
শিশু খাদিজা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না পুলিশ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে আলোচিত শিশু খাদিজা হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না পুলিশ। এ নিয়ে তারা এখনো অন্ধকারে। ফলে, কে বা কারা কোন কারণে খাদিজাকে হত্যা করেছে-মিলছে না এর উত্তরও। ঘটনার ১ মাস ১০দিন অতিবাহিত হলেও আজ সোমবার পর্যন্ত এর সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাদের ধারণা, শিশু খাদিজাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকে শিশুটির মা-বাবাসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও হত্যা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পায়নি তদন্তকারী পুলিশ।
গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিঙ্গেরকাছ বাজারের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুস সালামের আজিম এপার্টমেন্টের নীচতলার একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে (নীচতলায়ই ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করা) ভ্যানচালক শাহিনুর রহমানের চার বছর বয়সী শিশু খাদিজা বেগমের গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
খাদিজার মা সুবেনা বেগম সে সময় সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিনকার ন্যায় ওইদিন ভোরে তার স্বামী শাহিনুর ভ্যানগাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। তখন খাদিজাসহ অন্য দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। যখন ঘুম ভাঙ্গে, তখন দেখতে পান খাদিজা পাশে নেই। তিনি বাসার অন্যান্য বাসিন্দাদের কক্ষে ও সিঙ্গেরকাছ বাজারের আশপাশে খুঁজেও সন্ধান পাননি খাদিজার। বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বামীকে অবগত করেন। এরপর খাদিজার সন্ধান পেতে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। দুপুরের দিকে তাদের পার্শবর্তী পরিত্যক্ত কক্ষটি (এর আগে কক্ষটি তালাবিহীন অবস্থায় থাকত) তালাবদ্ধ দেখে সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে রান্নাঘরের দেয়ালে দুটি লোহার আলপিনে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত খাদিজার লাশ দেখতে পান।
এ ঘটনায় খাদিজার দাদা সুনামগঞ্জ জেলার দণি সুনামগঞ্জ উপজেলার বীরকলস গ্রামের মৃত অছরত উল্লাহর পুত্র আছমত আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী রেখে ২ মে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা (নং-১) দায়ের করেন। কিন্তু মামলায় হত্যার কোনো কারণ এবং নির্দিষ্ট আসামী না থাকায় এর রহস্য উদঘাটনে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, এখানো হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। যে কারণে কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।