মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১১ পিসিজেএসএস নেতাকর্মী ১৪ দিনের রিমান্ডে
বান্দরবানে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১১ পিসিজেএসএস নেতাকর্মী ১৪ দিনের রিমান্ডে
বান্দরবান প্রতিনিধি :: পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় (পিসিজেএসএস) এর ১১জন নেতাকর্মীকে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা চীফ জুডিসিয়ল ম্যাজিট্রেটের (আমলী) আদালত।
আজ মঙ্গলবার ১১জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করলে বান্দরবান জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর (আমলী) আদালতের বিচারক কামরুন নাহার এই পৃথক ৩ মামলায় মোট ১৪ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত (২২ মে) বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াই মারমা হত্যার ঘটনায় সদর থানায় দায়ের করা জিআর ১৭৮/১৯ নম্বর মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠিনক সম্পাদক কেএস মং মারমা, ক্যবা মং মারমা, বাসিং মং মারমা, মেরুং মারমা, চাইহ্লা মারমাকে পাঁচ দিন রিমান্ড দেন। গত (১৮ মে) ক্যচিং থোয়াই মারমা হত্যার ঘটনায় জিআর ১৬৭/১৯ মামলায় নতুন জয় তংচঙ্গ্যা, দিপন তংচঙ্গ্যা, মিন থোয়াই অং মারমাকে পাঁচ দিন ও (৯ মে) জয়মনি তংচঙ্গ্যা হত্যা মামলায় দায়ের করা জিআর ১৫৪/২০১৯ মামলায় উচিং মং মারমা, মংতু মারমা ও উসাইনু মারমাকে চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করে (আমলী) আদালত।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস। এই ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর পাল্টাপাল্টি হত্যার অভিযোগ করে আসছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বলছেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা মারমার ছত্রছায়ায় মগ লিবারেশন পার্টি এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের দাবি এই হত্যাকান্ড ও অপহরণ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পিসিজেএসএস’ই করেছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ও কুহালং এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে চারজন নিহত ও একজন অপহৃত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন আওয়ামী লীগের ও দুইজন পার্বত্য চট্টগ্রম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর সমর্থক। এদের মধ্যে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আ.লীগ কর্মি ক্যচিং থোয়াই মারমাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে গত (৭ মে) সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়া অপহরণ করা হয় পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামের অপর এক কর্মীকে, এখনো তার কোনো লাশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার ২দিনের মাথায় গত (৯ মে) ২ নম্বর রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(পিসিজেএসএস)এর সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করেন। সর্বশেষ গত বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ৫নং নম্বর ওয়ার্ড এর পৌর কাউন্সিলর চথোয়াই মং মারমা (৫০)কে অপহরণের পর হত্যা করেন পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ।