মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » বরগুনা » মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান
মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান
বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনায় মসজিদে দান করা জমিতে রাতের আধারে জোরপূর্বক ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ৯নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামে ঘটেছে। মাদারতলী গ্রামের মো. শাহিন জোমাদ্দার জানান, মসজিদের জমিতে রাতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান ছাড়াও ওই রাতেই পাশের জমিতে মোখলেসুর রহমান মোল্লার মাছের ঘেরের ঘর থেকে ঘেরের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও মাছের ৫ বস্তা খাবারও লুট করেছে আনোয়ার হক, চুন্নু, সিদাম, ইউসুফসহ আনোয়ার হকের লোকজন।
মোখলেসুর রহমান মোল্লা জানান, যে জমিতে আনোয়ার হক ঘর তুলেছেন সে জমিটিও তাদের এবং জমিটি মসজিদে তাদেরই দান করা। জমিটি তাদের অন্য একটি জমির সাথে বদলিয়ে মসজিদকে দিয়ে গত ৩০ বছর ধরে ওই জমিটিতে চাষাবাদ করে আসছিলেন তারা। তিনি বলেন, আনোয়ারদের সাথে এই জমি নিয়ে বিরোধ ছুটছেই না। আদালতে মামলাও চলছে। অনেকবার শালিস ডেকেও কোন লাভ হয়নি। একটার পর একটা অন্যায় করে যাচ্ছে আনোয়ারের পরিবার।
এ বিষয়ে সরজমিনে ঘুরে আনোয়ার হকের সাথে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, জমির ২১২১ দাগ আমাদের। ২০২২ দাগ মসজিদের। ঘর তোলা জমিটা ২০২০ ও ২০২১ দাগের। আমরা ছোট থাকতে মোখলেস চাচারা জমির দাগ ভেঙে তাদের মধ্যে নিয়ে গেছে। আমিন ডেকে অনেকবার মাপজোপ করেছি। অবশেষে আমিনের মাইপা দেয়া আমাদের পাওনা জমিতে পিলার বসাইয়া এখন ঘর তুলছি।
মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহতাব হোসেন ও সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ মুসুল্লি বলেন, জমিটি মোখলেসুর রহমান মোল্লার ওয়াকফ করা হলেও তারা বর্তমানে অন্য একটি জমির সাথে মসজিদে জমি বদলিয়ে ভোগ করছেন।
অপরদিকে পাশের জমির আনোয়ারদের দাবি তাদের জমির ১৬ শতাংশ অংশ রয়েছে এই জমির মধ্যে। এনিয়ে আদালত ও সালিশ ব্যবস্থায় তাদের দাবি করা জমির সন্ধান না পেলেও জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো তারা। মসজিদ কমিটি একাধিকাবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অবৈধভাবে ঘর তুলেছে আনোয়ার।
বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি।