মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ওসি মোয়াজ্জেমের আদি বাড়ি ঝিনাইদহ বৈডাঙ্গা গ্রামে
ওসি মোয়াজ্জেমের আদি বাড়ি ঝিনাইদহ বৈডাঙ্গা গ্রামে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি যশোরে। শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় যৌথ পরিবারে বসবাস। ওয়ারেন্ট জারির পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন মা মনোয়ারা বেগম ও ভাই আরিফুজ্জামান খন্দকার। যদিও স্ত্রী ও সন্তান কুমিল্লায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার সকালে ওসি মোয়াজ্জেমের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্বিতল বাড়িটিতে ছোট দুই ভাই ও একমাত্র বিবাহিত বোন বর্তমানে মায়ের সঙ্গে এখানে থাকছেন। মোয়াজ্জেমের স্ত্রী-সন্তান কেউ থাকেন না। ওসি মোয়াজ্জেমের বাবার নাম খন্দকার আনসার আলী। পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। তার এক ভাই সৌদি আরব ও আরেক ভাই আমেরিকা প্রবাসী। তাদের আদি বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামে। বাবার চাকরি সুবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে যশোর শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মোয়াজ্জেম এই বাড়িতে থেকেই শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। তবে চাকরিতে প্রবেশের পর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ কমে গেছে তার। ১৯৯৭ সালে উপপরিদর্শক পদে পুলিশে যোগদান করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। ২০১০ সালের দিকে পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান। প্রায় দেড় বছর সোনাগাজী থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। ওসি মোয়াজ্জেমের তৃতীয় ভাইয়ের স্ত্রী রেকসোনা খাতুন জানান, মাস ছয়েক আগে বাবার মৃত্যু বার্ষিকীর পর আর বাড়িতে আসেননি মোয়াজ্জেম। তার শ্বশুরের আদি বাড়ি ঝিনাইদহে। যশোর সদরের পুলেরহাটেও একটি বাড়ি আছে তাদের। তবে সেটা ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহে তিন দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে তিন দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চত্বর থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। পরে এক আলোচনা সভা অুনুষ্ঠিত হয়। সে সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এাড: আব্দুর রশিদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোফাকখারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরষ্কার প্রাপ্ত গ্রীণ চাষী ইদ্রিস আলী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রোকনুজ্জামান। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী এ মেলায় ১৫ টি স্টল স্থান পেয়েছে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া মেলা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পরিবহন থেকে জোরপূর্বক অবৈধ চাঁদা আদায়ের সময় সেনাবাহিনীর পিটানি খেয়ে ৩ চাঁদাবাজের ভো দৌড়
ঝিনাইদহ :: মহাসড়কে পরিবহন থেকে জোরপূর্বক অবৈধ চাঁদা উত্তোলন সময়ে সেনাবাহিনী হাতে ফরিদ উদ্দিন, শরিফুল ও কবির হোসেন নামে ৩ চাঁদাবাজ ধরাশাহী হয়েছেন। সেনা সদস্যরা তাদেরকে ধরে বেধড়ক মারপিট করেছেন। পরে চাঁদাবাজরা আর চাদাবাজী করবেনা এমন মুচলেকা মাফ চেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পায়। মঙ্গবার দুপুরে ঢাকাÑখুলনা মহাসড়কের কালীগঞ্জ শহরের টিএন্ডটি অফিসের সন্মুখে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় দুপুর ১২ টার দিকে শহরের মেইন বাসষ্টান্ড থেকে ২ শত গজ দুরে টিএন্ডটি অফিসের সন্মুখে ৪/৫ জনের একদল চাঁদাবাজ মহাসড়কে বাস, ট্রাক সহ বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চাঁদা তুলছিল। এমনি সময়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ী এসে ওই যানজটে পড়ে। এ সময় সেনা সদস্যরা গাড়ী থেকে নেমে এসে দেখে ৪/৫ জন লাঠিধারী যুবক বাস ট্রাক থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। তারা চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তাদেরই ৩ জনকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। পরে পায়ে ধরে চাজাবাজি আর করবেনা মাফ চেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পায় চাঁদাবাজরা। তারা হলেন শহরের আড়পাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন, ফয়লা গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। উল্লেখ্য, বছরের পর বছর দীর্ঘদিন একটি মহলের নির্দ্দেশে ওই চাদাবাজরা কালীগঞ্জ মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করত। গত ঈদের আগে থেকে প্রশাসনের নির্দ্দেশে মহাসড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষনা করায় কিছু দিনের জন্য চাঁদা তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রশাসনের ওই নির্দ্দেশ অমান্য করে এ সপ্তাহ থেকেই আবারো চাঁদা তোলা শুরু করে ওই চাঁদাবাজরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার সেনাসদস্যদের হাতে মার খেয়ে পালিয়েছেন তারা। এরা প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা এখানে ও কলা হাটের মোড়ে সড়কে লাল কাপড়ের পতাকা লাঠির মাথায় বেধে বাস, ট্রাক, পিকআপ সহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক ৬০ টাকাহারে চাঁদা আদায় করতো। এরা এক সাথে ৫ জন করে চাঁদার টাকা আদায় করতো। কোন যানবাহন টাকা না দিলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় ও লুকিং গ্লাস ভেংগে দেওয়া হয়। এ টাকা তুলতে প্রতিদিন ও সর্ব সময় যানবাহনের মরাতœক ভাবে জ্যাম হয়ে থাকে। ঈদের ৩ দিন আগে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার ঘোষনা দেওয়ার পর সড়কে অবৈধ চাঁদার টাকা আদায় বন্ধ থাকে। অবশেষে আবার ৯ তারিখ সকাল থেকে যানবাহনে চাঁদার টাকা আদায় শুরু হয়। দীর্ঘ বছর ধরে ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি সড়কে চাঁদার টাকা জোর পূর্বক আদায় হয়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইউনুচ আলী জানান, তিনি ওই সময়ে মিটিংয়ে ছিলেন। রাস্তায় চাদাতোলা সংক্রান্ত কোন মারপিটের ঘটনা তিনি জানেননা।
শৈলকুপায় ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ :: শহরের কোলাহল থেকে একটু শান্তির পরশ আর বিনোদন পেতে দুপুর থেকেই ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মাঠে আসতে শুরু করে বিনোদন প্রেমীরা। কেউবা হেটে কেউবা সাইকেল বা মোটর সাইকেলে। উদ্দেশ্যে বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা দেখার। আর বিনোদন পাওয়া ও অপরকে বিনোদন দিতে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিল নানা বয়সী মানুষ। কোয়াড়ে, ঢাউস, চিলা, বেড়া, ফিঙ্গেসহ প্রায় ১০ প্রকার রং বেরংয়ের ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রতিযোগিরা। হাওয়ায় ভেসে থাকা ঘুড়ি সবার উপড়ে ওঠানোর লড়ায় চলে বিকাল পর্যন্ত। ৩ টি ক্যাটাগড়িতে হয় প্রতিযোগিতায়। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সোমবার শৈলকুপা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মাঠে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় যুবসমাজ। মনোমুগ্ধকর ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ও দেখতে মাঠে ভীড় করে নানা বয়সী মানুষ। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার দাবি তাদের। ঝিনাইদহ শহর থেকে যাওয়া ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান টিটো বলেন, ঘুড়ি ওড়ানোর খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। ছোট বেলায় গ্রামে এ প্রতিযোগিতা দেখেছি। অনেক দিন পর এ প্রতিযোগিতা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। শৈলকুপা উপজেলা থেকে আসা আরাফাত হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা দেখতে আমি খুবই আনন্দিত। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করা উচিত। যেন বর্তমান প্রজন্ম বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারনা পাই। নিজে আনন্দ পাওয়া আর অন্যকে আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বলে জানালেন অংশগ্রহণকারীরা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া পুটিমারি গ্রামের পঞ্চাযার্ধে বশির উদ্দিন বলেন, ছোট বেলা থেকেই গ্রামের মাঠে ঘুড়ি উড়িয়েছি। যেখানেই এ প্রতিযোগিতায় হয় সেখানেই যায়। মুলত পুরস্কার জেতা মুল উদ্দেশ্যে নই। আমি আনন্দ পাই আর ঘুড়ি দেখে অন্যরা আনন্দ পায় এটাই মুল উদ্দেশ্যে। আয়োজক ওই গ্রামের নাজমুল ইসলাম বলেন, হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আর তা বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এ আয়োজন। দিনভর এই প্রতিযোগিতায় ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শতাধিক ব্যক্তি তাদের ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কালীগঞ্জে প্রাইভেটকার ছিনতাইকারীচক্র সন্দেহে এক প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ্দ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রাইভেটকার ছিনতাইকারীচক্র সন্দেহে রনজিত বিশ^াস ওরফে রফিক (৪০) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে জনতা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার খয়েরতলা থেকে জনতা তাকে ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে থানা পুলিশের পুলিশে সোপর্দ্দ করে। আটক প্রতারক রফিক মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিপাড়ার গোপাল বিশ^সের পুত্র। কালীগঞ্জ কার মাইক্রোবাস সমিতির চালক সদস্য মাসুদ জানায়, গত ৫ দিন আগে প্রতারক রফিক প্রতিদিন ৩২ শত টাকা করে ১৫ দিনের জন্য তার প্রাইভেট কারটি ভাড়া নিয়েছিল। প্রাইভেটে করে ৫ দিনে সে জীবননগর ও মহেশপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এরিমধ্যে প্রতারক রফিক প্রাইভেটের ৫ দিনের ভাড়ার মধ্যে ৩ দিনের ভাড়া পরিশোধ করে বাকি টাকা দিতে ঘোরাতে থাকে। প্রতারকের এমন আচরণ ও গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে ড্রাইভার মাসুদ কৌশলে তাকে কালীগঞ্জের খয়েরতলা গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে গ্রামবাসীর কাছে ঘটনাটি খুলে বলার পর গ্রামবাসীরা প্রতারককে জিঞ্জাসাবাদ করতেই এলোমেলো কথাবার্তা বলতে শুরু করে। এরপর একপর্যায়ে জনতা তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ্দ করে। কালীগঞ্জ থানার অফিসাস ইনচার্ছ ইউনুচ আলী জানান, আটক রফিক একজন প্রতারক চক্রের সদস্য হতে পারে। পুলিশের ধারনা সে প্রাইভেট ভাড়া নেবার নামে ছিনতাইয়ের চেষ্টায় ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি ছিনতাই মামলা নেওয়া হচ্ছে।