মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহর পৌরসভায় গণশৌচাগর না থাকায় জনদুর্ভোগ
চাটমোহর পৌরসভায় গণশৌচাগর না থাকায় জনদুর্ভোগ
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর পৌর শহরে গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সবাই খোলাস্থানে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
মলমূত্রের বেগ হলে চেপে রাখা কত যে কষ্টকর গণশৌচাগার না পেয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন যারা হয়েছেন তারাই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন। অথচ এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।
পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও চরম হুমকির মুখে পড়েছে। তবে দু’একটি শৌচাগার যাও বা আছে তারও বেহাল অবস্থা।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে স্থাপিত চাটমোহর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি। শুধু পৌর শহরেই বাস করেন প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ। আর উপজেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষাধিক।
দীর্ঘ পুরনো পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার গণশৌচাগারের অবস্থা করুণ। টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে ও অপরিস্কারের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ও নোংরা পরিবেশের কারণে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শুধু পুরাতন বাজারই নয়, পৌর সদরে বাকি দু’টি পাবলিক টয়লেটের চিত্রও একই রকম। অথচ প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দাপ্তরিক কাজে, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ নানা বিভিন্ন প্রয়োজনে হাজার হাজার মানুষ শহরে আসেন।
আর শহরে এসেই প্রথমে বিপদে পড়তে হয় গণশৌচাগার অভাবে। বাধ্য হয়ে যত্রতত্র খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করতে সবাই। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিড়ম্বনা শিকার হচ্ছেন।
এছাড়া বিপনি বিতান ও বাজারের মধ্যেও নেই টয়লেট সুবিধা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতা ও ভোক্তারা। এতে করে শহরে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে মলমূত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত হয়েছে।
অনেকে আবার বাধ্য হয়ে শহরের গলি ও সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পৌর সদরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দ্রুত স্বাস্থ্য সম্মত গণশৌচাগার স্থাপনের দাবি সবার।
হারুনর রশীদ, শুকচাঁদ হোসেন, সাগর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। প্রয়োজন দেখা দিলে বেশিরভাগ মানুষই স্থানীয় মসজিদের শৌচাগার বা আশপাশের খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন। এটা আমাদের পৌরবাসীর জন্য দুঃখজনক।
চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম বলেন, গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে গণশৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী জুনের পর কাজ শুরুর আশ্বাসও দেন তিনি।
পাবনায় ছুরিকাঘাতে কৃষককে হত্যা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তুচ্চ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবুল কালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় পাবনা সদর হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আবুল কালাম উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের চাদপুর গ্রামের মৃত গোলাপ হোসেনের পুত্র। পেশায় একজন কৃষক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার চাদপুর গ্রামে আবুল কালামের জমিতে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের একটি গরু প্রবেশ করে পাট ক্ষেত নষ্ট করে। পরে আবুল কালামের ছেলে আবুল বাশার গরুটিকে ক্ষেত থেকে নিয়ে এসে তাদের বাড়িতে আটকে রাখে। সাইফুল ওই গ্রামের আব্দুল সরদারের ছেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল আটটার দিকে ছুরি ও লাঠিসোঠা সহ সাইফুল দলবল নিয়ে আবুল কালামের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাইফুল ছুরি দিয়ে আবুল কালামের পেটে আঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তখনই তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কালাম মারা যান।
খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান জানান, সাইফুল একজন দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। সে সামান্য কারণে একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সেলিম হোসেন বলেন, হত্যার বিষয়টি খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান থানায় জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।