বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সাব-ঠিকাদারের সংবাদ সংম্মেলন
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সাব-ঠিকাদারের সংবাদ সংম্মেলন
সোহেল রানা,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিরাজগঞ্জের (সয়দাবাদ-এনায়েতপুর) আঞ্চলিক সড়কের ঠিকাদারের কাছে বিলের পাওনা টাকা চাওয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দিয়ে সাব ঠিকাদারকে হেয়-প্রতিপন্ন করার অভিযোগ ওঠেছে এমএইচএ কন্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মীর হাবিবুল আলমের বিরুদ্ধে। এমনকি মিথ্যা তথ্যদিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকা সংবাদও প্রকাশ করিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাব ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম বেলকুচি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে সাব ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম জানান, সয়দাবাদ-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারের কাজ পায় নাটোরের এমএইচএ কনস্ট্রাকশন ফার্ম। ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বর এমএইচএ কনস্ট্রাকশন ফার্মের স্বত্তাধিকারী মীর হাবিবুল আলমের সাথে বালু ও মাটি সরবরাহের চুক্তি হয়। চুক্তিতে প্রতি সেফটি বালু সাড়ে ১২ টাকা ও এটেল মাটি ১৮ টাকা হিসাবে দাম নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে আমি সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান রাখি। এ সময় আমার বিল হয় ৯০ লাখ টাকা হয়। কিন্ত এমএইচ কনস্ট্রাকশন ফার্ম আমাকে ৩৯ লাখ টাকা প্রদান করায় আমি চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেই। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করে আমি আমার পাওনা টাকার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেই। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মীর হাবিবুল আলম টাকা পরিশোধ না করে তাদের সাব অফিস তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাকেসহ এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফাঁসানোর জন মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় সাব ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম তার পাওয়ানা পরিশোধসহ মিথ্যা সংবাদ করে এলাকায় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করায় ঠিকাদারের শাস্তি দাবী করেন।
এমএইচএ কন্সট্রাকশন ফার্মের মালিক হাবিবুল ইসলাম চুক্তির বিষয় অস্বীকার করে জানান, মুলত রফিকের ভাইয়ে রুহুলের সাথে কাজের বিষয়ে কথা হয়েছিল। রফিকের সাথে কাজের বিষয়ে কোন চুক্তি হয়নি। সরবরাহের রেট নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় রফিক ও রুহুল লোকজন নিয়ে তার সাইডের কর্মীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেন বলে দাবী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক বাবু, মনিরুল ইসলাম, শাজাহান আলী, আজিজ মন্ডল সব ঠিকাদার রফিকুলের সাথে সহমত প্রকাশ করেন।