শনিবার ● ১৫ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » তথ্য কেন্দ্রে উদ্যোক্তাদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
তথ্য কেন্দ্রে উদ্যোক্তাদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য কেন্দ্র উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এই তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এলাকার জনগণ।
অভিযোগ রয়েছে এই তথ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রোকেয়া সরকার পপি তথ্য কেন্দ্রে চাকরি করার পাশাপাশি অন্যত্র চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন। উল্লেখ্য, এব্যাপারে ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের সচেতন জনগণ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নাতি দমন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেেিক্ষতে ইউনিয়নবাসির পক্ষ থেকে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে এই তথ্য কেন্দ্র থেকে তাদের অপসারণ ও প্রতিকার দাবি করা হয়।
ফলে ইউনিয়নবাসির পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের ফজলার রহমান ওরফে শাহেন শাহ’র ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ লিখিত বক্তব্যে উলে¬খ করেন, উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম পরিষদে যোগদান করার পর থেকেই অত্র পরিষদে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। তার পরিবর্তে তার ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমান ও শ্যালক মুন্নাকে দিয়ে তথ্য কেন্দ্রের কাজ চালিয়ে আসছে। ওই তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মূলতঃ একজন পল্ল¬ী বিদ্যুতের ওয়ারিং মিস্ত্রী হিসেবে কর্মরত। এছাড়া অপর উদ্যোক্তা ওই সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রোকেয়া সরকার পপিও স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তিনিও কোনদিন ইউপি পরিষদের তথ্য কেন্দ্রে আসেন না। এছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা সম্পর্কেও তার কোন ধারণা নাই। ফলে ছাপড়হাটি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রটি অধিকাংশ সময়ে বন্ধই থাকে।
অন্যদিকে তাদের বদলী হিসেবে কর্মরত ওই দুই ব্যক্তির দ্বারা তথ্য কেন্দ্রে আসা জনগণ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফিসের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া জন্মনিবন্ধনের বয়স কম ও বাড়ানোর অজুহাতে বেআইনীভাবে লোকজনের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়। তদুপরি ভুয়া রশিদ মূলে কর আদায় করে ইউপি তহবিলে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে। তথ্য কেন্দের সরকারি ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও ফটোষ্ট্যাট মেশিন আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং তথ্য কেন্দ্রের আইপিএসটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে ইন্টারনেট সংযোগ তারা ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন মোবাইল গ্রাহকদেরকে পাস ওয়াড দিয়ে ওয়াইফাই সংযোগ প্রদান করেও ওই উদ্যোক্তারা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নবাসিরদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন খায়রুল ইসলাম নয়ন, আহসান হাবীব রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ইটভাটা সরানোর দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: আবাসিক এলাকা থেকে ইটভাটা সরানোর দাবীতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাবিলের বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১১টায় গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ মহাসড়কের কাবিলের বাজার চৌরাস্তা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েকশ মানুষ অংশগ্রহণ করে। এসময় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজু রহমান মুকুল, সিপিবি নেতা প্রভাষক তপন কুমার বর্মণ, আসোয়াদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, উদীচী, দারিয়াপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার বর্মণ, এছাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন রমজান আলী সরকার, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার কারণে কয়েক গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। গাছপালা, ফসলে পচন ধরছে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নানাবিধ রোগে। তারা অবিলম্বে আবাসিক এলাকা থেকে ইটভাটা অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানান। বক্তারা আরো বলেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এসময় পচে যাওয়া কয়েকবস্তা আম, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরণের ফলমূল রাস্তায় ছিটিয়ে দেয়া হয়।
গাইবান্ধায় দু’দিনব্যাপী জলবায়ু মেলা সমাপ্ত
গাইবান্ধা :: জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বরে শুক্রবার রাতে জলবায়ু মেলা শেষ হয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন। গাইবান্ধা জলবায়ু পরিষদ এই মেলার আয়োজন করে।
উলে¬খ্য, এই মেলায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পৌর পার্কে ৩১টি স্টল খোলা হয়েছে। এ সমস্ত স্টলে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা, সচেতনতা সৃষ্টি সম্পর্কিত লিফলেট প্রদর্শিত হয় ও বিতরণ করা হয়। মেলা চত্বরে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়া মেলায় প্রজেক্টেরের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে তৈরী ডকুমেন্টরী প্রদর্শন করা হয়। মেলার দ্বিতীয় দিনে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মেলা চত্বরে সবশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পর্বে ঢাকা সিএসআরএল’র সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওহারী, জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাড. জিএসএম আলমগীর কবীর, ফরহাদ হোসেন, প্রদীপ কুমার রায়, রৌফা খানম, সুজন প্রসাদ প্রমুখ।