শিরোনাম:
●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব
রাঙামাটি, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৭ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফুুুুটবল খেলোয়াড় হতে না পেরেই হলেন নাট্যকার
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফুুুুটবল খেলোয়াড় হতে না পেরেই হলেন নাট্যকার
সোমবার ● ১৭ জুন ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফুুুুটবল খেলোয়াড় হতে না পেরেই হলেন নাট্যকার

---নজরুল ইসলাম তোফা :: পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি, পরিশ্রম করলে অবশ্যই সবার সফলতা আসে। তবে সফলতার সীমা পরিসীমা নেই। যে যার মতো সফল হয়ে তুষ্ট থাকে আবার কেউ সফলতা পাওয়ার জন্য সফলতার সীমানা নির্ধারণ করতে পারে না। সুতরাং অসন্তুষ্টি নিয়ে তারা সারা জীবন পার করে। আসলে পরিশ্রম কোন বিষয় নিয়ে করতে হয় তাকে নির্ধারণ করাটা একজন মানুষের খুবই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। সে বিষয়টিকে নির্ধারণ করে পরিশ্রম করলে সুখ-শান্তি, আশা-ভরসা হাতের মুঠোয় চলে আসে। প্রকৃত এবং যথার্থ পরিশ্রম একটি মানুষের জীবনে- “সৌভাগ্যের লক্ষ্মী” ডেকে আনে। এই জগৎ সংসারের মানুষেরা তো কুসুমাস্তীর্ণ নয়, জীবনটাও যেন পুষ্প শয্যা নয়।তারা কঠোর সংগ্রাম করেই পায় জীবন, সংসার বা খ্যাতি। তাই বলতে চাই যে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একজন গুনী ব্যক্তির কথা।

তিনি মনে করেছিল খুব ভালো “ফুুুুটবল খেলোয়াড়” হবেন। জানা যায়, তিনি এক সময়ে নামী দামি কৃতী ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিলেন। কিন্তু তিনি খেলোয়াড় হতে পারেনি। হয়তোবা সেই সফলতার জায়গা তাঁর নয়। তাঁর জায়গাটা হলো:- নাটক লেখা, নাটক করা আবার তাকে পরিচালনা করা। জানা দরকার, তিনি হলেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা এবং পরিচালক পাবনা জেলার কৃতী সন্তান বৃন্দাবন দাস।

বৃন্দাবন দাস খেলা ধুলার জগতে ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত নিবেদিত প্রাণেই ছিল। তবে ইচ্ছে ছিল দেশের একজন নামকরা “ফুটবল খেলোয়াড়” হবেন এবং জাতীয় দল তথা ‘আবাহনী’র হয়েই যেন আকাশী-নীল রঙের জার্সি গায়ে দিয়ে খেলবেন এই দেশ সহ সমগ্র বিশ্বে। ১৯৮১ সালে এই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাড়ি থেকে পালিয়েই বলা যায় “অচেনা শহর ঢাকায়” এলেন। তিনি ‘আবাহনী ক্লাবে’ হাজির হয়ে স্বপ্নের সেই কথা গুলো জানান। কিংবদন্তিতূল্য দেশের জনপ্রিয় ফুটবলার ‘অমলেশ সেনের’ কাছে। এমন মনোবাসনার কথা- জানানোর পরই বলা যায় যে, সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছিল পাবনার চাটমোহরে। শ্রদ্ধাভাজন “অমলেশ সেন” তাঁকে বুঝে উঠতে না পারলেও তিনিতো সেই ১৯৮৪ হতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্তই চাটমোহর সবুজ সংঘের এক অন্যতম সংগঠক এবং কৃতী ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে ছিল। পাশা পাশি পাবনা জেলা যুব ফুটবল দল সহ ”পাবনা মোহামেডান ক্লাব” এবং “পাবনা ফুটবল ক্লাব” এর খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বিভাগ ফুটবললীগে অংশগ্রহণের সহিত তিনি ঢাকা ২য় বিভাগ ফুটবল লীগের ক্লাব- সিটি ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব ও আদমজি জুট মিলস এর অন্যতম খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিল। বলতেই হয় যে তিনি দুর্ভাগ্যবশত অনুশীলনের সময় আহত হয়ে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকেন। তিনি বিভিন্ন জেলায় বহু টুর্ণামেন্টে অংশ গ্রহণ করে বেশ অনেকটিতেও যেন শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৮৪-৮৬ সাল পর্যন্ত পর পর তিন বছর চাটমোহর উপজেলার বর্ষ সেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে সবুজ-পদকে যেন ভূষিত হয়ে ছিল। এতো কিছু অর্জনের পরও শ্রদ্ধেয় অমলেশ সেনের নেতিবাচক কথাতে খুব দুঃখ নিয়ে গ্রামে ফিরেছিল। যেখানে তাঁর ‘ফুটবল খেলার মাঠ’ সেখানে বসে ভাবতে ভাবতে স্হির করেছিল পাশেই তো চাটমোহর সাংস্কৃতিক পরিষদ। নাটক করা যায় কিনা। যথারীতি সেখানে তিনি উপস্থিতও হয়ে ছিল। নিয়মিত নাটক রিহার্সেল ও সংগীতচর্চা হচ্ছে। সেটি অবশ্য ১৯৮৫ সালের কথা। তিনি ভেবে চিন্তে হঠাৎ করেই সাংস্কৃতিক পরিষদ এর পরিচালক- “গোলাম মোহাম্মদ ফারুককে” ঠাট্টা করে বলে ছিল, নাটকে অভিনয়ে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। কথা গুলো শুনে গোলাম মোহাম্মদ ফারুক তাঁকে ‘সালাম সাকলায়েন’ রচিত ‘’চোর’’ নাটকে ছোট্ট এক চরিত্রে অভিনয় এর সুযোগ করেও দিয়ে ছিলেন। আসলেই সেখান থেকেই তাঁর সৃষ্টিশীলতার কর্ম শুরু। এরপর সেখানেই বাংলাদেশ মুক্ত-নাটক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হোন এবং সেই সুবাদে ‘আরণ্যক নাট্যদল’-এর কর্ণধার- মামুনুর রশীদের সঙ্গে পরিচয় এবং ঢাকার আরণ্যক নাট্য দলের সদস্য পদ লাভ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নাট্যকার মামুনুর রশীদের সহকারী হিসেবে কর্মজীবনেও প্রবেশ করেন। তারপর ১৯৯৪ সালে তিনি বেশ কিছু দিন অবশ্য কাজ করেছিলেন একটি ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি’র প্রধান কার্যালয়ে জুনিয়র অফিসার পদে। আবারও ১৯৯৭ সালে আরণ্যক ছেড়ে তিনি ‘প্রাচ্যনাট’ গঠন করেন। তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘কেয়ার বাংলাদেশে’ কাজ করেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত।

বৃন্দাবন দাসের কথা শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো থেকেই তুলে ধরা প্রয়োজন। তাঁর তো শৈশব কিংবা কৈশোর অতিবাহিত হয় “চাটমোহরে”। তিনি জীবনে কখনো বা কোন সময়েই চিন্তাও করেননি যে, লেখা লেখি এবং নাটকের সঙ্গে জড়িত হবেন। শুরুতে যা হতে চাননি তাকে পরিশ্রম দ্বারাই যেন অর্জন করতে লাগলেন। শখের খেলাধুলা বাদ পড়ে গেল। ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার চিন্তা এখনো তিনি নাটকেই যেন ব্যবহার করেন। বলে রাখি যে এমন চিন্তার বৃন্দাবন দাস পড়াশোনাতেও খুব মনোযোগী, প্রাথমিক লেখা পড়া শুরু করেছিল ”মির্জা ওয়াহেদ হোসেন” নামের প্রতিষ্ঠিত শালিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষা সম্পন্ন করার পরে চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ এবং বাবু সম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি আর চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ অর্থাৎ বর্তমানে- “চাটমোহর সরকারি ডিগ্রি কলেজ হয়েছে সেখান থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ কলেজও পড়াশোনা করেন। ঢাকা থেকে বিএসএস (সম্মান) এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এম এস এস ডিগ্রি লাভ করেন। বৃন্দাবন দাস জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৬৩ সালে ৭ ডিসেম্বর- পাবনা জেলার চাট মোহর উপজেলার “সাঁরোড়া” গ্রামে। জনপ্রিয় এই বৃন্দাবন দাস ১৯৯৪ সালে চাটমোহরের মেয়ে শাহনাজ ফেরদৌস খুশির সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। “শাহনাজ ফেরদৌস খুশি”ও একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী। তাদের ”যমজ পুত্র সন্তান” দিব্য জ্যোতি আর সৌম্য জ্যোতি এখন অধ্যয়নরত বা তারা উভয়ে এখন অভিনয়ে জড়িত রয়েছে। সুতরাং এখন পুরো পরিবার মিডিয়া জগৎ এর সঙ্গে যুক্ত। গুনী ব্যক্তি হলে নাকি সে পরিবারের অনেকেই কোনোনা কোনো বিষয়ে কমবেশিই হোক প্রতিভাবান হয়। বৃন্দাবন দাসের ছোট বেলা থেকেই ছিল অসাধারণ সৃজনশক্তি, ব্যতিক্রমধর্মী বুদ্ধিমত্তা বিশিষ্ট গুণাবলীর অধিকারী। তিনি যেন সদাসর্বদাই অন্তঃর্নিহিত ব্যতিক্রম ধর্মী বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার সক্ষমতা, সৃজনশীলতা অথবা জন্মগত এবং প্রকৃতিগত ভাবে বাস্তবকে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁর এই গুণাবলীর মুল উত্তরসূরি নিজের বাবা স্বর্গীয় দয়াল কৃষ্ণ দাস। তিনি ১৯২৫ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একজন প্রখ্যাত কীর্তন শিল্পী; পদাবলী কীর্তন এবং সাহিত্যে যেন ‘অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী’ ছিলেন। দয়াল কৃষ্ণ দাস প্রায় ৫০ বছর কীর্তন গেয়ে ছিলেন এপার বাংলা ও ওপার বাংলার গ্রামে ও গঞ্জে। তাঁর মাতা ময়নারানী ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে সকাল ৮.০০ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই ৭৫ বছর বয়সে দেহ ত্যাগ করেন। তিনিও সংস্কৃতিমনা ছিলেন।

এই প্রতিভাবান ‘বৃন্দাবন দাস’ ১৯৯৭ সালে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ”প্রাচ্যনাট” গঠন করেন এবং সেই দলের প্রয়োজনে ছোটো একটি মঞ্চ নাটক ‘’কাঁদতে মানা’’ লিখেছিলেন। মূলত এমন নাটকটি মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে প্রাচ্যনাটের শুভ যাত্রা শুরু হয়। এরপরও কয়েক জন বন্ধুরা মিলেই একটি টেলিভিশন-নাটক প্রযোজনার পরিকল্পনা এবং তাঁর “লেখা পাণ্ডুলিপি” নিয়ে প্রখ্যাত নাট্য-পরিচালক ‘সাইদুল আনাম টুটুল’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। “সাইদুল আনাম টুটুল” এর পরিচালনায় নির্মিত হলো বৃন্দাবন দাসের লেখা প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক-নাটক ‘বন্ধুবরেষু’। সে নাটকটি ১৯৯৯ সালে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত ও দর্শকনন্দিত হয়। সাধারণ মানুষ, তাদের আবেগ, হাসি-কান্না তাঁর লেখার উপজীব্য বলা চলে। বিশেষ করে পাবনার আঞ্চলিক ভাষাকে তিনি তাঁর নাটকে শক্তিশালী এক বৃহৎ স্থান করে দিতে পারাতে পাবনা সহ বাংলাদেশের সবশ্রেণীর মানুষের মণিকোঠাতেই অবস্থান করছেন। তাঁর লেখা উল্লেখ যোগ্য নাটক :-বন্ধুবরেষু, মানিক চোর, বিয়ের ফুল, ঘরকুটুম, পাত্রী চাই, হাড় কিপটে, গরু চোর, আলতা সুন্দরী, সার্ভিস হোল্ডার, ভালোবাসার তিন কাল, সাকিন সারি সুরি, লেখক শ্রীনারায়ণ চন্দ্রদাস, কতা দিল্যেমতো, মোহর শেখ, ওয়ারেন, টক শো, পত্র মিতালী, ফিরে পাওয়া ঠিকানা, সম্পত্তি, সম্পর্ক, উঁট, ডায়রী, কাসু দালাল এবং তিন গেদা সহ প্রায় দুই শতাধিক নাটক কিংবা ধারাবহিক নাটক রচনা করেছেন। তাঁর লেখা “মঞ্চ-নাটক” :- কাঁদতে মানা, দড়ির খেলা, অরণ্য সংবাদ, কন্যা ইত্যাদি। বৃন্দাবন দাস লেখা বইগুলো: কাঁদতে মানা (মঞ্চ-নাটক), দুটি নাটক (টিভি-নাটক), সুরের আলো (গল্পগ্রন্থ)।

লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ, শিল্পী, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি সৃজনশীল সুকুমার বৃত্তিতেও তাঁর যথেষ্ট অবদান রাখার মতো প্রতিভা রয়েছে। এই প্রতিভাবান মানুষ মতবিনিময় এবং সংলাপ করতে পছন্দ করে। জন্ম থেকে বেশি দার্শনিক চিন্তা করতে সক্ষম বলেই ‘মানুষ ও মানুষ’ নিয়ে ভালো নাটক লিখতে পারেন। বেশি জীবন বা মহাবিশ্ব নিয়ে জানতে ইচ্ছুক বলেই চিন্তা ভবনা খুব দ্রুততার সহিত সংগ্রহ একেবারেই আলাদা আলাদা প্লাটফর্ম সৃৃষ্টি করে মানুষের মন জয় করতে পারেন।বৃন্দাবন দাসের নাটকে “বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি”-স্বরূপ ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’- কর্তৃক সেরানাট্যকার পুরস্কার পেয়েছে। ‘কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’- কর্তৃক সেরা নাট্যকার হিসেবে মনোনীত হন। তাছাড়া তিনি বিনোদন বিচিত্রা, টেনাশিনাস, ট্যাব, আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, প্রতিবিম্ব (অস্ট্রেলিয়া) সহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করে। ‘সাংস্কৃতি দলের সদস্য’ এবং দলনেতা হিসেবেই প্রতিভাবান বৃন্দাবন দাস- ভারত, ভুটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমণ করেছে। ভ্রমণ করাটা তাঁর অন্যতম শখ। তিনি ঢাকাস্থ পাবনা সমিতির প্রতিটি অনুষ্ঠানে শত ব্যস্ততার মধ্যে উপস্থিত হয়ে পাবনাবাসীদের আনন্দ দিয়ে থাকে। তাছাড়াও পাবনার একুশে বইমেলা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণও করে থাকে। তিনি তো বলছেন প্রতিভার বিজ্ঞানসম্মত কোন ব্যাখ্যা কিংবা বিশ্লেষণ এখনো আবিষ্কৃত হয় নি। প্রতিভা শব্দটিকে বিভিন্নভাবেই ব্যাখ্যা করা হয়। ব্যক্তিগতভাবেই তিনি সমাজ থেকে আজঅবধি যা অর্জন করেছে তাতেই সন্তুষ্ট। আর তাকেই বলছেন ‘প্রতিভা’। প্রতিভা এবং দক্ষতা প্রদর্শিত হয় শৈশব থেকেই, তাঁর অন্তঃদৃষ্টির আজও শৈশবকে টানে। জনগণ তাঁর নাটকে পৃথক চিন্তা-চেতনায় কোন ব্যক্তির চাতুর্য্যতা বা অহংকার উপস্থিতি কিংবা তীক্ষ্ণ বুদ্ধিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ বলতেই হয় দর্শকদের আকৃষ্ট করা, তাঁর মূল উদ্দেশ্য হলেও হাস্যরসের মাধ্যমে সত্যকে নিজ নাটকে তোলে ধরার চেষ্টা করেন।
লেখক : নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা
দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ
ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে
ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত
১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা
কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা
পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত
কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা
লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)