মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » সরকারের কাছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবী ঈশ্বরদীর আম চাষীদের
সরকারের কাছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবী ঈশ্বরদীর আম চাষীদের
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ঈশ্বরদীতে আম ও কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বানিজ্যিক ভাবে আম ও কাঠালের চাষ করা হয়না। তার পরও এখানে এসব ফল চাষের প্রতি চাষীদের আগ্রহ বেশী। এ জন্য ঈশ্বরদীতে পাঁচ’শ পঁঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আম ও সাড়ে চার’শ হেক্টর জমিতে কাঠালের আবাদ করা হয়েছে। এবার প্রায় এক’শ কোটি টাকারও বেশী আম-কাঁঠাল উৎপাদন হয়েছে। এখানে আবাদকৃত আমের মধ্যে ল্যাংড়া,খিরসা পাত,আম্রপালি,বারি আম-৪সহ বিভিন্ন জাতের আমের আবাদ করা উল্লেখযোগ্য। মাজদিয়া ইসলাম পাড়ার মতলেব মিয়া পঁয়ত্রিশ বছর ধরে বিশাল বাগানে বিভিন্ন জাতের আম ও কাঠালের আবাদ করে আর্থিক লাভবান হয়েছেন। এবারও তার বাগানে আম-কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্ত আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় এবার মতলেব মিয়া হতাশ হয়ে পড়েছেন। চাষীদের দাবি এখানে গবেষনাগার ও সংরক্ষনের ব্যাবস্থা থাকলে চাষীরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে পারতো। ঈশ্বরদীতে যদি একটি আম-কাঠালের গবেষনাগার স্থাপন করে চাষীদের প্রশিক্ষন দেয়া হয় তাহলে এ অঞ্চলের চাষীরা ব্যপক সাফল্য অর্জন করতে পারবে । তারা বলেন,ঈশ্বরদীতে রেকর্ড পরিমান বানিজ্যিক হারে আম-কাঠাল আবাদ করা সম্ভব হবে । ইতি মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে আমের বাম্পার ফলনের জন্য পতিত ও চরের জমিতে আমের আবাদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । ঈশ্বরদীর সাত ইউনিয়নসহ পতিত ও চরের জমিতে আমের আবাদ করতে পারলে ঢাকা,চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ঈশ্বরদীর আমের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হবে এবং চাষীদের মধ্যেও আম আবাদে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। চাষীদের জন্য ঈশ্বরদীতে আমকাঁঠাল গবেষণাগার ও চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে আবাদ ও ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং চাষীদের পাশাপাশি দেশও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। ঈশ্বরদী এলাকায় আবাদ বৃদ্ধি করার জন্য পতিত ও চরের জমিতে আম অবাদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবং সেই মোতাবেক কৃষি অফিষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ।