মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে গলাকেটে হত্যা
ঝিনাইদহে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে গলাকেটে হত্যা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামের একটি পাট ক্ষেত থেকে হাফেজ সোহেল রানা (২৩) নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ ১৮ জুন মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল রানা কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দালপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের বকতিয়ার আলীর ছেলে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, বানিয়াবহু গ্রামের মাঠের একটি পাট ক্ষেতে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে পরিবারের লোকজন এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। পুলিশের ধারনা অন্য কোথাও থেকে ধরে এনে তাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। কি কারনে এ হত্যা কান্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। নিহতের মা রেখা বেগম জানান, তার ছেলে কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামে একটা মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে পালন করে আসছিলেন। তিনি আরো জানান, তিন ছেলের মধ্যে সোহেল রানা তার দ্বিতীয় সন্তান।
ঝিনাইদহে সন্তানকে বাঁচাতে জীবন দিলেন মমতাময়ী মা
ঝিনাইদহ :: সন্তানের জন্য নিজের জীবন দেওয়ার নজীর আবারো প্রমান করলেন ঝিনাইদহের এক মমতাময়ী মা। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন আত্মহুতি দিয়ে সন্তানের প্রতি নিগুড় ভালবাসার স্তম্ভ প্রতিষ্ঠা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা। বৈডাঙ্গা গ্রামের সোলাইমান মিয়ার ছেলে সামিউল্লাহ (২) ঘরের পাশে খেলছিলো। এ সময় কারেন্টের ছেড়া তার শিশুর শরিরে স্পর্শ করে। সন্তানের চিৎকারে মা ফরিদা খাতুন (২৫) ঘটনাস্থলে এসে দেখেন সামিউল্লাহর শরীর কারেন্টের তারের সাথে আটকে আছে। সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে মা ফরিদা খাতুন ছেলেকে ধরে হ্যাচকা টান মেরে নিজেও আটকে যান। এ সময় সন্তান বাঁচলেও বাঁচেনি ফরিদা খাতুন। ফরিদার শ্বশুর ইসমাইল হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে পুত্রবধুকে হারাতে হলো। প্রতিবেশিরা জানান, শিশু সামাউল্লাহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঝিনাইদহে হোটেল কর্মচারী মাজেদুল হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন কারদন্ড প্রদাণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গনেশকে যাবজ্জীবন কারদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক এম, জি, আযম এ রায় প্রদান করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৫ জুন বিকালে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারের হাবিবুর রহমানের একটি খাবারের দোকানে মাজেদুল ইসলাম নামের এক কর্মচারি কাজ করছিলেন। সেসময় আসামী গনেশ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের পিতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গনেশকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। বিচারক দীর্ঘ শুনানী শেষে পলাতক আসামী গনেশকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। নিহত মাজেদুল ইসলাম মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। আসামী গনেশ সদর উপজেলার লৌহজঙ্গা গ্রামের মৃত. নরেন সরদারের ছেলে।