বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে মোয়াজ্জিন হত্যা রহস্য উম্মচন সাবেক প্রেমিকা গ্রেফতার
ঝিনাইদহে মোয়াজ্জিন হত্যা রহস্য উম্মচন সাবেক প্রেমিকা গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামের পাট ক্ষেতে হাফেজ সোহেল রানা (২৩) নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ঘাতক দলের এক নারী সদস্যাকে। তার নাম জুলিয়া। তিনি ঝিনাইদহ সদরের বাগুটিয়া গ্রামের ঘাতক দলের আরেক সদস্য রাজুর স্ত্রী। পলাতক রয়েছে জুলিয়ার স্বামী রাজু, তার বন্ধু সুমন ও মামাতো ভাই নাজমুল। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে বানিয়াবহু গ্রামের মাঠের একটি পাট ক্ষেতে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছে দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরিবারের লোকজন এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। নিহতের মা রেখা বেগম জানান, তার ছেলে কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মোয়াজ্জিনের দায়িত্বে পালন করে আসছিলেন। কি কারণে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান মঙ্গলবার দুপুরে জানান, নারী ঘটিত কারণে সোহেল রানাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ে আগে থেকেই জুলিয়া খাতুনের সাথে নিহত রাজুর দৈহিক সম্পর্ক ছিল। জুলিয়্রা বিয়ে হলেও পিছু ছাড়েনি সোহেল রানা। তিনি কোটচাঁদপুর থেকে এসে ওই এলাকায় থাকতেন। নেন মসজিদের মোয়াজ্জেমের চাকরী। এদিকে জুলিয়া তার সাবেক প্রেমিককে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে তার স্বামী রাজুর সাথে নিয়ে হত্যার ছক আঁেট। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সোহেল রানাকে সোমবার ধরে এনে গলা ও পরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করে। এ নিয়ে জুলিয়া আদালতে ৬ পাতার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে হত্যার পুরো ঘটনা বর্ননা করেছেন। ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে পেরে ভাল লাগছে। কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী মসজিদের মোয়াজ্জিন নিহত সোহেল রানা কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দালপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার বখতিয়ার রহমানের ছেলে।
ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় নববধুকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, গত ১২ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাহিনা খাতুনের। বর্তমানে শোভন ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছেন। গত ৮ জুন থেকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস শুরু করে। শাহিনা খাতুন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে তাকে মারধর করে পুলিশ সদস্য শোভন। মঙ্গলবার সকালে শাহিনা খাতুন ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে গালি-গালাজ ও মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে দুপুরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রড দিয়ে মারধর করে। এমনকি তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এসময় সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য দরজা খুলতে বলে। শোভন দরজা খুলে দিলে মেয়েটি ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শোভন তাকে ধারালো বঠি দিয়ে তাড়া করে। তখন পরিবারের লোকজন শাহিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন বলেন, আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন প্রায় বিজি পাই। মোবাইল এত বিজি কেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোন জবাব দেয়নি। এছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়েছি।
ঝিনাইদহ সিমান্তে বিজিবির অভিযানে ফেনসিডিলসহ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মেম্বর পুত্র আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সাহাবুদ্দিন শিহাবকে ৭ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে ৫৮ বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জীবননগর বেনীপুর সীমান্ত ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করে। আটক শিহাব কালীগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদের ছেলে। বিজিবির বরাত দিয়ে জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলে দুইজন বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল নিয়ে আসছিলেন। এ সময় বিজিবির সদস্যরা তাদের গতিরোধ করে একজনকে আটক করে। অন্যজন পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, বিজিবি সদস্যরা রাতে সাহাবুদ্দিন শিহাব নামে একজনকে ৭ বোতল ফেনসিডিলসহ থানায় দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শৈলকুপায় আ’লীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলায় মহিলাসহ গুরুত্বর আহত-৩
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাল্টাপাল্টি হামলায় মহিলাসহ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মহিলাসহ ৩জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দুভাগে বিভক্ত হয়। একটি গ্রুপ নৌকা ও একটি গ্রুপ আনারসের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নামে। এরপর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অংশ হিসেবে ছোট-বড় সংঘর্ষের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে মনোহরপুর ইউনিয়নে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এরই সূত্র ধরে মন্নু চেয়ারম্যানের সামাজিক মাতব্বর পাইকপাড়া গ্রামের ইসরাইল মেম্বার ও সোনা শিকদারের সামাজিক মাতব্বর আশরাফুল মাস্টারের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। মঙ্গলবার বিকেলে পাইকপাড়া গ্রামে ইসরাইল মেম্বারের নেতৃত্বে মিলন, আব্দুল্লাহ, সিদ্দিক, রুবেল, রেজাউল ও ইদ্রিসসহ বেশ কয়েকজন মিলে আশরাফুল মাস্টারের কর্মী মৃত গফুর বিশ্বাসের ছেলে আনিচ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী রাজিয়া বিশ্বাসের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের গুরুত্বর আহত করে। পরে আশরাফুল মাস্টারের লোকজন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ইসরাইল মেম্বারের কর্মী মৃত মকছেদ বিশ্বাসের ছেলে শাহাবুদ্দিনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আহতদেরকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহাবুদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাইকপাড়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।