বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ
বান্দরবানে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়দিয়ে এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী ওরফে মাহবুব নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে বুদ্ধ ধর্মীয় ভান্তের কাছে চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বান্দরবান সদর থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ দায়ের করেছেন কদঞেঞ থের ভান্তে।
জানা যায, এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী নামে এই প্রতারক বান্দরবান জেলায় কখনও সাংবাদিক, কখনও মানবাধিকার কর্মী, কখনও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর কর্মী পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, ভান্তে কদঞেঞ থের অভিযোগ করেন গত (২১ মে) মাহ্লা উ চৌধুরীসহ আরো দুইজন বান্দরবান শহরের পাসপোর্ট অফিস না চেনার কারনে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা কামনা করে। আমি তাদের পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে কাজ শেষে শহরের বনফুল ফাস্ট ফুড দোকানে নাস্তা খাওয়ার সময় বিবাদী আমাদের কয়েকটি ছবি তুলে। কৌশলে আমার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। এই সময় সে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, আপনি নারী পাচারকারী। আমাকে দেড় লক্ষ টাকা না দিলে আমার ছবি ফেসবুকে আপলোড করে দিবে। এক পর্যায়ে সে তাকে ডিজিএফআইয়ের লোক দাবি করেন।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফোন নাম্বারে ফোন করে কথোপকতনে এই নাম্বারটি যে এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী ওরফে মাহবুবের নাম্বার এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরীকে বান্দরবান সদর থানায় তলব করা হলে সে থানায় না এসে ফোন বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দেয়।
এ বিষয়ে বুদ্ধ ধর্মীয় ভান্তে বলেন, চাঁদা দিতে না পারলে আমার ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিবে এবং সে আমাকে ডিজিএফআই এর লোকসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে দফায় দফায় আমার কাছে টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন তার কারণেই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি তার নাম্বার থেকে ফোন করে চাঁদাবাদী করেছে। ঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী ওরফে মাহবুব চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা। সে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বসবাস করলেও গত কয়েকবছর ধরে বান্দরবান শহরের বনরুপা পাড়ায় বসবাস করে সে কখনও সাংবাদিক, কখনও মানবাধিকার কর্মী, কখনও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর কর্মী পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।