বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে সব দোকানেই মিলছে গ্যাস সিলিন্ডার : দুর্ঘটনার আশঙ্কা
বাগেরহাটে সব দোকানেই মিলছে গ্যাস সিলিন্ডার : দুর্ঘটনার আশঙ্কা
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে ৯ উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। মান নির্ণয় ছাড়াই এসব সিলিন্ডার গ্রামীণ জনপদের মানুষ ব্যবহার করছে।
কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই এ ৯ উপজেলার ৭৫ ইউনিয়নের প্রায় সব হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চালানো হচ্ছে। এসব গ্যাস সিলিন্ডার থেকে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৯ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, মুদি দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ফটোকপির দোকান, এমনকি ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এসব দোকানে নেই কোনো আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস বিক্রি করবে, তাদের বিক্রির স্থান সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে হবে। গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে পাকা ফ্লোরসহ আধপাকা ঘর, অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে জ্বালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, বর্তমান সময়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের উপজেলায় সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিলেন্ডার নিজেদের মনগড়াভাবে যেখানে সেখানে সিলিন্ডারের বোতল ফেলে রেখে ব্যবসা করছে। হাতেগোনা দু-একজন ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কারও নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা। এসব ব্যবসায়ী সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বাড়তি লাভের আশায় দোকানের বাইরে ফুটপাতে রোদে ফেলে রাখা হয়েছে এসব সিলিন্ডার। রাস্তার কিনারে রাখা এসব সিলিন্ডারের পাশ ঘেঁষেই চলছে দ্রুতগামী যানবাহন। এ ছাড়া নকল সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ, ওজনে কমসহ বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক গ্রাহক।
এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি)মেজবাহ উদ্দীন জানান, অরক্ষিতভাবে অবাধে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বিষয়টি আমার অবগত না । রমজানে মাসে আমরা অভিযান চালিয়েছি এবং জরিমানা আদায় করা করেছি। যেসব দোকানে আবারও সনদ ছাড়া অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস বিক্রি করছে সেগুলোকে খুব শিগগির মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব দোকানির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।