শনিবার ● ২২ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান অভিযানে সাড়ে ৯ হাজার জরিমানা
বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান অভিযানে সাড়ে ৯ হাজার জরিমানা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান অভিযান (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করে অনিয়ম ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল বিক্রির অভিযোগে ১টি ফার্মেসী, ৩টি মাংসের দোকান ও যথাযথ সেবা না দেওয়ায় লাইফ-এইড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান অভিযানে দায়ের করা ৫টি মামলায় সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান অভিযান চলাকালে মহামান্য হাইকোর্ট ঘোষিত নিষিদ্ধ পণ্য বাজার থেকে অপসারণে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে করা হয়।
জরিমানা প্রদানকারীরা হলেন- উপজেলার পুরাণ বাজারস্থ লাইফ-এইড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্সকে ২ হাজার ৫শত টাকা, ওয়ারিছ খানের মাংসের দোকান ২ হাজার টাকা, জিলু মিয়ার মাংসের দোকান ২ হাজার টাকা ও নতুন বাজারস্থ হারিছ আলীর মাংসের দোকান ২ হাজার টাকা, জহির ফার্মেসী ১ হাজার টাকা। অভিযান পরিচালনাকালে ইউএনও’র সাথে উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর অলিদ গবিন্দ সরকার ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১০ সপ্তাহের গর্ভের সন্তান
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পুরাণ বাজারের কলেজ রোড় এলাকার মোতালিব প্লাজাস্থ লাইফ-এইড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে প্যাগনেন্সি টেস্টের ভূল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর রিপোর্ট নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনে সন্দেহ হওয়াতে একই দিকে আরও পৃথক দুটি পায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করান তারা। আর সেই রিপোর্টগুলোতে আসে ওই মহিলা ১০ সপ্তাহের গর্ভবতি। ফলে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১০ সপ্তাহের গর্ভের সন্তানটি। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্বাসরাম গ্রামের শামীম আহমদ তার স্ত্রীর প্যাগনেন্সি (গর্ভবতি) টেস্ট করানোর গত ১৬ জুন তার স্ত্রী রেছনা বেগমকে নিয়ে লাইফ-এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যান, টেস্টও করান। এরপর লাইফ-এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার শামছুল হক টেস্টের রিপোর্ট দেন শামীম আহমদের স্ত্রী গর্ভবর্তি নন বলে। এরপর তিনি তিন মাস ধরে বন্ধ থাকা স্ত্রীর ঋতু¯্রাব নিয়মিত করার জন্য ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয় করে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে যাওয়ার পর লাইফ-এইডের দেওয়ার রিপোর্ট মন থেকে বিশ্বাস করতে পার ছিলেন না স্বামী-স্ত্রীর কেউই। এজন্য ক্রয় করা ঔষধও স্ত্রীকে খাওয়ান নি। আর মনের সন্দেহ দূর করতে শামীম আহমদ একই দিনে বিশ্বনাথস্থ ‘মেডিচেক ডায়াগনষ্টিক এন্ড হেলথ কেয়ার এবং সিলেটস্থ ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে পৃথক দুটি প্যাগনেন্সি টেস্ট করান। ওই দুই টেস্টের রিপোর্টে আসে শামীম আহমদ আহমদের স্ত্রী রেছনা বেগম ১০ সপ্তাহের গর্ভবতি। এরপর সম্প্রতি শামীম আহমদ তিনটি প্যাগনেন্সি টেস্টের রির্পোটসহ মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে শামীম আহমদ বলেন, পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন যারা শত চেষ্টা করেও সন্তান পাচ্ছেন না। আর লাইফ-এইড কর্তৃপক্ষ আমার স্ত্রী গর্ভবতি হওয়া সত্ত্বেও রিপোর্ট দিচ্ছে গর্ভবর্তি নন বলে। তাদের রিপোর্ট বিশ্বাস করে যদি ঋতু¯্রাব নিয়মিত করার লক্ষে ফার্মেসী থেকে ক্রয় করা ঔষধ আমার স্ত্রীকে খাওয়াতাম তা হলে কত বড় ক্ষতিই না হতো, তা আমি জানি না। উপজেলাবাসীকে এব্যাপারে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনসহ সরকারের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার প্রার্থনা করছি।
এব্যাপারে লাইফ-এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার শামছুল হক বলেন, আমার মেশিনে যা পাইছি, আমি সে অনুযায়ী রিপোর্ট দিয়েছি।
তিনটি প্যাগনেন্সি টেস্টের রির্পোটসহ শামীম আহমদের করা মৌখিক অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।