শনিবার ● ২২ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » যে দেশের রেল যত বেশী উন্নত সে দেশও তত উন্নত : রেলপথমন্ত্রী
যে দেশের রেল যত বেশী উন্নত সে দেশও তত উন্নত : রেলপথমন্ত্রী
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: যে দেশের রেল যত বেশী উন্নত সে দেশও তত উন্নত । এজন্যই বাংলাদেশকে উন্নত করার জন্য প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে রেলকে উন্নত করার কাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন,রেলপথমন্ত্রী এ্যাড.নুরুল ইসলাম সুজন। আজ শনিবার সকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ১১তম ব্যাচের সমাপনী কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর চীফ কমান্ডেন্ট ফাত্তা ভূঁঞার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা এমপি নাদিরা ইয়াসমিন,রেলের ডিজি কাজী রফিকুল আলম,জিএম,খন্দকার শহিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতা,বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবি ও মন্ত্রীর সফরসঙ্গী এ্যাড.রবিউল আলম বুদু,চীফ ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন,পূর্বাঞ্চল রেলের চীফ কমান্ডেন্ট ইকবাল হোসেন,ঢাকার কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলাম,লালমনিরহাটের কমান্ডেন্ট মিজানুর রহমান,ঈশ্বরদী টিভি জার্ণালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি টিএ পান্নাসহ রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন,বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপি সরকার বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ এর পরামর্শে রেলকে ধবংস করেছিল।এতে জনগনের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশ ও জনগণের স্বার্থে রেলের উন্নয়নে নানা মুখি কর্মসুচি হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আজ রেল মানে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। কিন্তু সড়কপথে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। রেলের যত উন্নয়ন হবে সড়ক পথ তত ঝুঁকি কমবে।প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নে এক’শ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। দেশের প্রত্যেক জেলাতে রেল লাইন স্থাপন ক রেলসেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
নিরাপত্তাবাহিনীর ট্রেনিজদের দায়িত্বশীল ও জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন,রেলের জনবল কম ছিল । ক্রমান্বয়ে জনবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং এক লাখ জনবল করা হবে। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ এবং যমুনা সেতুতেদ্বিতীয় রেল ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। ব্রীজে ডাবল লাইন করা হবে যাতে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন চলাচল সহজ হয়।ভবিষ্যতে পশ্চিমাঞ্চল রেলে হাইস্প্রীড ট্রেন চালু করা হবে। ট্রেনকে উপযোগী করে আরাম দায়ক,নিরাপদ ও সাশ্রয়ী করে গড়ে তোলা হবে। রেল সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে রেলের উন্নয়নে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে তিন বিষয়ে ভাল ফলাফলের জন্য তিনজন ট্রেনিজকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। পরে মন্ত্রী রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঈশ্বরদী রেলগেট থেকে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত নির্মানাধীন রেলপ্রকল্প পরিদর্শন করেন।