রবিবার ● ২৩ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে ১১টি মাদক মামলার আসামী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
ঝিনাইদহে ১১টি মাদক মামলার আসামী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রাম থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহিদুল ইসলাম (৫০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশী পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও ৫’শ ৫০ পিচ ইয়াবা। গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, তারা গোপন সুত্রে খবর পায় মথুরাপুর গ্রাম থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের চালান নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে আসছে। এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে উদ্বত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় অস্ত্র গুলি ও মাদক। শহিদুল ইসলামের নামে ঝিনাইদহ সদরসহ বিভিন্ন থানায় ১১ টি মাদকের মামলা আছে। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘুষের টাকা ফেরৎ নেয়ার ছবি ও খবর টক অব দি টাউন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে লাইনে দাড়িয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ দেওয়ার খবরটি এখন টক অব দি টাউনে পরিণত হয়েছে। খবরটি এখন মানুষের মুখে মুখে। এ নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের চায়ের আড্ডায় আলোচনা সমালোচানাও কম হচ্ছে না। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ১২৬ পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শৈলকুাপা উপজেলার এলাকা-৭ এর পরিচালক নুরুজ্জামান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুসন্ধানে প্রমানিত হয় বিষয়টি। অবশেষে গ্রাহকদের চাপের মুখে ঘুষের এক লাখ আটত্রিশ হাজার একশত টাকা তিনি ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ই্উনিয়নের খুলুমবাড়িয়া গ্রামের পৃথক দুইটি স্থানে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাড়িয়ে টাকা বুঝে নেন গ্রাহকরা। এ সময় ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন, শৈলকুপা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুজ্জামান, সমিতি বোর্ডের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন ও সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (সদস্য সেবা) মোঃ রেজাউল করিম রাজিব। এ খবরটি দেশের পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সুযোগে বুঝে ওই এলাকার দালাল চক্রের মাধ্যমে ঘুষ নেন পরিচালক নুরুজ্জামান। ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি ব্যাপক ভাবে জানাজানি হলে গোপন অনুসন্ধান কালে খবরের সত্যতা পান জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শৈলকুপা ৭ নং এলাকা পরিচালক নুরুজ্জামানের নাম বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে এই টাকা গ্রাহকদের ফেরৎ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। লাইনে দাড় করিয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুষখোর পরিচালক নুরুজ্জামান নিজেই গ্রাহকদের হাতে সেই টাকা তুলে দেন। ওই দিন দুর্ণীতি বিরোধী ব্যানার ঝুলিয়ে ১২৬ পরিবারকে এক লাখ আটত্রিশ হাজার একশত ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক নুরুজ্জামান গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহনের কথা স্বীকার করে বলেন, তিন বছর আগে খুলুমবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও বাগদিপাড়ার অন্তত ১৫০জনের কাছ থেকে মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে গড়ে ৭৫০ টাকা হারে ঘুষ নেন। আত্মস্বীকৃত এই ঘুষখোর শৈলকুপার হাকিমপুর গ্রামের মৃত নজির উদ্দিন মোল্লার ছেলে। এলাকা পরিচালক হওয়ার আগে সে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তালিকাভুক্ত ইলেট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতো। এলাকা পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন জানান।
স্ত্রীর নগ্নছবি ফেসবুকে দেওয়ার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের সেই পুলিশ সদস্য শাহজালালর রহমান শোভন নিজের স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর পর এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রীর সাথে নিজের যৌন মিলনের ছবি পোষ্ট করেছেন। আর এটি তিনি করেছেন ফেসবুকে শোভনের বিরুদ্ধে পোষ্ট আসার পর রিকুইমেন্ট করার সময়। বিভিন্ন ব্যক্তির প্রশ্নে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শোভন স্ত্রী শাহানার সাথে নিজের যৌনতার ছবি পরোকিয়া বলে চালিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তার নববধু শাহিনা খাতুন। নগ্ন ছবি প্রচারের দায়ে তারা শোভনের বিচার দাবী করেছেন। জানা গেছে, গত ১২ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাহিনা খাতুনের। শোভন ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত। শাহিনা খাতুন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে তাকে মারধর করে পুলিশ সদস্য শোভন। গত ১৭ জুন সকালে শাহিনা খাতুন ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে গালি-গালাজ ও মারধর করে স্বামী শোভন। দুপুরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রড দিয়ে মারধর করে। এমনকি তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এসময় সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য দরজা খুলতে বলে। শোভন দরজা খুলে দিলে মেয়েটি ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শোভন তাকে ধারালো বটি দিয়ে ধাওয়া করে। তখন প্রতিবেশিরা শাহিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। শৈলকুপা থেকে পরিবারের লোকজন এসে শাহিনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন বলেন, আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন প্রায়ই বিজি পাই, সে রুবেল নামে একটা ছেলের সাথে কথা বলতো যার নাম¦ার ০১৯২৬২০৭০৭২। মোবাইল এত বিজি কেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোন জবাব দেয়নি। এছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, আমি শুনেছি শোভন কর্মস্থলে গরহাজির থাকে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।