বুধবার ● ২৬ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে পর্নোগ্রাফি রাখার কারণে তিনটি মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে জরিমানা
বিশ্বনাথে পর্নোগ্রাফি রাখার কারণে তিনটি মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে জরিমানা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে পর্নোগ্রাফি এবং অশ্লীল ভিডিও সামগ্রী মজুদ, সরবরাহ এবং প্রদর্শনের জন্য তিনটি মোবাইল সাভিসিং সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরের পুরান বাজার ও নতুন বাজার এলাকার বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এসকল পর্নো ভিডিও সমূহ স্কুল-কলেজগামী উঠতি বয়সী তরুণদের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রাখার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দু’পক্ষের মারামারিতে মৎস্য ব্যবসায়ী নিহত
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে মকদ্দুছ আলী (৫০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সৎমানপুর গ্রামের মৃত লালই মিয়ার পুত্র। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সৎমানপুর গ্রামের নিহত মকদ্দুছ আলীর পুত্র বদরুল ইসলাম সাগর (৫) ও তার প্রতিবেশী সেলিম মিয়ার পুত্র মাহিদা আক্তার মাহি (৬) খেলা করা সময় ব্যাট-বল নিয়ে ঝগড়া করে। শিশুদের এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে মকদ্দুছ আলীর ছোট ভাই মনসুর মিয়ার সাথে সেলিম মিয়ার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন মকদ্দুছ আলী বসতঘর থেকে বের হয়ে মারামারির কারণ জানতে চাইলে সেলিম মিয়া ও তার পিতা ইর্শাদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও (মকদ্দুছ) মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে মকদ্দুছ আলী সজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মকদ্দুছ আলীকে তাৎক্ষণিক ওসমানীনগরের তাজপুর বাজার ও পরবর্তীতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কজেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ইর্শাদ আলী ও সেলিম মিয়া স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন- নিহতের শরীরে জখমের কোন চিহৃ পাওয়া যায়নি। সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র নিহত
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় জিহাদুল ইসলাম (২০) নামের এক ইউনিভার্সির ছাত্র নিহত হয়েন। সে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামের কুটির মিয়ার পুত্র ও লিডিং ইউনিভার্সিটির এলএলবি ১ম বর্ষের ছাত্র। আজ মঙ্গলবার (২৫জুন) বেলা ২টায় স্থানীয় পনাউল্লাহ বাজারে এঘটনাটি ঘটে। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী (জিহাদুল ইসলামের ফুফাতো ভাই) উপজেলার জাহারগাঁও গ্রামের বারাম খানের পুত্র সুবেল খান (২০), খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বন্ধুয়া গ্রারে জুনেদ মিয়া ও খলিল মিয়া আহত হয়েছে।
নিহত জিহাদুল ইসলামের চাচা ডাঃ সামছুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান- লিডিং ইউনিভার্সিটির এলএলবি ১ম বর্ষের ছাত্র জিহাদুল ইসলাম
মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক দেড়টায় তার ফুফাতো ভাই সুবেল খানকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সিলেট শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। স্থানীয় পনা উল্লাহ বাজারে অতিক্রম করার সময় জাহিদুলের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসার একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় গুরুত্বর আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী জিহাদুল ইসলাম, সুবলে খান, জুনেদ মিয়া ও খলিল মিয়া। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়ার পথে জিহাদুল ইসলাম মারা যান।