বুধবার ● ২৬ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে ডাকাত দলের সাথে গুলাগুলিতে ৫ পুলিশ আহত : অস্ত্রসহ ১ ডাকাত গ্রেফতার
বিশ্বনাথে ডাকাত দলের সাথে গুলাগুলিতে ৫ পুলিশ আহত : অস্ত্রসহ ১ ডাকাত গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের গুলাগুলি হয়েছে। এসময় ডাকাতের গুলিতে আহত হয়েছেন থানা পুলিশের ৫ সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কুড়িখলা গ্রামের এঘটনাটি ঘটে। এসময় আকুল মিয়া (২৮) নামের এক কুখ্যাত ডাকাতকে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা, এএসআই পরিমল চন্দ্র শীল, জামাল খান, কনস্টেবল আব্দুল হক ও আবুল কালাম। আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এএসআই পরিমল চন্দ্র শীল’র অবস্থা গুরুত্বর বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়- মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত গ্রুপ লামাকাজী ইউনিয়নের একটি হিন্দু বাড়ীতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে এলাকায় প্রবেশ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদটি জানতে পেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ দোলাল আকন্দ’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযানে নামে। রাত ১টা ১৫মিনিটে স্থানীয় খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কুড়িখলা গ্রামের মসজিদের পাশ্ববর্তী ব্রিজের কাছে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে ডাকাতদল। এসময় ডাকাতদলের সাথে পুলিশের ২৪/২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। গুলাগুলিতে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করে আতংক। গুলি ছুড়তে ছুড়তে একপর্যায়ে ডাকাতদল পালাতে থাকলে ১টি দেশীয় পাইপগান, ২টি কার্তুজ, ১টি বড় সাবল, ৩টি ছোট সাবল, ১টি কোমড়ের বেল্ট ব্যাগ ও ২টি ব্যাগ সহ ডাকাত আকুল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় ডাকাত দলের গুলিতে আহত হন থানা পুলিশের ৫সদস্য।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন- আটককৃত আকুল মিয়া একজন কুখ্যাত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যা সহ ৮টি মামলার রয়েছে।
বিশ্বনাথে ৫ জুয়াড়ি আটক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ৫ জুয়াড়িকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ সবজি হাটের ছোরাব আলীর দোকানঘর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার নাছির নগর থানার চান্দেরপাড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক আহমদ (৩৫), নরসিংদী জেলার রামপুরা থানার রামপুরা গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে মোঃ শহীদুল্লাহ (৪০), বিশ্বনাথ থানার রাজনগর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জুয়েল আহমদ (২২), একই থানার হরিকলস গ্রামের মৃত আছলম আলীর ছেলে আখতার আলী (৪০), কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার মখুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল সমেতের ছেলে সবুজ মিয়া (৫০)।
পুলিশ জানায়, বিশ্বনাথ থানার এসআই আফতাবউজ্জামান রিগ্যান ও এএসআই সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জোয়ার আস্তনায় অভিযান চালায়। এসময় ৫ জুয়াড়িকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে জোয়া খেলার তাস ও নগদ ১২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
৫ জুয়াড়ি আটকের সত্যতা স্বীকার করে থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আটককৃদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদেরকে আজ বুধবার ২৬ জুন আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে মারামারিতে নিহতের ঘটনায় মামলা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে মকদ্দুছ আলী নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছেন। আজ বুধবার নিহতের ভাই মনসুর আলী বাদি হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২১ (২৬.০৬.১৯ইং)। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম।
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সৎমানপুর গ্রামে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে মকদ্দুছ আলী (৫০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী নিহত হন। তিনি উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সৎমানপুর গ্রামের মৃত লালই মিয়ার ছেলে। উপজেলার সৎমানপুর গ্রামের নিহত মকদ্দুছ আলীর ছোট ভাই মনসুর আলী ও একই গ্রামের সেলিম মিয়ার লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে মকদ্দুছ আলী সজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক তাকে ওসমানীনগরের তাজপুর বাজার ও পরবর্তীতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।