বুধবার ● ২৬ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরে শিক্ষকরা কালো ব্যাচ ধারণ করে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবী
চাটমোহরে শিক্ষকরা কালো ব্যাচ ধারণ করে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবী
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর ডিগ্রী (অনার্স) কলেজ সরকারি করণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের পদ সৃজনে অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান কর্তৃক বৈধ শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পেতে ও অর্থিক দুর্ণীতির কারণে অধক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারণ চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ডাকযোগে আবেদন পাঠানোর পর আজ ২৬ জুন বুধবার কলেজের ৫৪ জন শিক্ষক কর্মচারী কলেজে ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদে কালো ব্যাচ ধারণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কলেজটির দর্শন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, পরিসংখ্যান বিষয়ের প্রভাষক ওয়াইজ আলমসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা বলেন, কলেজটি সরকারীকরণ ঘোষণা হবার পর শিক্ষক কর্মচারীদের পদ সৃজনের ফাইল গত ৭ মে’র মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পৌছানোর শেষ দিন হলেও অধ্যক্ষের চাতুরতা অনিহা স্বেচ্ছাচারিতা ও গাফিলতির ফলে আজ পর্যন্ত তিনি ফাইলপত্র উক্ত দফতরে পাঠাননি। সরকারী ঘোষিত ২৯৯ টি কলেজের মধ্যে ২৯৮ টি কলেজের ফাইল যথাসময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পৌছালেও চাটমোহর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণের ফাইল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে না পৌছানোর কারনে কলেজটি শেষ পর্যন্ত সরকারীকরণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
তারা আরো বলেন, মিজানুর রহমান অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদানের সময় তার কাম্য যোগ্যতা ছিল না। পদ সৃজনে তিনি নিজে বাদ পরবেন এবং প্রতারণার জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। নিয়োগে নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি গভর্নিং বডিকে না জানিয়ে রেজুলেশন টেম্পারিং, ঘষামাজা ও কাটাকাটি করে জনবল কাঠামোর অতিরিক্ত ২২ জন শিক্ষককে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। বৈধ শিক্ষকদের আত্তীকরণ করলে জনবল কাঠামোর অতিরিক্ত এ শিক্ষকদের তিনি আত্তীকরণের আওতায় আনতে পারবেন না বলে বৈধ শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। কলেজ সরকারী হলে বিজ্ঞান গবেষণাগার, সেমিনার ফি, লাইব্রেরী ফি, প্রশংসাপত্র, ভর্তি ও পরীক্ষার ফরমফিলাপ থেকে সংগৃহীত বিপুল পরিমান অর্থের আত্মসাত করা বন্ধ হয়ে যাবে। কলেজের ফুল বাগান বিস্তারের নামে শতবর্ষী গাছ কেটে পাচার বন্ধ হয়ে যাবে এবং পরিচর্যার নামে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। কলেজ মার্কেটের ২৮ টি দোকান থেকে প্রাপ্ত জামানতের ৩৩ লাক্ষ টাকা অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন তা নিজ তহবিল থেকে ফেরত দিতে হবে। শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও ভূক্তকরণ, পদোন্নতি পাঠদানের বিষয় নবায়ন প্রভৃতি খাত থেকে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকাউপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া কলেজ অবকাঠামো উন্নয়নের নামে মিথ্যা ভাউচার দিয়ে লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে বলে অধ্যক্ষ চান না কলেজটি সরকারী হোক।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের আর্থিক দুর্ণীতির তদন্ত, বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও ক্ষতির শিকার শিক্ষক কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৫৪ শিক্ষক কর্মচারী। তারা এ অধ্যক্ষকে অপসারণের মাধ্যমে কলেজ সরকারিকরণের অচলাবস্থা নিরসন করে অতি দ্রুত শিক্ষক কর্মচারীদের পদ সৃজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।