বৃহস্পতিবার ● ২৭ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে আ’লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পুলিশের গুলিবর্ষন
ঝিনাইদহে আ’লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পুলিশের গুলিবর্ষন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: আধিপত্য বিস্তার ও বাস কাউন্টার দখল নিয়ে ঝিনাইদহের হাটগোপালপুরে আওয়ামী লীগের বিকাশ ও লিটু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি দোকান পাট ও বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, দীর্ঘদিন দিন ধরে পদ্মাকর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাস ও বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ নিজামুল গনি লিটুর সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকিদন যাবত হাটগোপালপুর বাজার ও বাস কাউন্টার দখল করা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই জের ধরে সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এসময় বাজারের ব্যবসায়ী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ নিজামুল গনি লিটুর রাইচ মিল, জুয়েল রানার ষ্টিল ফার্নিচার, জব্বারের ফার্নিচার ও এ্যালমনিয়াম ও ক্রোকারীজের দোকান, খলিলের দোকান, গোলাম বারী ও শহিদুলসহ বেশ কয়েকটি বাড়ী ঘর ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শর্ট গানের ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে আওয়ামীলীগের বিবাদমান বিকাশ ও লিটু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ মেটাতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটগোপালপুর বাজারে সমাবেশ করা হয়। সেই সভায় দুই পক্ষই আর হানাহানিতে লিপ্ত হবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু দুই মাস যেতে না যেতেই তারা আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লো।
শৈলকুপায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪টি ঔষধ ফার্মেসীতে জরিমানা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪টি ঔষধ ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উসমান গনি। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণের দায়ে ৪ ফার্মেসীকে জরিমানা করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয় ৫০ হাজার টাকার মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ। গতকাল বুধবার বিকালে শৈলকুপা বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আদালতে জেলা ঔষধ তত্বাবধায়ক নাজমুল হাসানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ অভিযান পরিচালনার বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশের ন্যায় শৈলকুপাতেও এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ২ জুলাইয়ের পর থেকে উপজেলার প্রতিটা ফার্মেসীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এদিকে, বুধবার এ অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে খন্দকার ফার্মেসীকে ৫,০০০ টাকা, জাকির মেডিফোকে ৩,০০০ টাকা, মেসার্স এস এম ফার্মেসীকে ২,০০০ টাকা ও মাশরাফ ফার্মেসীকে ২,০০০ টাকা করে সর্বমোট ১২,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।