সোমবার ● ১ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের সিধু-কানু দিবস পালন
গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের সিধু-কানু দিবস পালন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: সাঁওতালদের সিধু-কানু দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অবলম্বনের আয়োজনে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই দিবসটি পালন করা হয়।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহেদ হাসান, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ হাসান, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, অবলম্বনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুরঞ্জিৎ বর্মন, প্রজেক্ট অফিসার রুমিলা হেমব্রম, আদিবাসী যুব নেত্রী তেরেসা সরেন ও আদিবাসী নেতা রাফায়েল হাসদা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীদের মধ্যে সাঁওতাল সম্প্রদায় অন্যতম। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সিঁদু, কানুর নেতৃত্বে নির্যাতন, জুলুম ও অত্যাচার, শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহের সুচনা হয় তাই ইতিহাস খ্যাত সাঁওতাল বিদ্রোহ। সারা দেশে সমতলে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানবাধিকার এবং জীবন মানের সার্বিক দিক দিয়ে আজও নানাভাবে বঞ্চিত এবং সে কারণেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর থেকে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত। এক কথায় বলা যায়, জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল স্রোতধারা থেকেই তারা অনেকটা বিছিন্ন। এই বাস্তবতার উপলব্ধি থেকেই অবলম্বন গাইবান্ধা জেলার উল্লিখিত জনগোষ্ঠীর সমস্যাসমূহ চিহ্নিত এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দীপ প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
আদিবাসী নেতারা বলেন, উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ণের পেছনে ভূমি দখলই প্রধান কারণ। এখন পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে তার সবটাই ভূমিকে কেন্দ্র করে ঘটছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা আদিবাসীদের ভূমি জবরদখল করেই চলেছে।