সোমবার ● ১ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নিখোঁজের ৪দিন পর বিবিয়ানা নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৪দিন পর বিবিয়ানা নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের নিকটে বিবিয়ানা নদী থেকে নিখোঁজের ৪দিন পর আমজদ উল্লা (৬০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আমজদ উল্লার বাড়ি উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে।
জানাযায়,আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছোট ভাই আকবর হোসেন জানান,গত শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়ে ভোরে তার ভাই আমজদ উল্লা গরুর ঘাস আনতে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যান। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি জানান,আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় গ্রামের সামনে বিবিয়ানা নদীতে লাশটি ভেসে উঠে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দেই। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এস আই এমরান হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নদী থেতে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করেন। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বলে তিনি পুলিশকে জানান।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাপু আলম জানান,গত শুক্রবার থেকে আমজদ উল্লা নিখোঁজ ছিলেন। কোথায়ও তার সন্ধান না পেয়ে তিনি নিজে বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী ( জিডি) করেন। নিহতের পরিবারের পক্ষে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় বিকেল ৩টায় নামাজে জানাযা শেষে তাকে গ্রাম্য কবর স্থানে দফন করা হয়েছে।
ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই এমরান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় তার ভাই আকবর হোসেনের জিম্মায় লাশ দিয়ে আসি।
বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার : এমপি মিলাদ গাজী
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে নয়মৌজা কলেজে প্রথম একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে কলেজ গর্ভণিং বডির সভাপতি আব্দুল হাদী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কলেজের সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মুজিবুর রহমান। প্রধান অতিথি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এমপি শিক্ষার উপর গুরুত্বারুপ করে বলেছেন,কোন জাতি শিক্ষিত না হলে সে জাতির কোন উন্নতি সাধিত হয় না। তিনি বলেন বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষাকে যুগোপযোগী এবং আধুনিক শিক্ষায় রুপান্তরিত করার পাশাপাশি এদেশ থেকে দরিদ্রতা ও দুর্নীতিকে চির তরে নির্মূলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে সহযোগিতায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি নয়মৌজা কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা এবং একাদশ শ্রেণীর পাঠদান কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এছাড়া তিনি নয়মৌজা কলেজের রাস্তা ডেবনা নদীতে ব্রীজ কলেজে নতুব ভবন ও সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, বিশিষ্ট মুরব্বি ও সমাজ সেবক আবুল কাশেম চৌধুরী, হাজী মিরাজ উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, সাজ্জাদুর রহমান, ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মোস্তফা কামাল, হাজ্বী ইদ্রিছ আলী, আব্দুর রহিম, কামরান আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোঃ দুলাল চৌধুরী, আপ্তাব উল্লাহ মেম্বার, জয়নাল মেম্বার। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মুহিবুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক খয়রুল বশর চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুরুল হুদা, আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম, আওয়ামীলীগ নেতা মোক্তার আলী, মকবুল হোসেন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল বারী, আব্দুল আউয়াল মাষ্টার, আবু ইউসুফ বাচ্চু মিয়া, আংগুর মিয়া, আশরাফ আলী, আব্দুল জলিল, দেওয়ান জাবেদ আহমেদ, শোয়েব রেজা, রাশিকুল আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গর্ভণিং বডির সদস্য এম.আরকে কাপ্তান মিয়া। নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্ঠায় কলেজটি উদ্বোধন হওয়ায় সকলেই ভূয়সী প্রসংশা করে অভিনন্দন জানান। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন অত্র কলেজের শিক্ষার্থী শাহিদা আক্তার ও প্রধান অতিথির উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন শিক্ষাথী মোছাঃ হামিদা বেগম। কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে এলাকার অনেক বিশিষ্টজন ছিলেন তারা কষ্ট করেছেন কিন্তু আজকের এই শুভ দিনে তারা দেখে যেতে পারেননি। তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নবীগঞ্জে দুটি প্রকল্পে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দুটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে বিল স্বাক্ষর না করায় এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট প্রজেক্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর জের ধরে গত ২৬ জুন উন্নয়ন সম্বনয় সভা ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ। বিষয়টি সমাধান না হলে চেয়ারম্যান বৃন্দ পরবর্তী সভায় যোগদান করবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
গত ৩০ জুন অর্থ বছরের হিসাব নিকাশ শেষ হলেও ঐ দুটি প্রজেক্ট এর বিল ছাড় দেননি উপজেলা চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যান তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। এই জন্য তারা উন্নয়ন সমন্বয় সভা ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি কোন চেয়ারম্যানের সাথে বাজে ব্যবহার করেছেন বা কোন অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন প্রমান হলে তিনি পদত্যাগ করবেন,অন্যতায় তিনি আপোসে কখনও কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না।তিনি দূর্নীতি করেননি ও করবেন না এবং দূর্ণীতিকে রোধ করে সমাজকে বদলে দিবেন এটাই প্রতিজ্ঞা।
জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ভুবির বাক চৌশতপুর সড়কের খালের উপর কালভার্ট নির্মানে অনিয়ম হলে অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ প্রকল্পটির বিল এবং কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দার কান্দি গ্রামের অঞ্জন পুরুকায়স্থ এর বাড়ির সামনে একটি সড়কে এলজিএসপি ও জেলা পরিষদের বরাদ্ধ দিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু ঐ সড়কের উপর এডিপি ফান্ডের বরাদ্ধ দেখিয়ে একটি ভুয়া বিল তোলার চেষ্টা করলে উপজেলা চেয়ারম্যান ঐ দুটি বিল আটক করে দেন। এনিয়ে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।এর জের ধরে তার ২৬ জুন উন্নয়ন সম্বনয় সভা ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ।
এ ব্যাপারে কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আমি উক্ত সড়কের কাজ করেই বিল দিয়েছি। এক সড়কে তিনটি প্রজেক্ট হতেই পারে বিষয়টি বিস্তারিত এখন বলতে পারবো না।
কুর্শি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফারছু মিয়া কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে তিনি বলেন সরেজমিন পরিদর্শন করলেই সব পাওয়া যাবে।
ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ইজাজুর রহমান বলেন, তাদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান বাজে ব্যবহার করেছেন তাই তারা উন্নয়ন সম্বনয় সভা ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করেছেন। উল্লেখিত দুটি প্রজেক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের সাথে বাজে ব্যবহার করেছেন। এখন কেউ ভুয়া বিল করার সুযোগ নাই। বিষয়টি সমাধান না হলে আমরা পরবর্তী সভায় যাবো না।
নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ভুবির বাক চৌশতপুর সড়কের খালের উপর কালভার্ট নির্মানে অনিয়ম হলে অভিযোগ পাই এবং কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দার কান্দি গ্রামের অঞ্জন পুরুকায়স্থ এর বাড়ির সামনে একটি সড়কে এলজিএসপি ও জেলা পরিষদের বরাদ্ধ দিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু ঐ সড়কের উপর এডিপি ফান্ডের বরাদ্ধ দেখিয়ে একটি ভুয়া বিল তোলার চেষ্টা করলে আমি ঐ দুটি বিল আটক করে দেই এটাই আমার অপরাধ। তিনি বলেন কোন চেয়ারম্যানের সাথে আমি বাজে ব্যবহার করেছি বা কোন অনিয়ম দুর্নীতি করেছি প্রমান করতে পারলে আমি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করব। অন্যতায় আমি আপোসে কখনও কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবো না। আমি দূর্নীতি করিনি ও করবেন না। এবং দূর্ণীতিকে রোধ করে সমাজকে বদলে দিব এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা উপজেলা চেয়াম্যানের নির্দেশ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দুটি ইউনিয়নের প্রজেক্ট পরিদর্শন করলে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। উপরের নির্দেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।