মঙ্গলবার ● ২ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগে ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগে ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়নে খড়িখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগে ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতি ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। দেড় বছর আগে চাকরী দেওয়ার কথা বলে খোরশেদ আলম সুজন নামের একজনের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে তার প্রার্থীকে চাকরী না দিয়ে আরেকজন ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ায় তাকে চাকরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। বিদ্যালয় অফিসসুত্রে জানা গেছে, অসুস্থ্যতার কারনে বিদ্যালয় প্রতিঠালগ্নে নিয়োগ প্রাপ্ত আয়া জাহানারা খাতুন পদত্যাগ করার কারনে শুন্য পদে গত ১৮/০২/ ১৯ তারিখে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। মোট আবেদন পড়ে ৯টি। তার আলোকে ৩০/০৬/১৯ তারিখে সাক্ষাতকার এর মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ মোতাবেক কমিটির সভাতে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন ভুট্টাচার্য জানায়। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আয়া জাহানারা খাতুন সাংবাদিকদের জানায় আমার পায়ে সমস্যা থাকায় আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে সভাপতি গদা ডাক্তার। আমার শ্বশুর এই প্রতিষ্ঠানে জমি দান করেছিলো তাই ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়ের শুরু থেকেই আমি এই প্রতিষ্ঠানে আয়া পদে চাকুরী করছি। এখনও আমার সাড়ে তিন বছর চাকরী ছিলো কিন্তু আমাকে করতে দিলো না। প্রত্যেক মাসে আমার ৩ হাজার টাকার ওষুধ লাগে তাই আমি কিছুদিন সময় চেয়েছিলাম সে আমাকে একদিনও সময় দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল। আমি তাকে প্রায় দুই বছর ধরে প্রত্যেক মাসে বেতন পেয়ে ১২০০ টাকা এবং গদা ডাক্তারের ভাই স্কুলের কেরাণী প্রদীপ ব্যানার্জিকে ৩০০ টাকা প্রত্যেক মাসে মোট ১৫০০ টাকা করে দিতাম তাপরও সে আমাকে চাকরীতে রাখলো না। এছাড়াও আমার স্বামীকে মুক্তিযোদ্ধার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলো কিন্তু কার্ড করে দেয় নাই টাকাও ফেরত দেয় নাই। তন্নি খাতুন নামের প্রার্থীর শ্বশুর সুজন জানায়, জাহানারা খাতুন পদত্যাগের পর স্কুলের সভাপতি প্রনব ব্যানার্জি অরফে গদা ডাক্তার আমার ছেলের বউকে আয়া পদে চাকুরী দেবে বলে আমার নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা নেয়। এতদিন আমাকে আশা দিয়ে রেখেছে। এখন কাজলের নিকট থেকে ৬ লক্ষ টাকা পেয়ে কাজলের স্ত্রী সন্ধানীকে চাকরী দিলো আমার ছেলের বৌকে চাকরী দিলো না। আমার টাকাও ফেরত দেয় নাই, শুধু ঘুরাচ্ছে। পারভীন খাতুন নামের অন্য এক প্রার্থীর শ্বাশুড়ী এবং বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য হাসিনা খাতুন অত্যন্ত আক্ষেপ করে বলেন, আমি এই স্কুলে ১২১শতক জমি দিয়েছি আমার জমির উপর এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত তাছাড়াও আমি দাতা সদস্য হিসাবে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিনা পারিশ্রমিকে সেচ্চাশ্রম দিয়ে আসছি। আমার বেটার বউকে চাকরীটা দেবার জন্য গদা ডাক্তার এবং প্রধান শিক্ষকের হাতেপায়ে ধরেছিলাম কিন্ত তারা কাজলের নিকট থেকে ৬ লক্ষ টাকা পেয়ে সন্ধ্যানীকে চাকরীটা দিলো আমার অনুরোধ শুনলো না। এ ব্যাপারে খড়িখালী মায়াময় বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রনব ব্যানার্জির নিকট জানতে চাইলে তিনি এ সমস্ত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি নিয়োগের ব্যাপারে বা মুক্তিযোদ্ধার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে কোন টাকা পয়সা গ্রহণ করি নাই।
সাগর পথে মানব পাচারের মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: একজন নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে সাগর পথে বিদেশে মানুষ পাচারের মিথ্যা অভিযোট রটানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা আক্তারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার দেবর মোঃ চয়ন মিয়া। এ সময় এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক, কলিম উদ্দীন মেম্বর, আব্দুর রাজ্জাক, জামাল হোসেন, বাবু মিয়া, গনজের আলী, মাসুদুর রহমান ও হেলাল উদ্দীন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক মানুষ সাগর পথে বিদেশে যাওয়ার পথে নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরাই খোঁজ খবর নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে নিউজ করে যাচ্ছেন। এই ভয়ংকর কাজের সাথে কারা জড়িত তাদের নাম ঠিকানাও আপনারা পেয়েছেন। অথচ একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে আমার স্বামী আক্তার হোসেন পিকুলকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয় আক্তার হোসেন পিকুল চাকরী করার সুবাদে বিদেশে যেতে সহায়তা করেন। তার এজেন্সি মোহাম্মদী ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল গভমেন্ট এ্যাপ্রুভ এজেন্ট। যার লাইসেন্স নং ৯১৯। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেও সাগর পথে বিদেশে যায়নি। এমনকি ঝিনাইদহের নিখোঁজ কোন যুবককে তিনি বিদেশে পাঠান নি। যদি আমার স্বামীর এজেন্সির মাধ্যমে ঝিনাইদহের কারো পাঠিয়েও থাকেন তবে তা বৈধ ভাবে প্লেনে। তিনি সমুদ্র পথে কারো বিদেশে পাঠাননি। তাই তার নামে মামলা-মোকদ্দমা এমনকি নুন্যতম কেও অভিযোগ দিতে পারেনি। অথচ আমার স্বামীর নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য খবর পরিবেশন করে আমার স্বামীর জীবনকে ঝুকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। খবর প্রচারের পর নামে বেনামে আমার স্বামীর মোবাইলে হুমকী দিচ্ছে। “অমুক বিভাগের লোক তমুক বিভাগের লোক” এমন পরিচয় দিয়ে অপরিচিত মানুষ বাড়িতে আনাগোনা করছে। এতে আমি বা আমার সন্তানরা যারপরনাই ভীত। স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে থেকে আমিও নানা ধরণের বিভ্রান্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়েছি। এমনাবস্থায় সমুহ ক্ষতি ও জীবনহানীর ভয়ে বাধ্য হয়ে আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় গত ১৭ জুন ২০১৯ একটি জিডি করেছি। যার নং ৮৭৮। সেলিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী সমুদ্র পথে অবৈধ ভাবে মানুষ পাচারের চক্রের সাথে জড়িত নয়। একটি চক্র মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আমার স্বামীকে ক্ষতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকরা প্রকৃত সত্য উন্মোচন করে কারা মানুষ পাচারের সাথে জড়িত সেই সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন সেই দাবী করছি। সাংবাদিক সম্মেলণে উপস্থিত রাধাকান্তপুর গ্রামের মাতুব্বর ফজলুল হক জানান, আক্তার হোসেন পিকুল আমার ভাতিজাকেও বিদেশে নিয়ে গিয়েছিল বৈধ ভাবে। ৭ বছর পর সে আবার সহিসালামতে ফিরে এসেছে। পিকুলের বিরুদ্ধে এলাকায় যারা সাগর পথে মানব পাচার করে বহু পরিবারকে পথে বসিয়েছে মুলত তারাই ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনে সহায়তা করেছে।
ঝিনাইদহে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি
ঝিনাইদহ :: এক দেশে দুই নীতি মানিনা মানব না শ্লোাগানকে সামনে রেখে পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসুচী পালন করেছে। রাষ্টীয় কোষাগার হতে পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ বেতন ভাতা সহ পেনশন প্রথা চালুর দাবী ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবীতে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসুচী পালন করেছে পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় সভাপতি মো:আব্দুল আলিম মোল্যা,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মধু
ইটভাটা কাদামাটিতে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই ঢোল সমুদ্র দীঘি রাস্তাটি ঝুকিপুর্ন
ঝিনাইদহ :: ইটভাটা কাদামাটিতে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই ঢোল সমুদ্র দীঘি রাস্তাটি ভয়ংকর ঝুকিপুর্ন হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টিত হলেই পাকা রাস্তার উপর কাদা পানি হয়ে চলাচলে ঝুকি তৈরী হচ্ছে। ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে অনেক মানুষের হাত পা ভেঙ্গেছে। রাস্তাটির অবস্থা এখন এতোটাই ঝুকিপুর্ন যে রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। এমএমআর ও এসএসবি ইটভাটার ট্রাক্টর-ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি নিয়ে যাওয়ার করণে এই কাঁদাপানির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ওই সড়কে চলাচলকারী পথচারিরা। এ নিয়ে জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের পাগলা কানাই থেকে ঢোল সমুদ্র দীঘি হয়ে বাড়িবাথান, রাজাপুর, বেড়বাড়ী ও তেতুলতলা গ্রামের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। ২/৩ মাস ধরে সড়কটিতে চলাচল করা যায় না। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের বিপদের শেষ নেই। এছাড়া ভ্যান, সিএনজি, চলাচলে বিঘœ ঘটছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌচেছে। এমএমআর ইটভাটার মালিক মিজানুর রহমান মাসুম ও এসএসবি ইটভাটার মালিক মতিয়ার রহমান জনদুর্ভোগকে থোড়াই কেয়ার করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ রাস্তায় চলাচল করা মটরসাইকেল চালক আকবার হোসেন বলেন, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকনোয় কারণে যেমন ধুলো সৃষ্টি হয়েছিল, এখন বর্ষায় কাঁদাময় হয়ে রাস্তাটি ঝুকিপুর্ন হয়ে উঠেছে। দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র রাফাত বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই এটা পাকা রাস্তা। অথচ কেও আমাদের নির্বিঘœ চলাচলে সহায়তা করে না। স্থানীয় পাগলা কানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম. নজরুল ইসলাম জানান, আমরা এ সমস্যা নিয়ে অনেক দিন ধরে এ সড়কে চলাচল করছি। প্রতিদিন এসড়কে দূর্ঘটনা ঘটে, যার মুল কারনই হলো ইট ভাটা। এদের কারনে পাকা রাস্তা হয়ে পড়েছে কাচা রাস্তা। আমরা এ বিষয়ে ডিসি অফিসে জানিয়েছি। আমরা চাই দ্রুত ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম মোবাইলে জানান, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা নষ্ট করা সম্পর্কে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যানও এবিষয়ে আমাকে অবগত করেনি। যেহেতু আপনার মাধ্যমে ব্যাপারটা জানতে পারলাম, আমি খোঁজখবর নিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যেগ নেব এবং ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে এমএমআর ইটভাটার মালিক মিজানুর রহমান মাসুম জানান, একমাস আগে থেকে মাটি টানা বন্ধ। তাই পথচারিরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক না। তবে যদি কোন মাটি রাস্তার উপর থাকে তবে আমি পরিস্কার করে দেব।