বুধবার ● ৩ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় অটোরিক্সা চালকের মরাদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় অটোরিক্সা চালকের মরাদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলকপাড়া গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় জনৈক খয়রাজ্জামানের মরিচ ক্ষেত থেকে বুধবার সকালে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক বিপুল মিয়ার (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (২ জুন) রাতে ওই এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার পূর্ব পাশে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের কাঁচা সড়ক থেকে বিপুল মিয়ার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বিপুল মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক নওয়াবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (২জুন) রাতে ওই এলাকায় এলাকাবাসী ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সাটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে অটো রিক্সাটি উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এদিকে বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসার পর তার স্বজনরা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের গলা তার নিজের পরণের লুঙ্গি দিয়ে পেচানো ছিল এবং মুখে ঘাস ও লতাপাতা গুজে দেয়া ছিল। তাই প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলেছে দুর্র্বৃত্তরা। কিন্তু কি কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ও এনিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা : গ্রেফতার-১
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় তালুককানুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার তাজপুর গ্রামের রাজু মিয়ার মেয়ে রাবিনা বেগম এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তালুককানুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক (৩৫), চেয়ারম্যানের ভাগ্নে সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মতিন প্রধানের ছেলে মেহেদী হাসান মুন্না (২৩), ভগ্নিপতি মৃত মুনসুর আলীর ছেলে আব্দুল মতিন প্রধান (৫০), চেয়ারম্যানের বড় বোন আব্দুল মতিনের স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৪২) ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুল কাফিকে (৫৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সূত্র ধরে মেহেদী হাসান মুন্নার সাথে রাবিনা বেগমের বিয়ে হয়। কিন্তু চেয়ারম্যানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এমনকি তারা ওই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের সাথে যোগসাজশে বিয়ের কাবিননামা বাতিল করে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের বড় বোন আব্দুল মতিনের স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ তিনজন জামিন নিয়েছেন। কাজিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।