শুক্রবার ● ৫ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » বাম জোটের হরতালে আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সমর্থন
বাম জোটের হরতালে আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সমর্থন
মহাজোট সরকারের আমলে সপ্তমবারের মত অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর ডাকা ৭ জুলাই অর্ধদিবস হরতালের প্রতি পূর্ণসমর্থন জানিয়ে সংগঠনের সকল সদস্যদের রাজপথে থাকার আহবান জানিয়েছে দেশের অন্যতম অরাজনৈতিক সংগঠন আদর্শ নাগরিক আন্দোলন।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ আল-আমিন এই আহবান জানান।
বিবৃতিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার জনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন- অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলো ৭ জুলাই অর্ধদিবস যে হরতাল ডেকেছেন আমরা তাদের এই হরতালকে পূর্ণসমর্থন করছি। আমরা মনে করি, তাদের এই হরতাল আহ্বান যৌক্তিক। জাতীয় স্বার্থে দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ নাগরিকদের এই হরতালে অংশ নেয়া উচিৎ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বর্তমান সরকার একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে না বলেই জনগণের স্বার্থ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলেই সর্বমহল থেকে প্রতিবাদ করার পরও সরকার অযৌক্তিকভাবে সপ্তমবারের মত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্যাসের মূল্য যেখানে কমানো যায় সেখানে উল্টো বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। এ মূল্যবৃদ্ধি লুটেরা, দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মোটাতাজাকরণ প্রকল্প ছাড়া কিছুই নয়। ওই শ্রেণীর লোকেরা অগণিত অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। আর এ বিল গিয়ে যুক্ত হয় যারা প্রকৃত সংযোগ গ্রহণকারী তাদের উপর।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কল-কারখানার উৎপাদন, পরিবহনব্যয়, যাত্রীভাড়া, গৃহস্থালি কাজে গ্যাসের খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে গরিব, নি¤œ মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। বাজেটে সরকার ধনীদের কালো টাকা সাদা করা থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে ট্যাক্স, ভ্যাট কমানোর দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু গরিব মধ্যবিত্তদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি। সঞ্চয়পত্রের কর বৃদ্ধি করে পেনশনভোগীদের অবস্থা দুর্বিষহ করে তুলছে। সারা দেশে ৭-৮ তলা পর্যন্ত ভবনের অনেক মালিকদের যেখানে টিআইএন নম্বর নেই, থাকলেও ট্যাক্স ফাঁকি দেয় সেখানে জীর্ণ-শীর্ণ বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগে টিআইএন নম্বর খোলা বাধ্যতামূলক করে গরিব মারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।