সোমবার ● ৮ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : ঝুঁকিতে এলাকাবাসি
গাইবান্ধায় হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : ঝুঁকিতে এলাকাবাসি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: অবিরাম বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি ভায়া বেলকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে একাধিক বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ । ফলে যানবাহন, পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অথচ প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আজ থেকে একমাস আগে অবিরাম বর্ষণের তোড়ে সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি ভায়া বেলকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধুমাইটারী ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহরের সাথে পূর্বাঞ্চের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই বাঁধটি। প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় হাজার ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে এই রুটে। উপজেলার কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম ও বেলকা ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বাঁধটি। হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে ইতিমধ্যে বাঁধটিতে মাটি ভরাটের আংশিক কাজ করা হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ থাকায় ৩০ কিলোমিটার বাঁধটির মধ্যে ২০ হতে ৩০টি স্থানে বিরাট গর্তের সৃস্টি হয়েছে। যার কারণে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে এলাকাবাসি ।
পথচারীরা জানান, মাটি কাঁটার পর থেকে বাঁধটির উপর দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে যাওয়ায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। ধুমাইটারী মাদ্রাসার শির্ক্ষীরা বলেন, বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
যে কোন মহুত্বে সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন প্রকার সর্তক বার্তার সাইনবোড ঝুঁলানো হয়নি।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের বিবিসির মোড় হতে পাঁচপীর বাজার পর্যন্ত ছোট বড় প্রায় ১০টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ জানান, তার ইউনিয়নের ধুমাইটারী নামকস্থানে যে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে মেরামত করা সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তিনি অতিদ্রুত গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, যদিও বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তারপরও এলজিইডির দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে।