শুক্রবার ● ১২ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ব্যাপক ভাঙ্গন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ব্যাপক ভাঙ্গন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: লাগাতার সাপ্তাহ ব্যাপী ভারি বৃষ্টির কারণে উদ্বেগজনকভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া কলাবাগ এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। সড়কের একটি বিশাল অংশ ধসে বিলিন হয়ে যায়। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি।
এদিকে রাঙামাটি শহরে সরকারিভাবে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন দুই হাজারের অধিক মানুষ। অনেকে নিজ উদ্যোগে অন্যত্র নিরাপদে সরে গেছেন। বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ও ভূমি ধস দেখা দিয়েছে।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় সড়কটি। রাঙামাটি-বান্দরবান ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক এখনও অচল। ধসে যাওয়া রাস্তার জরুরি মেরামত চলছে।
উদ্ধার তৎপরতায় মাঠে রয়েছে, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্থানীয়রা লংগদু উপজেলায় পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে মো. রুবেল নামে এক ইঞ্জিন বোট চালক মারা গেছেন। তিনি মাইনিমুখ ইউনিয়নের জারুলছড়ির বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বোট থেকে কাপ্তাই হ্রদে পড়ে নিখোঁজ হন রুবেল। বুধবার সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদের কাট্টলি বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া বুধবার বিকালে বরকল উপজেলার ভুষণছড়া ইউনিয়নের অজ্যেংছড়িতে পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে বিজুরাম চাকমা নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে সদরসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বহু বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। ওই সব এলাকার দুর্গত লোকজন এখন আশ্রয় কেন্দ্রে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিরাট একটি অংশ ভেঙ্গে প্রায় ২০০ ফুট নিচে পরে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয় যায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।